ETV Bharat / city

CPI : বামফ্রন্টে ভরসা না রেখেই নিজেদের উদ্যোগে জমি ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা সিপিআইয়ের !

1-3 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিপিআই (CPI) রাজ্য পরিষদের 27তম সম্মেলন শুরু হচ্ছে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের প্রবোধ পান্ডা মঞ্চে । সেখানে সিপিআইয়ের তরফে বামফ্রন্টে (Left Front) ভরসা না রেখেই নিজেদের উদ্যোগে জমি ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর ৷

CPI Plans Movements Without the Left Front
CPI : বামফ্রন্টে ভরসা না রেখেই নিজেদের উদ্যোগে জমি ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা সিপিআইয়ের !
author img

By

Published : Sep 1, 2022, 3:24 PM IST

Updated : Sep 1, 2022, 7:44 PM IST

কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর : রাজ্যে 2006 সাল থেকে বামফ্রন্টের (Left Front) যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল, 2021 সালে এসে, তা কার্যত শূন্যে পরিণত হয়েছে । লোকসভা (Lok Sabha) থেকে বিধানসভায় (Assembly) রাজ্য বামফ্রন্টের কোনও সাংসদ-বিধায়ক নেই । এদিকে বর্তমান শাসকের একাধিক দুর্নীতি, চুরি, সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলেও বামেদের দিকে ঝুঁকছে না আমজনতা ।

কেন? তারই উত্তর খুঁজবে সিপিআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিষদ । আজ 1 সেপ্টেম্বর থেকে 3 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিপিআই (CPI) রাজ্য পরিষদের 27তম সম্মেলন শুরু হচ্ছে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের প্রবোধ পান্ডা মঞ্চে । সূত্রের খবর, এই সম্মেলন থেকেই সিপিআই সিদ্ধান্ত নেবে আগামীতে নিজেদের উদ্যোগে প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলাস্তর থেকে রাজ্যস্তরে নানা রকম কর্মসূচির । বামফ্রন্ট কী করল বা অন্যান্য বামপন্থী দলগুলো কী করল সেটাকে গুরুত্ব না দিয়েই ওই কর্মসূচি নেওয়া হবে । তাই বলে বামফ্রন্টের গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হবে এমনটাও নয় । এক কথায় বামফ্রন্টের উপর ভরসা না করেই নিজেদের উদ্যোগেই আমজনতাকে বামমুখী করতে উদ্যোগী হতে হবে সমস্ত সিপিআই কর্মী সদস্যদের । এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (Bengal Assembly Elections 2021) আইএসএফ ও কংগ্রেসকে (Congress) সঙ্গী করে সংযুক্ত মোর্চা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) এবং বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়াই করে । কিন্তু তারপরেও বামদের কোনোরকম অবস্থার উন্নতি হয়নি । বরং আরও পতন ঘটেছে । তাই আইএসএফের কথা চিন্তা না করেই আদিবাসী দলিত পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে নানা রকম কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওই সম্মেলনে । এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ৷

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সিপিআইয়ের তরফে কার্যত পক্ষান্তরে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, বামেরা বরাবরই ভোট মরশুমী শক্তি হিসেবে কাজ করে এসেছে । তাই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও এবং বর্তমান শাসকের এত এত দুর্নীতির পরও তারা কোনোভাবেই নতুন করে জনমানসে গুরুত্ব পাচ্ছে না । তাই সেই গুরুত্ব ফেরাতে যেকোনও পরিস্থিতিতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে সিপিআইয়ের তরফে ।

সূত্রের খবর, শুধু পথে নামা নয় সেই পরিস্থিতি এবং বিষয়কে রাজনৈতিক সংগঠনিক রূপ দিতে সিপিআইয়ের সমস্ত জনসংগঠনগুলোকে মরিয়া হয়ে কাজ করতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে । সার্বিকভাবে বামফ্রন্টের অন্যান্য জোটসঙ্গী নিজের নিজের অবস্থান এবং বামফ্রন্টের জায়গা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছে কি না, সেদিকে লক্ষ্য না রেখেই সিপিআইকেই নিজেদের উদ্যোগে অবস্থা বদলের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে ।

উল্লেখ্য, ইতিহাস বলছে যে রাজ্যে বামফ্রন্টের রক্তক্ষরণের বিষয়টি একদিনের নয় । বাম জমানার শেষের দিকে 2006 সালে ভোট শতাংশের হারে বামফ্রন্ট 50.2 শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসে । 2011 সালে এক ধাক্কায় 41 শতাংশে 2016 তে 24 শতাংশে । এবং 2019 সালের লোকসভাতে মাত্র 7.5% নেমে আসে । এবং 2021 সালে কার্যত ধূলির সাথে পরিণত হয়ে মাত্র 5.7% ভোট পেয়ে খুশি থাকতে হয় বামেদের ।

আরও পড়ুন : অধীরের আবেদনে সাড়া না দিয়ে তৃণমূল-বিরোধী আন্দোলনে কি একলা চলতে চাইছে বামেরা ?

কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর : রাজ্যে 2006 সাল থেকে বামফ্রন্টের (Left Front) যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল, 2021 সালে এসে, তা কার্যত শূন্যে পরিণত হয়েছে । লোকসভা (Lok Sabha) থেকে বিধানসভায় (Assembly) রাজ্য বামফ্রন্টের কোনও সাংসদ-বিধায়ক নেই । এদিকে বর্তমান শাসকের একাধিক দুর্নীতি, চুরি, সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটলেও বামেদের দিকে ঝুঁকছে না আমজনতা ।

কেন? তারই উত্তর খুঁজবে সিপিআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পরিষদ । আজ 1 সেপ্টেম্বর থেকে 3 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিপিআই (CPI) রাজ্য পরিষদের 27তম সম্মেলন শুরু হচ্ছে মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের প্রবোধ পান্ডা মঞ্চে । সূত্রের খবর, এই সম্মেলন থেকেই সিপিআই সিদ্ধান্ত নেবে আগামীতে নিজেদের উদ্যোগে প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত, ব্লক ও জেলাস্তর থেকে রাজ্যস্তরে নানা রকম কর্মসূচির । বামফ্রন্ট কী করল বা অন্যান্য বামপন্থী দলগুলো কী করল সেটাকে গুরুত্ব না দিয়েই ওই কর্মসূচি নেওয়া হবে । তাই বলে বামফ্রন্টের গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া হবে এমনটাও নয় । এক কথায় বামফ্রন্টের উপর ভরসা না করেই নিজেদের উদ্যোগেই আমজনতাকে বামমুখী করতে উদ্যোগী হতে হবে সমস্ত সিপিআই কর্মী সদস্যদের । এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (Bengal Assembly Elections 2021) আইএসএফ ও কংগ্রেসকে (Congress) সঙ্গী করে সংযুক্ত মোর্চা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) এবং বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়াই করে । কিন্তু তারপরেও বামদের কোনোরকম অবস্থার উন্নতি হয়নি । বরং আরও পতন ঘটেছে । তাই আইএসএফের কথা চিন্তা না করেই আদিবাসী দলিত পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে নানা রকম কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ওই সম্মেলনে । এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ৷

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সিপিআইয়ের তরফে কার্যত পক্ষান্তরে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে, বামেরা বরাবরই ভোট মরশুমী শক্তি হিসেবে কাজ করে এসেছে । তাই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও এবং বর্তমান শাসকের এত এত দুর্নীতির পরও তারা কোনোভাবেই নতুন করে জনমানসে গুরুত্ব পাচ্ছে না । তাই সেই গুরুত্ব ফেরাতে যেকোনও পরিস্থিতিতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে সিপিআইয়ের তরফে ।

সূত্রের খবর, শুধু পথে নামা নয় সেই পরিস্থিতি এবং বিষয়কে রাজনৈতিক সংগঠনিক রূপ দিতে সিপিআইয়ের সমস্ত জনসংগঠনগুলোকে মরিয়া হয়ে কাজ করতে হবে বলেও সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে । সার্বিকভাবে বামফ্রন্টের অন্যান্য জোটসঙ্গী নিজের নিজের অবস্থান এবং বামফ্রন্টের জায়গা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছে কি না, সেদিকে লক্ষ্য না রেখেই সিপিআইকেই নিজেদের উদ্যোগে অবস্থা বদলের মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে ।

উল্লেখ্য, ইতিহাস বলছে যে রাজ্যে বামফ্রন্টের রক্তক্ষরণের বিষয়টি একদিনের নয় । বাম জমানার শেষের দিকে 2006 সালে ভোট শতাংশের হারে বামফ্রন্ট 50.2 শতাংশ ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসে । 2011 সালে এক ধাক্কায় 41 শতাংশে 2016 তে 24 শতাংশে । এবং 2019 সালের লোকসভাতে মাত্র 7.5% নেমে আসে । এবং 2021 সালে কার্যত ধূলির সাথে পরিণত হয়ে মাত্র 5.7% ভোট পেয়ে খুশি থাকতে হয় বামেদের ।

আরও পড়ুন : অধীরের আবেদনে সাড়া না দিয়ে তৃণমূল-বিরোধী আন্দোলনে কি একলা চলতে চাইছে বামেরা ?

Last Updated : Sep 1, 2022, 7:44 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.