ETV Bharat / city

রাজ্যে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট ভাঙার পক্ষে কংগ্রেসের একাংশ - বামফ্রন্ট

আসন্ন পৌরনির্বাচন এবং বিধানসভা উপনির্বাচনের আগেই বামেদের সঙ্গে জোট ভাঙতে চাইছে কংগ্রেস ৷ এই মর্মে ইতিমধ্যেই সনিয়া গান্ধি ও রাহুল গান্ধিকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে ৷ বামশরিকদের একাংশের আচরণেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে ৷

Congress wants to break alliance with left front in West Bengal
রাজ্যে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট ভাঙার পক্ষে কংগ্রেসের একাংশ
author img

By

Published : Jun 15, 2021, 9:59 PM IST

কলকাতা, 15 জুন : বামেদের সঙ্গে আর জোটে থাকতে নারাজ কংগ্রেস ৷ বদলে বাংলায় ফের ‘একলা চলো’র নীতিতেই ফিরে যেতে চায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ সূত্রের খবর, নিজেদের মনের কথা জানিয়ে ইতিমধ্য়েই দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi) চিঠি পাঠিয়েছে তারা ৷ শোনা যাচ্ছে, বাম নেতাদের একাংশের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েই এই পদক্ষেপে সায় দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের কেউ কেউ ৷

উল্লেখ্য়, সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে বলা হয়, বামফ্রন্ট ক্রাচ ছাড়াই চলতে পারে ৷ তাই তার মুক্ত অর্থনীতির প্রবক্তাদের সঙ্গে থাকার কোনও দরকার নেই ৷ অন্যদিকে, রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস টেনে নিয়ে এসে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সম্প্রতি ৷ একই পথে হেঁটেছেন নন্দীগ্রামে জোটের পরাজিত প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও ৷

আরও পড়ুন : বঙ্গে জোট না ভাঙার আর্জি জানিয়ে চিঠি মান্নানের, জবাব সোনিয়ার

এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ যদিও বিকাশের দাবি, তিনি ইতিহাসের অবতারণা করেছেন মাত্র ৷ কাউকে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না ৷ তবে তাঁর পোস্টে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি অনুতপ্ত। অন্যদিকে মীনাক্ষীর দাবি, তাঁর যে পোস্ট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেটা আসলে তিনি পোস্টই করেননি ! তবে কংগ্রেস এইসব যুক্তি মানতে নারাজ ৷ বিশেষ করে সাঁইবাড়ি প্রসঙ্গের উত্থাপন তারা ভালভাবে নেয়নি ৷ আর সেই কারণেই জোটসঙ্গীর সঙ্গ ত্যাগ করার পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন রাজ্য়ের কংগ্রেস নেতাদের একাংশ ৷

প্রসঙ্গত, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের জোট একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আইএসএফের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করায় অনেকেই সেই সময় আপত্তি তুলেছিলেন ৷ বস্তুত, আইএসএফ-কে নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন স্বয়ং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury) ৷ সেই অস্বস্তি ব্রিগেডের মঞ্চে কার্যত প্রকাশও করে ফেলেছিলেন তিনি ৷

তখনকার মতো বিষয়টিকে সামাল দিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ৷ তাঁর অনুরোধেই বক্তব্য শেষ করেছিলেন অধীর ৷ অন্যদিকে, সংযুক্ত মোর্চার ইস্তাহার প্রকাশের দিন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছিলেন, এই তিনরঙা জোটের নেতৃত্বে রয়েছে সিপিএম ৷

তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোটের ভরাডুবি হয়েছে ৷ এই অবস্থায় রাজ্য কংগ্রেসকে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে নির্দেশ পাঠিয়েছে হাইকম্য়ান্ড ৷ কর্মীদের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ টিকাকরণ-সহ নানা ইস্যুতে বিজেপি তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন পোক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : ভবিষ্যতে আব্বাস এমন মন্তব্য করবেন না, ব্রিগেড ইস্যুতে আশ্বাস বিমানের

কিন্তু বামফ্রন্ট ও আইএসএফের সঙ্গে জোট কংগ্রেসের নিজস্ব আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্য়া তৈরি করছে বলে মত প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশের ৷ তাঁদের মতে, খাতায়-কলমে জোট হলেও তার প্রভাব তৃণমূলস্তরে দেখা যায়নি ৷ এই প্রেক্ষাপটে বামশরিকদের আচরণ কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়াচ্ছে ৷ তাই বিধানসভার উপনির্বাচন ও পৌরসভাগুলির নির্বাচনের আগেই জোটের দায় ঝেড়ে ফেলছে চাইছে তারা ৷

