কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদ (MP) জহর সরকারকে (Jawhar Sircar) নিয়ে যেন তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) লুকোচুরি খেলা চলছে ! এখনও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না দল তাঁকে নিয়ে ঠিক কী ভাবছে ! সূত্রের দাবি, দলের তরফ থেকে জহরকে নিয়ে আলোচনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়কে (Sukhendu Sekhar Roy) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ৷ একইসঙ্গে, জহরের কাছ থেকেও দল সম্পর্কে তাঁর অবস্থান নিয়ে স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়েছিল ৷ কিন্তু, এসবের মধ্যে শনিবার হঠাৎই দলীয় সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (TMC MP WhatsApp Group) থেকে জহর সরকারকে 'বের' করে দেওয়া হয় ৷ পরে আবার রাতের দিকে নতুন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (TMC MP New WhatsApp Group) তৈরি করে তাতে সংযুক্ত করা হয় তাঁকে ! আর এই গোটা পর্বের মধ্যে দিয়ে একটা প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে ৷ তা হল, জহর সরকারকে নিয়ে আদতে কী করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস ?
এমনিতে তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য ও অন্যান্য আচরণ দেখে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছিলেন, জহর সরকারকে নিয়ে দল হয়তো কড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে ৷ সেই প্রেক্ষাপটে শনিবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার মাধ্যমে সেই সম্ভাবনাই সুস্পষ্ট হয় ৷ কিন্তু রাতেই নয়া হোয়াট্সঅ্য়াপ গ্রুপ তৈরি করে আবার তাঁকে সংযুক্ত করায় নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে ৷ আর এই সামগ্রিক সংযোজন-বিয়োজন প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কাউকেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি ৷ শুধুমাত্র পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তফাৎ কি থাকল, জহর সরকার প্রসঙ্গে মন্তব্য বাবুলের
এদিকে, জহর সরকারকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় দলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে দাবি সূত্রের ৷ সবথেকে বড় কথা হল, দলীয় সাংসদদের কেউ কেউ নাকি প্রশ্ন তুলছেন, তৃণমূলের হাঁড়ির খবর কীভাবে বাইরে বেরিয়ে আসছে ! বস্তুত, জহরকে পুরনো হোয়াট্সঅ্য়াপ গ্রুপ থেকে বের করে দেওয়ার খবর প্রকাশ্যে চলে আসার জন্যই নাকি ফের নতুন গ্রুপ তৈরি করে তাতে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ! দুর্নীতির আবহে বিতর্ক ধামাচাপা দিতেই এমন পদক্ষেপ করতে হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ ৷ এই অবস্থায় প্রশ্ন হল, তাহলে আগামী দিনে এই তৃণমূল সাংসদের ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে ? জহরের বিরুদ্ধে আদৌ কি কোনও কড়া অবস্থান নেবে শাসকদল ?