কলকাতা,24 ফেব্রুয়ারি:এবার রীতিমত পরীক্ষায় বসতে হবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের। পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে যথেষ্ট দক্ষতা ও জ্ঞান আছে কিনা তা যাচাই করে নিতে চায় কমিশন। তাই এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রথমবার এরকম পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে কমিশন।
কমিশন জানিয়েছে যে অনেক সময় দেখা গেছে যে, প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাবে একাধিক ভুল থেকে যায়। এর ফলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া অকারণে বিলম্বিত হতে থাকে। প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসারদের কাগজপত্রের কাজও করতে হয়। পাশাপাশি তাঁদের আইনি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকাও প্রয়োজন। রিটার্নিং অফিসাররদেরও (আর ও) এই পরীক্ষায় বসতে হবে বলে জানা গেছে। এই আধিকারিকদের যথেষ্ট আইনি ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান আছে কি না তা যাচাই করা হবে। বিশেষ করে যে রিটার্নিং অফিসাররা বিডিও ও এসডিও- র সঙ্গে যুক্ত তারাই নির্বাচন পরিচালনা করে থাকেন। এরা সরাসরি জেলাশাসককে রিপোর্ট করেন। বর্তমানে 350টি প্রশাসনিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ চলছে। তিনদিনের প্রশিক্ষণের পর একটি লিখিত পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট। কেউ যদি এই পরীক্ষায় কৃতকার্য না হয় তবে তাকে আবারও প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
আরও পড়ুন :ব্রিগেডে মোদির সামনে 10 লক্ষ সমর্থক হাজিরের লক্ষ্যমাত্রা বাঁধল বঙ্গ-বিজেপি
20 নম্বরের পরীক্ষায় দুটি পার্ট রয়েছে পার্ট 'এ' ও পার্ট 'বি' । পার্ট 'এ ' অবশ্যই জেনে রাখুন বিভাগ' ও পার্ট বি 'কে জানা যাবে বিভাগ'। প্রতিটি বিভাগে রয়েছে 10 নম্বর। থাকবে মাল্টিপল চয়েসের প্রশ্ন। প্রতিটি বিভাগের উত্তর দেওয়ার জন্য 30 মিনিট বরাদ্দ থাকবে। পাট 'বি' এর জন্য কিছুটা শিথিলতা থাকলেও পাট 'এ' -তে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে না হলে পুনরায় প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এটি একটি অনলাইন পরীক্ষা।