ETV Bharat / city

বিজেপির চিকিৎসক সেলের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় সরানো হল কোরোনার কো-অর্ডিনেটরকে - Dr. Pradip Mitra

রাজ্য বিজেপির চিকিৎসক-সেলের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন এ রাজ্যের কোভিড-19-এর ম্যানেজমেন্ট এবং কনটেইনমেন্টের কো-অর্ডিনেটর চিকিৎসক প্রদীপ মিত্র। যার জেরে, কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রদীপ মিত্র জানিয়েছেন, এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই।

প্রদীপ মিত্র
প্রদীপ মিত্র
author img

By

Published : Feb 16, 2021, 10:54 PM IST

কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি : রাজ্য বিজেপির চিকিৎসক-সেলের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন এ রাজ্যের কোভিড-19-এর ম্যানেজমেন্ট এবং কনটেইনমেন্টের কো-অর্ডিনেটর চিকিৎসক প্রদীপ মিত্র। যার জেরে, কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রদীপ মিত্র জানিয়েছেন, এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই।

এই প্রদীপ মিত্র একসময় এসএসকেএম হাসপাতাল তথা কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর অধিকর্তার পদে ছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে এক কুকুরের ডায়ালিসিস করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে প্রদীপ মিত্রর বক্তব্য প্রকাশ হওয়ার পরে আচমকা তাঁকে অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার অনেক পরে এই প্রদীপ মিত্রকেই রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার পদে বসানো হয়েছিল। 2019-এ তখন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছিল। জুনিয়র ডাক্তাররা যাতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন, তার জন্য স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা হিসাবে তখন প্রদীপ মিত্রর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা গিয়েছিল। এর পরে আচমকা তাঁকে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিজেপির চিকিৎসক সেলের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় সরানো হল কোরোনার কো-অর্ডিনেটরকে
প্রদীপ মিত্রকে পদ থেকে সরানোর বিজ্ঞপ্তি

এক সময় সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। এর পর, কোভিড-19-এর এই মহামারিতে, গত বছরের এপ্রিল মাসে প্রদীপ মিত্রকে এ রাজ্যে কোভিড-19-এর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনটেইনমেন্ট-এর কো-অর্ডিনেটর হিসাবে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। এ দিকে গতকাল, 15 ফেব্রুয়ারি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের এক নির্দেশে প্রদীপ মিত্রকে এ রাজ্যের কোভিড-19-এর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনটেইনমেন্ট-এর কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এই পদে চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালিকে বসানো হয়েছে।

এই ঘটনায় চিকিৎসকদের বিভিন্ন মহলে এমন চর্চাও চলছে, প্রদীপ মিত্রকে তাঁর পদ থেকে আচমকা সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি কলকাতায় রাজ্য বিজেপির চিকিৎসক-সেলের একটি অনুষ্ঠানে প্রদীপ মিত্র গিয়েছিলেন বলে আচমকা তাঁকে এ রাজ্যের কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রদীপ মিত্রর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনিও এই বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, "একজন চিকিৎসক হিসাবে সিপিএমের চিকিৎসক-সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়েছি, তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়েছি, বিজেপির চিকিৎসক-সেলের অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে গিয়েছি।"

রাজ্য বিজেপির চিকিৎসক-সেলের ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তবে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অনেক আগে থেকেই আলাপ। এ কথা জানিয়ে প্রদীপ মিত্র বলেন, "হর্ষবর্ধন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তার উপর তিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। ওই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেখানে একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি গিয়েছি। এই স্বাধীনতা কি মানুষের থাকবে না, না কি?"

আরও পড়ুন : রাজ্যের 5টি মেডিক্যাল কলেজের 13টি বিভাগে নিয়োগ একই চিকিৎসক, বিতর্ক

সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পরে গত এপ্রিল মাসে এ রাজ্যে কোভিড-19-এর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনটেইনমেন্ট-এর কো-অর্ডিনেটর হিসাবে প্রদীপ মিত্রকে দায়িত্ব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত, তাই এই পদ থেকে যে কোনও সময়ে প্রদীপ মিত্রকে সরিয়ে দিতে পারে রাজ্য সরকার অথবা, এই পদ থেকে যে কোনও সময়ে সরে যেতে পারেন স্বয়ং প্রদীপ মিত্র। তবে, আচমকা তাঁকে কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অসন্মানজনক বলে চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশের তরফে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে প্রদীপ মিত্র বলেন, "এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র বলতে, বাক্ স্বাধীনতা নেই, নিজস্ব স্বাধীনতা নেই।" তাঁকে কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে আচমকা সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি গণতন্ত্রের উপর আঘাত বলেও তিনি জানিয়েছেন।

কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি : রাজ্য বিজেপির চিকিৎসক-সেলের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন এ রাজ্যের কোভিড-19-এর ম্যানেজমেন্ট এবং কনটেইনমেন্টের কো-অর্ডিনেটর চিকিৎসক প্রদীপ মিত্র। যার জেরে, কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রদীপ মিত্র জানিয়েছেন, এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই।

এই প্রদীপ মিত্র একসময় এসএসকেএম হাসপাতাল তথা কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ-এর অধিকর্তার পদে ছিলেন। এসএসকেএম হাসপাতালে এক কুকুরের ডায়ালিসিস করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমে প্রদীপ মিত্রর বক্তব্য প্রকাশ হওয়ার পরে আচমকা তাঁকে অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনার অনেক পরে এই প্রদীপ মিত্রকেই রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার পদে বসানো হয়েছিল। 2019-এ তখন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছিল। জুনিয়র ডাক্তাররা যাতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন, তার জন্য স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা হিসাবে তখন প্রদীপ মিত্রর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা গিয়েছিল। এর পরে আচমকা তাঁকে স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

বিজেপির চিকিৎসক সেলের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় সরানো হল কোরোনার কো-অর্ডিনেটরকে
প্রদীপ মিত্রকে পদ থেকে সরানোর বিজ্ঞপ্তি

এক সময় সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। এর পর, কোভিড-19-এর এই মহামারিতে, গত বছরের এপ্রিল মাসে প্রদীপ মিত্রকে এ রাজ্যে কোভিড-19-এর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনটেইনমেন্ট-এর কো-অর্ডিনেটর হিসাবে নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। এ দিকে গতকাল, 15 ফেব্রুয়ারি রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের এক নির্দেশে প্রদীপ মিত্রকে এ রাজ্যের কোভিড-19-এর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনটেইনমেন্ট-এর কো-অর্ডিনেটর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এই পদে চিকিৎসক গোপালকৃষ্ণ ঢালিকে বসানো হয়েছে।

এই ঘটনায় চিকিৎসকদের বিভিন্ন মহলে এমন চর্চাও চলছে, প্রদীপ মিত্রকে তাঁর পদ থেকে আচমকা সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি কলকাতায় রাজ্য বিজেপির চিকিৎসক-সেলের একটি অনুষ্ঠানে প্রদীপ মিত্র গিয়েছিলেন বলে আচমকা তাঁকে এ রাজ্যের কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রদীপ মিত্রর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনিও এই বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, "একজন চিকিৎসক হিসাবে সিপিএমের চিকিৎসক-সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়েছি, তৃণমূল কংগ্রেসের চিকিৎসক-সংগঠনের অনুষ্ঠানে গিয়েছি, বিজেপির চিকিৎসক-সেলের অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে গিয়েছি।"

রাজ্য বিজেপির চিকিৎসক-সেলের ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। তবে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অনেক আগে থেকেই আলাপ। এ কথা জানিয়ে প্রদীপ মিত্র বলেন, "হর্ষবর্ধন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তার উপর তিনি নিজেও একজন চিকিৎসক। ওই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেখানে একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি গিয়েছি। এই স্বাধীনতা কি মানুষের থাকবে না, না কি?"

আরও পড়ুন : রাজ্যের 5টি মেডিক্যাল কলেজের 13টি বিভাগে নিয়োগ একই চিকিৎসক, বিতর্ক

সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পরে গত এপ্রিল মাসে এ রাজ্যে কোভিড-19-এর ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কনটেইনমেন্ট-এর কো-অর্ডিনেটর হিসাবে প্রদীপ মিত্রকে দায়িত্ব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এদিকে, অবসরপ্রাপ্ত, তাই এই পদ থেকে যে কোনও সময়ে প্রদীপ মিত্রকে সরিয়ে দিতে পারে রাজ্য সরকার অথবা, এই পদ থেকে যে কোনও সময়ে সরে যেতে পারেন স্বয়ং প্রদীপ মিত্র। তবে, আচমকা তাঁকে কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অসন্মানজনক বলে চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশের তরফে জানানো হয়েছে। এই বিষয়ে প্রদীপ মিত্র বলেন, "এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র বলতে, বাক্ স্বাধীনতা নেই, নিজস্ব স্বাধীনতা নেই।" তাঁকে কোভিড-19-এর কো-অর্ডিনেটরের পদ থেকে আচমকা সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি গণতন্ত্রের উপর আঘাত বলেও তিনি জানিয়েছেন।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.