কলকাতা, 25 নভেম্বর: COVID-19-এর সংক্রমণ এ রাজ্যে আরও বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি ক্রমে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। অথচ, COVID-19 টেস্টের সংখ্যা সেই তুলনায় বাড়ানো হচ্ছে না। যার জেরে প্রকৃত বাস্তবচিত্র প্রকাশ্যে আসছে না। এমনই বলছে এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন।
24 নভেম্বর রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত 24 ঘন্টায় এ রাজ্যে আরও 3,545 জন COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং 49 জন COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে । এই বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রাজ্যের 95টি ল্যাবরেটরিতে গত 24 ঘন্টায় মোট 44,562 জনের COVID-19 টেস্ট করানো হয়েছে। এক মাস আগে গত 24 অক্টোবর রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, 24 ঘন্টায় এ রাজ্যে আরও 4,148 জন COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এবং, 24 ঘন্টায় এ রাজ্যে আরও 59 জন COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ওই বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের 92টি ল্যাবরেটরিতে 24 ঘন্টায় মোট 44,724 জনের COVID-19 টেস্ট করানো হয়েছে।
সরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র এক মাসের ব্যবধানের এই দুই দিনের বুলেটিনের তথ্য নয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের COVID-19 সংক্রান্ত বুলেটিনগুলি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে যে এ রাজ্যে COVID-19 টেস্টের হার কী রকম অবস্থায় রয়েছে। এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "এ রাজ্যে COVID-19 টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না। সেই জন্য COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা এ রাজ্যে কত বেড়ে গিয়েছে, তার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না।" তিনি আরও বলেন, "অথচ, বাস্তব চিত্র অন্য রকম। এ রাজ্যে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।"
COVID-19-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া কমাতে উৎসবের মরসুমে জনসমাগম রোখার কথা বলেছিল সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন ৷ এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছিল আদালতে ৷ চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, শেষ পর্যন্ত উৎসবের মরসুমে সেভাবে জনসমাগম হয়নি, এটা ঠিক। তবে, ইতিমধ্যে লোকাল ট্রেনও চালু করা হয়েছে। নিউ নর্মালে সাধারণ মানুষ ক্রমে নর্মাল হয়ে উঠছেন। এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের অন্য একটি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেলে কোরোনার টেস্টের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। না হলে সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র পাওয়া সম্ভব নয়। অথচ, এ রাজ্যে COVID-19 টেস্টের সংখ্যা একই রকম অবস্থানে রয়েছে। যার জেরে, কোরোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার একই রকম অবস্থানে রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "এ রাজ্যে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, COVID-19 টেস্টের সংখ্যা না বাড়ানোর কারণে প্রকৃত চিত্র বোঝা যাচ্ছে না।"
চিকিৎসকদের সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে COVID-19 টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে । অথচ, এ রাজ্যে সেটা করা হচ্ছে না। বরং, COVID-19 টেস্টের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে COVID-19 নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও দেরি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে উঠছে। যার জেরে একাধিক ক্ষেত্রে কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যু রোখা যাচ্ছে না ।
বাড়ছে না COVID-19 টেস্ট, ভয়াবহ পরিস্থিতি, বলছেন চিকিৎসকরা
সরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র এক মাসের ব্যবধানের এই দুই দিনের বুলেটিনের তথ্য নয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের COVID-19 সংক্রান্ত বুলেটিনগুলি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে যে এ রাজ্যে COVID-19 টেস্টের হার কী রকম অবস্থায় রয়েছে।
কলকাতা, 25 নভেম্বর: COVID-19-এর সংক্রমণ এ রাজ্যে আরও বেড়ে চলেছে। পরিস্থিতি ক্রমে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। অথচ, COVID-19 টেস্টের সংখ্যা সেই তুলনায় বাড়ানো হচ্ছে না। যার জেরে প্রকৃত বাস্তবচিত্র প্রকাশ্যে আসছে না। এমনই বলছে এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন।
24 নভেম্বর রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত 24 ঘন্টায় এ রাজ্যে আরও 3,545 জন COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন এবং 49 জন COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে । এই বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রাজ্যের 95টি ল্যাবরেটরিতে গত 24 ঘন্টায় মোট 44,562 জনের COVID-19 টেস্ট করানো হয়েছে। এক মাস আগে গত 24 অক্টোবর রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, 24 ঘন্টায় এ রাজ্যে আরও 4,148 জন COVID-19-এ আক্রান্ত হয়েছেন। এবং, 24 ঘন্টায় এ রাজ্যে আরও 59 জন COVID-19 আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। ওই বুলেটিনে জানানো হয়েছিল, রাজ্যের 92টি ল্যাবরেটরিতে 24 ঘন্টায় মোট 44,724 জনের COVID-19 টেস্ট করানো হয়েছে।
সরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র এক মাসের ব্যবধানের এই দুই দিনের বুলেটিনের তথ্য নয়। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের COVID-19 সংক্রান্ত বুলেটিনগুলি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে যে এ রাজ্যে COVID-19 টেস্টের হার কী রকম অবস্থায় রয়েছে। এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "এ রাজ্যে COVID-19 টেস্টের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে না। সেই জন্য COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা এ রাজ্যে কত বেড়ে গিয়েছে, তার প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাচ্ছে না।" তিনি আরও বলেন, "অথচ, বাস্তব চিত্র অন্য রকম। এ রাজ্যে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে।"
COVID-19-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া কমাতে উৎসবের মরসুমে জনসমাগম রোখার কথা বলেছিল সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন ৷ এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছিল আদালতে ৷ চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, শেষ পর্যন্ত উৎসবের মরসুমে সেভাবে জনসমাগম হয়নি, এটা ঠিক। তবে, ইতিমধ্যে লোকাল ট্রেনও চালু করা হয়েছে। নিউ নর্মালে সাধারণ মানুষ ক্রমে নর্মাল হয়ে উঠছেন। এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এ রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের অন্য একটি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরসের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেলে কোরোনার টেস্টের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। না হলে সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র পাওয়া সম্ভব নয়। অথচ, এ রাজ্যে COVID-19 টেস্টের সংখ্যা একই রকম অবস্থানে রয়েছে। যার জেরে, কোরোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার একই রকম অবস্থানে রয়েছে।" তিনি আরও বলেন, "এ রাজ্যে COVID-19-এর সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়েছে। তবে, COVID-19 টেস্টের সংখ্যা না বাড়ানোর কারণে প্রকৃত চিত্র বোঝা যাচ্ছে না।"
চিকিৎসকদের সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে COVID-19 টেস্টের সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে । অথচ, এ রাজ্যে সেটা করা হচ্ছে না। বরং, COVID-19 টেস্টের সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে COVID-19 নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও দেরি হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা জটিল হয়ে উঠছে। যার জেরে একাধিক ক্ষেত্রে কোরোনা আক্রান্তের মৃত্যু রোখা যাচ্ছে না ।