ETV Bharat / city

কোরোনা জয়ীদের পদক দিয়ে সম্মান জানালেন ডেপুটি কমিশনার অজয় প্রসাদ

কোরোনার বিরুদ্ধে একেবারে সামনের সারিতে লড়াই করছে পুলিশ ৷ আর এই লড়াই করতে গিয়ে কলকাতা পুলিশে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ মারণ রোগে আক্রান্ত হয়ে আজ অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷ আজ কোরোনা জয়ীদের হাতে পদক তুলে দিলেন কলকাতা পুলিশের পূর্ব শহরতলী বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অজয় প্রসাদ ৷

ajay prasad honored corona winners
কোরোনা জয়ীদের পদক দিয়ে সম্মান
author img

By

Published : Jul 26, 2020, 3:13 AM IST

কলকাতা, 25 জুলাই: ওরা কোভিড ওয়ারিয়র। কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে। অবুঝ শহরবাসীকে সচেতন করেছেন, অপ্রয়োজনে মানুষকে রাস্তায় বের হওয়া থেকে বিরত রেখেছেন, প্রয়োজনে ঘিঞ্জি বাজারে গিয়ে প্রচার চালিয়েছেন সামাজিক দূরত্ব রক্ষার। আর আইন-শৃঙ্খলা কিংবা যান নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক কাজকর্ম তো আছেই। সেসব করতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের বহু কর্মী কোরোনায় আক্রান্ত। তাঁদের অনেকেই আবার সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। আবার বুক চিতিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন শহরবাসীকে মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। এমন যোদ্ধাদের আজ সম্মান জানাল কলকাতা পুলিশের পূর্ব শহরতলী বিভাগ। এই বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অজয় প্রসাদ নিজে কোরোনা জয়ীদের হাতে তুলে দিলেন পদক। পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানালেন। এমন উদ্যোগে মনোবল অনেকটাই বাড়ল কোরোনা যোদ্ধাদের।

corona
কোরোনা জয়ীদের পদক
পুলিশের এখন নীলকন্ঠের দশা। প্রতি পদে বিপদ বাসা বেঁধে আছে। কর্তারা করেছেন সুরক্ষা পরিকল্পনা। কিন্তু গোটা বাহিনী কর্তব্যে অবিচল। সেই সূত্র ধরেই কলকাতা পুলিশে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। তবু তিলোত্তমাকে বাঁচাতে বিষপানে রাজি পুলিশ। লকডাউনের শুরু থেকেই শহরবাসীর একাংশকে খাবার যুগিয়ে চলেছে কলকাতা পুলিশ। ফুটপাতবাসীদের জন্য বিভিন্ন নাইট সেল্টার থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন বস্তি এলাকা। কর্তব্যে অবিচল থেকে সকাল বিকাল খাবার জুগিয়ে গিয়েছে কলকাতার 79 টি থানা। সঙ্গী ছিল ট্রাফিক পুলিশ। সেই নিয়মে ভাটা পড়েনি আমফানের মত ব্যতিক্রমী দিনেও। এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কলকাতা পুলিশ নিরন্নের মুখে তুলে দেয় অন্ন। হয়তো এই কারণেই শহরবাসীর একাংশের কাছে কলকাতা পুলিশ এখন "অন্নপূর্ণা"। আবার লকডাউনের নিয়ম না মানা অসচেতন মানুষকে শাসনও করেছে পুলিশ। এসব করতে গিয়েই মারণ রোগে আক্রান্ত হন বেলেঘাটা থানার OC প্রদীপ ঘোষাল, ট‍্যাংরা থানার OC মহম্মদ মাশরেক আলি, মানিকতলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর কল্পনা রায়, উল্টোডাঙ্গা থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন হাওয়ালদার, কনস্টেবল মহঃ মোস্তাক আহমেদ আনসারী, মানিকতলা থানা ড্রাইভার জগদীশ দাস। তারা প্রত্যেকেই সুস্থ হয়েছেন। যোগ দিয়েছেন কাজে। মেরুদণ্ড সোজা রেখে আবার লড়াই চালাচ্ছেন কোরোনার বিরুদ্ধে। অন্য সহকর্মীদের কাছে তারা হয়ে উঠেছেন দৃষ্টান্ত।আজ কলকাতা পুলিশের পূর্ব শহরতলী বিভাগের দপ্তরে কোরোনা জয়ীদের সম্মান জানানো হয়। তাদের সম্মান জানানোর পদক পাঠিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই পদক তাদের হাতে তুলে দেন অজয় প্রসাদ।