কলকাতা, 15 জুন : বামেদের সঙ্গে আর জোটে থাকতে নারাজ কংগ্রেস ৷ বদলে বাংলায় ফের ‘একলা চলো’র নীতিতেই ফিরে যেতে চায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ সূত্রের খবর, নিজেদের মনের কথা জানিয়ে ইতিমধ্য়েই দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi) এবং প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধিকে (Rahul Gandhi) চিঠি পাঠিয়েছে তারা ৷ শোনা যাচ্ছে, বাম নেতাদের একাংশের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েই এই পদক্ষেপে সায় দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের কেউ কেউ ৷

উল্লেখ্য়, সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে বলা হয়, বামফ্রন্ট ক্রাচ ছাড়াই চলতে পারে ৷ তাই তার মুক্ত অর্থনীতির প্রবক্তাদের সঙ্গে থাকার কোনও দরকার নেই ৷ অন্যদিকে, রাজ্যসভার সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস টেনে নিয়ে এসে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সম্প্রতি ৷ একই পথে হেঁটেছেন নন্দীগ্রামে জোটের পরাজিত প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও ৷

আরও পড়ুন : বঙ্গে জোট না ভাঙার আর্জি জানিয়ে চিঠি মান্নানের, জবাব সোনিয়ার

এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ যদিও বিকাশের দাবি, তিনি ইতিহাসের অবতারণা করেছেন মাত্র ৷ কাউকে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না ৷ তবে তাঁর পোস্টে যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি অনুতপ্ত। অন্যদিকে মীনাক্ষীর দাবি, তাঁর যে পোস্ট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে, সেটা আসলে তিনি পোস্টই করেননি ! তবে কংগ্রেস এইসব যুক্তি মানতে নারাজ ৷ বিশেষ করে সাঁইবাড়ি প্রসঙ্গের উত্থাপন তারা ভালভাবে নেয়নি ৷ আর সেই কারণেই জোটসঙ্গীর সঙ্গ ত্যাগ করার পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন রাজ্য়ের কংগ্রেস নেতাদের একাংশ ৷

প্রসঙ্গত, বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের জোট একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আইএসএফের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সংযুক্ত মোর্চা গঠন করায় অনেকেই সেই সময় আপত্তি তুলেছিলেন ৷ বস্তুত, আইএসএফ-কে নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন স্বয়ং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury) ৷ সেই অস্বস্তি ব্রিগেডের মঞ্চে কার্যত প্রকাশও করে ফেলেছিলেন তিনি ৷

তখনকার মতো বিষয়টিকে সামাল দিয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ৷ তাঁর অনুরোধেই বক্তব্য শেষ করেছিলেন অধীর ৷ অন্যদিকে, সংযুক্ত মোর্চার ইস্তাহার প্রকাশের দিন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেছিলেন, এই তিনরঙা জোটের নেতৃত্বে রয়েছে সিপিএম ৷

তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোটের ভরাডুবি হয়েছে ৷ এই অবস্থায় রাজ্য কংগ্রেসকে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি নিয়ে নির্দেশ পাঠিয়েছে হাইকম্য়ান্ড ৷ কর্মীদের রাস্তায় নেমে আন্দোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ টিকাকরণ-সহ নানা ইস্যুতে বিজেপি তথা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন পোক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

আরও পড়ুন : ভবিষ্যতে আব্বাস এমন মন্তব্য করবেন না, ব্রিগেড ইস্যুতে আশ্বাস বিমানের

কিন্তু বামফ্রন্ট ও আইএসএফের সঙ্গে জোট কংগ্রেসের নিজস্ব আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্য়া তৈরি করছে বলে মত প্রদেশ নেতৃত্বের একাংশের ৷ তাঁদের মতে, খাতায়-কলমে জোট হলেও তার প্রভাব তৃণমূলস্তরে দেখা যায়নি ৷ এই প্রেক্ষাপটে বামশরিকদের আচরণ কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়াচ্ছে ৷ তাই বিধানসভার উপনির্বাচন ও পৌরসভাগুলির নির্বাচনের আগেই জোটের দায় ঝেড়ে ফেলছে চাইছে তারা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.