ETV Bharat / city

রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে তীব্র মতভেদ প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের - রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোট নিয়ে তীব্র মতভেদ প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের

ইতিমধ্যেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, CPI (M)-র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বাম-কংগ্রেস জোট প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন । কিন্তু, তার পরও সামনে আসেনি কোনও রফাসূত্র ৷

সোমেন মিত্র
author img

By

Published : Aug 17, 2019, 5:13 AM IST

কলকাতা, 17 অগাস্ট : বাম তথা CPI (M)-র সঙ্গে আসন সমঝোতার সূত্র অধরা রয়ে গেল । প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ চাইছেন না, কোনওভাবেই বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হোক । এ নিয়েই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, CPI (M)-র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বাম-কংগ্রেস জোট প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন । কিন্তু, তার পরও সামনে আসেনি কোনও রফাসূত্র ৷

কংগ্রেস সূত্রে খবর, জোট নিয়ে ফের দলের মধ্যেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ৷ একাংশ চাইছেন না আর কোনওভাবেই বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হোক । কিন্তু, জোট বাস্তবায়িত করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র । অন্যদিকে, দিল্লিতে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন সাংসদ অধীর চৌধুরি, অভিযোগ এমনটাই ৷ অধীর নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নন । এটা কানে আসার পরই অধীর বিরোধী গোষ্ঠীর কটাক্ষ, যেহেতু আগামী পাঁচ বছর অধীর চৌধুরি দিল্লির রাজনীতি করবেন সেই কারণে তিনি পশ্চিমবঙ্গকে ব্রাত্য মনে করছেন । আসন সমঝোতার বিষয়ে অধীর চৌধুরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি‌ । তাঁর সাফ কথা, এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে AICC।

অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব সঠিক পথে চলছে না এমন অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে নালিশ জানিয়ে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান । দলের জোট বিরোধীদের একাংশ চাইছে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে কংগ্রেস দুটি আসনে জয়ী হয়েছে । তাদের দাবি, সংগঠনের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া হলে একক ভাবে কংগ্রেস লড়াই করতে পারবে BJP এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে ।

আবার, কোনওরকম ভাবেই আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ দীপা দাশমুন্সি । জোটের বিরোধিতা করেছেন শংকর মালাকারও । পুরুলিয়ার বিধায়ক নেপাল মাহাতো চাইছেন না জোট হোক । বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের অধিকাংশ বিধায়ক । দাবি একটাই, একক ভাবে কংগ্রেস লড়াই করতে পারবে শাসক দলের বিরুদ্ধে । গোটা রাজ্যে কংগ্রেসের সেই শক্তি রয়েছে বলেও মনে করেন তাঁরা ।

অতীতেও বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা নিয়ে বেঁকে বসেছিলেন কংগ্রেসের অনেকে৷ রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য চাননি জোট হোক বামেদের সঙ্গে । অতীতে জোট আলোচনার সময় মেজাজ হারিয়ে জোটপন্থীদের দিকে জলের বোতল ছুড়ে মেরেছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য ৷

সূত্রের খবর, জোটের পক্ষে রয়েছেন সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নানরা । যদিও জোটের জন্য প্রদেশ নেতৃত্ব তাকিয়ে রয়েছে দিল্লি দিকে৷ জোট-বিরোধীদের প্রতি রাহুল-সোনিয়া কী বার্তা দেন, সে দিনেই নজর তাঁদের ৷

কলকাতা, 17 অগাস্ট : বাম তথা CPI (M)-র সঙ্গে আসন সমঝোতার সূত্র অধরা রয়ে গেল । প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ চাইছেন না, কোনওভাবেই বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হোক । এ নিয়েই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় । সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, CPI (M)-র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বাম-কংগ্রেস জোট প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন । কিন্তু, তার পরও সামনে আসেনি কোনও রফাসূত্র ৷

কংগ্রেস সূত্রে খবর, জোট নিয়ে ফের দলের মধ্যেই দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে ৷ একাংশ চাইছেন না আর কোনওভাবেই বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা হোক । কিন্তু, জোট বাস্তবায়িত করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র । অন্যদিকে, দিল্লিতে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন সাংসদ অধীর চৌধুরি, অভিযোগ এমনটাই ৷ অধীর নাকি ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নন । এটা কানে আসার পরই অধীর বিরোধী গোষ্ঠীর কটাক্ষ, যেহেতু আগামী পাঁচ বছর অধীর চৌধুরি দিল্লির রাজনীতি করবেন সেই কারণে তিনি পশ্চিমবঙ্গকে ব্রাত্য মনে করছেন । আসন সমঝোতার বিষয়ে অধীর চৌধুরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি‌ । তাঁর সাফ কথা, এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে AICC।

অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব সঠিক পথে চলছে না এমন অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে নালিশ জানিয়ে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান । দলের জোট বিরোধীদের একাংশ চাইছে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে কংগ্রেস দুটি আসনে জয়ী হয়েছে । তাদের দাবি, সংগঠনের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া হলে একক ভাবে কংগ্রেস লড়াই করতে পারবে BJP এবং শাসক দলের বিরুদ্ধে ।

