কলকাতা, 3 জুন : কলকাতার রাস্তায় আজ থেকে মিলেছে আরও বেশ কয়েকটি রুটের বেসরকারি বাস। তবে এবার অভিযোগ উঠল যে, দু-একটি রুটের বাসের গায়ে বড় বড় করে "কোভিড 19 স্পেশাল ফেয়ার" লেখা স্টিকার লাগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বেশি ভাড়া ।
বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে প্রশাসনের যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে কাটছে। তাই আজ সকাল থেকেই 230 নম্বর রুটের 25 থেকে 30টি বাস রাস্তায় নেমেছে। তবে অভিযোগ, তাঁরা বাসের উপর "কোভিড 19 স্পেশাল ফেয়ার" লেখা স্টিকার লাগিয়ে 5 থেকে 10 টাকা ভাড়া বৃদ্ধি করে বাস চালাচ্ছে। ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস অনার্স অপারেটরস এসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ ঘোষ বলেন যে, "আমাদের সংগঠনের একটি রুটেই আজ এই ঘটনা ঘটেছে। কামারহাটি থেকে আলিপুর জু গামী 230 নম্বর রুটের কয়েকজন বাস মালিক সকালবেলায় এইধরণের স্টিকার লাগিয়ে বাস চালিয়েছেন। তবে আমি খবর পাওয়া মাত্রই সবকটি বাস থেকে কাগজ খুলিয়ে দিয়েছি। এইভাবে কেউ স্টিকার লাগিয়ে ভাড়া বাড়িয়ে বাস চালাতে পারেন না। আমরা যে রেগুলেটরি কমিটির প্রস্তাব করেছি, সেই কমিটি যতক্ষণ না ভাড়া বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছে ততক্ষণ আমরা ভাড়া বাড়াতে পারি না। আমরা কড়া নির্দেশ দিয়েছি যে, যদি বাস চালাতে হয় তাহলে পুরনো ভাড়াতেই বাস চালাতে হবে, না হলে বাস পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে।"
গত মাস থেকে শহরতলির গুটি কয়েক রুটে একটি বা দুটি বেসরকারি বাস চলাচল করলেও কলকাতায় দেখা মেলেনি একটিও বেসরকারি বাসের। তবে দুর্ভোগে পড়া যাত্রীদের কথা ভেবে পয়লা জুন থেকে পরিষেবা দিচ্ছে কিছু সংখ্যক বাস। যদিও তাতে বেসরকারি বাসগুলি লাভের মুখ দেখেনি বলে দাবি সংগঠনগুলির ।
পাশাপাশি 230 নম্বর বাস রুট কমিটির সম্পাদক আহসান মল্লিক বলেন যে, "এই রুটের একটি বাসের ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটেছে। চালকটি নিজেই একটি প্রিন্ট আউট বার করে বাসের সামনে লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এতে সংগঠনের কোনও হাত নেই। আমরা খবর পাওয়া মাত্র তাকে স্টিকার খুলে ফেলতে বলি। তবে আমরা সেই বাসটির পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছি।"বর্ধিত ভাড়া নিয়ে বাস চালানোর অভিযোগের ক্ষেত্রে আহসান মল্লিক বলেন যে, "এতদিন পরে বাস পেয়ে যাত্রীরা খুশি হয়ে নিজে থেকেই কিছু টাকা বেশি দিচ্ছেন।"