কলকাতা, 5 জানুয়ারি: রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন স্কুল সার্ভিস কমিশন পরিচালিত নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা। এদিন সকালে শিয়ালদহ বিগবাজার থেকে মিছিল করে ধর্মতলা পর্যন্ত যান তাঁরা। সেখান থেকে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে নিজেদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন।
2019 সালের মার্চ মাসে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ওয়েটিং লিস্টে থাকা সকল প্রার্থীদের চাকরি দিতে হবে এই দাবিতে টানা 29 দিন ধর্মতলায় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান-অনশন করেছিলেন ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে 29 দিনের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু, দেড় বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরেও মেটেনি দাবি, চাকরি পাননি ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীরা। তাই আবার পথে নেমে দাবি আদায়ে সচেষ্ট হয়েছেন তাঁরা।
নিজেদের দাবি নিয়ে ওয়েটিং লিস্টে থাকা এক প্রার্থী বলেন, "আমাদের একটাই দাবি, আমাদের সব ওয়েটিং প্রার্থীদের চাকরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুনিশ্চিত করতে হবে। আমাদের এই দাবির পিছনে যুক্তি, 2016 সালে নিয়োগের জন্য যে পরীক্ষা হয় তখন পরীক্ষার নিয়মে বলা ছিল, মেধাতালিকা যেদিন প্রকাশ করা হবে সেদিন পর্যন্ত আপডেট ভ্যাকেন্সিতে নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু, দেখা যায় যেদিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল সেদিন কমিশন যে ভ্যাকেন্সি দেখিয়েছিল, তা পরবর্তীকালে মেধাতালিকা প্রকাশের সময় আরও কিছুটা কমিয়ে দেয়। ভ্যাকেন্সি বাড়ার পরিবর্তে কমিয়ে দিয়েছে।"
আরও পড়ুন: মৌলালিতে রাস্তায় শুয়ে অবরোধ পার্শ্বশিক্ষকদের
ওই প্রার্থীর দাবি, "আমরা খবর নিয়ে দেখি যে হাজার হাজার ভ্যাকেন্সি পড়ে রয়েছে। এই বঞ্চনার কথা মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর জন্য আমরা 29 দিন অনশন করি। আমাদের অনশন মঞ্চে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তোমাদের বিষয়টা আমরা সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করব। আইন পরিবর্তন করে হলেও তোমাদের সব ওয়েটিংয়ের চাকরি সুনিশ্চিত করব। কিন্তু, দেখা যায় দীর্ঘ দেড় বছর অতিক্রান্ত হলেও সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। সেই প্রতিশ্রুতি আজকে আরও একবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য আজকে আমরা পথে নামতে বাধ্য হয়েছি।"