আবার, কোনওরকম ভাবেই আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ দীপা দাশমুন্সি । জোটের বিরোধিতা করেছেন শংকর মালাকারও । পুরুলিয়ার বিধায়ক নেপাল মাহাতো চাইছেন না জোট হোক । বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের অধিকাংশ বিধায়ক । দাবি একটাই, একক ভাবে কংগ্রেস লড়াই করতে পারবে শাসক দলের বিরুদ্ধে । গোটা রাজ্যে কংগ্রেসের সেই শক্তি রয়েছে বলেও মনে করেন তাঁরা ।

অতীতেও বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা নিয়ে বেঁকে বসেছিলেন কংগ্রেসের অনেকে৷ রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য চাননি জোট হোক বামেদের সঙ্গে । অতীতে জোট আলোচনার সময় মেজাজ হারিয়ে জোটপন্থীদের দিকে জলের বোতল ছুড়ে মেরেছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য ৷

সূত্রের খবর, জোটের পক্ষে রয়েছেন সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নানরা । যদিও জোটের জন্য প্রদেশ নেতৃত্ব তাকিয়ে রয়েছে দিল্লি দিকে৷ জোট-বিরোধীদের প্রতি রাহুল-সোনিয়া কী বার্তা দেন, সে দিনেই নজর তাঁদের ৷

Intro:বামফ্রন্ট তথা সিপিআইএমের সঙ্গে আসন সমঝোতার সূত্র এখনো অধরা রয়ে গেল। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ চাইছেন না, কোনভাবেই সিপিআইএমের সঙ্গে কংগ্রেসের আসন সমঝোতা হোক। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব চূড়ান্ত বিড়ম্বনায় পড়েছেন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বাম কংগ্রেস জোট প্রক্রিয়া নিয়ে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করেছেন। সে বৈঠক এবার ফের ভেস্তে যাওয়ার পথে। কারণ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের অধিকাংশ চাইছেন না বামপন্থী দলের সঙ্গে জোট বাধতে।



Body:জোট নিয়ে ফের অন্তর্দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে কংগ্রেসের মধ্যেই। সোমেন পন্থী একাংশ চাইছেন না আর কোনভাবেই বাম তথা সিপিআইএমের সঙ্গে আসন সমঝোতা হোক। সূত্রের খবর জোট বাস্তবায়িত করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। দিল্লিতে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন সাংসদ অধীর চৌধুরী এমনটাই অভিযোগ করা হচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে।
অধীর চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নন তিনি। অধীর বিরোধী গোষ্ঠির কটাক্ষ যেহেতু আগামী পাঁচ বছর অধীর চৌধুরী দিল্লি রাজনীতি করবেন সেই কারণে আজ তিনি পশ্চিমবঙ্গকে ব্রাত্য মনে করছেন। অথচ এই পশ্চিমবঙ্গ থেকেই জয়ী হয়ে তিনি সাংসদ হয়েছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সিপিআইএম- কংগ্রেস আসন সমঝোতার বিষয়ে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি‌। তিনি জানিয়েছেন আসন সমঝোতা বা জোটের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এ আই সি সি।
অন্যদিকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব সঠিক পথে চলছে না এমন অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে গিয়ে দরবার করে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। কংগ্রেসের জোট বিরোধী একাংশ চাইছে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে কংগ্রেস দুটি আসনে জয়ী হয়েছে। কংগ্রেস যদি সংগঠনের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ দেয়, তাহলে একক ভাবে কংগ্রেস লড়াই করতে পারবে বিজেপি এবং শাসকদলের বিরুদ্ধে। এমনটাই মনে করছে জোট বিরোধী শিবির।
কোন রকম ভাবেই আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ দীপা দাশমুন্সি। জোটের বিরোধিতা করেছেন শংকর মালাকারও। পুরুলিয়ার বিধায়ক নেপাল মাহাতো চাইছেন না জোট হোক। জটিল বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের অধিকাংশ বিধায়কেরা। তারা জানিয়েছেন একক ভাবে কংগ্রেস লড়াই করতে পারবে শাসকদলের বিরুদ্ধে। সমগ্র রাজ্যে কংগ্রেসের সেই সমর্থক রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। অতীতেও বাম-কংগ্রেস আসন সমঝোতা নিয়ে বেঁকে বসেছিল কংগ্রেসের অনেক নেতাই। রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য চাননি আন্তরিকভাবে জোট হোক বামেদের সঙ্গে। অতীতে জোট আলোচনার সময় ধৈর্য হারিয়ে জলের বোতল ছুড়ে মেরেছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য জোট পন্থীদের দিকে।
সূত্রের খবর, জোটের পক্ষে রয়েছেন সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নান প্রমুখ। তবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তাকিয়ে রয়েছে দিল্লি নেতৃত্ব হয়তো বিরোধীদের যেভাবেই হোক রাজি করিয়ে সংগঠন মজবুত করার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন।



Conclusion:

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.