কলকাতা, 25 জুলাই: ওরা কোভিড ওয়ারিয়র। কোরোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছেন একেবারে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে। অবুঝ শহরবাসীকে সচেতন করেছেন, অপ্রয়োজনে মানুষকে রাস্তায় বের হওয়া থেকে বিরত রেখেছেন, প্রয়োজনে ঘিঞ্জি বাজারে গিয়ে প্রচার চালিয়েছেন সামাজিক দূরত্ব রক্ষার। আর আইন-শৃঙ্খলা কিংবা যান নিয়ন্ত্রণের স্বাভাবিক কাজকর্ম তো আছেই। সেসব করতে গিয়ে কলকাতা পুলিশের বহু কর্মী কোরোনায় আক্রান্ত। তাঁদের অনেকেই আবার সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। আবার বুক চিতিয়ে লড়াই চালাচ্ছেন শহরবাসীকে মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। এমন যোদ্ধাদের আজ সম্মান জানাল কলকাতা পুলিশের পূর্ব শহরতলী বিভাগ। এই বিভাগের ডেপুটি কমিশনার অজয় প্রসাদ নিজে কোরোনা জয়ীদের হাতে তুলে দিলেন পদক। পিঠ চাপড়ে অভিনন্দন জানালেন। এমন উদ্যোগে মনোবল অনেকটাই বাড়ল কোরোনা যোদ্ধাদের।

corona
কোরোনা জয়ীদের পদক
পুলিশের এখন নীলকন্ঠের দশা। প্রতি পদে বিপদ বাসা বেঁধে আছে। কর্তারা করেছেন সুরক্ষা পরিকল্পনা। কিন্তু গোটা বাহিনী কর্তব্যে অবিচল। সেই সূত্র ধরেই কলকাতা পুলিশে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। তবু তিলোত্তমাকে বাঁচাতে বিষপানে রাজি পুলিশ। লকডাউনের শুরু থেকেই শহরবাসীর একাংশকে খাবার যুগিয়ে চলেছে কলকাতা পুলিশ। ফুটপাতবাসীদের জন্য বিভিন্ন নাইট সেল্টার থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন বস্তি এলাকা। কর্তব্যে অবিচল থেকে সকাল বিকাল খাবার জুগিয়ে গিয়েছে কলকাতার 79 টি থানা। সঙ্গী ছিল ট্রাফিক পুলিশ। সেই নিয়মে ভাটা পড়েনি আমফানের মত ব্যতিক্রমী দিনেও। এক হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কলকাতা পুলিশ নিরন্নের মুখে তুলে দেয় অন্ন। হয়তো এই কারণেই শহরবাসীর একাংশের কাছে কলকাতা পুলিশ এখন "অন্নপূর্ণা"। আবার লকডাউনের নিয়ম না মানা অসচেতন মানুষকে শাসনও করেছে পুলিশ। এসব করতে গিয়েই মারণ রোগে আক্রান্ত হন বেলেঘাটা থানার OC প্রদীপ ঘোষাল, ট‍্যাংরা থানার OC মহম্মদ মাশরেক আলি, মানিকতলা থানার সাব-ইন্সপেক্টর কল্পনা রায়, উল্টোডাঙ্গা থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন হাওয়ালদার, কনস্টেবল মহঃ মোস্তাক আহমেদ আনসারী, মানিকতলা থানা ড্রাইভার জগদীশ দাস। তারা প্রত্যেকেই সুস্থ হয়েছেন। যোগ দিয়েছেন কাজে। মেরুদণ্ড সোজা রেখে আবার লড়াই চালাচ্ছেন কোরোনার বিরুদ্ধে। অন্য সহকর্মীদের কাছে তারা হয়ে উঠেছেন দৃষ্টান্ত।আজ কলকাতা পুলিশের পূর্ব শহরতলী বিভাগের দপ্তরে কোরোনা জয়ীদের সম্মান জানানো হয়। তাদের সম্মান জানানোর পদক পাঠিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সেই পদক তাদের হাতে তুলে দেন অজয় প্রসাদ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.