ETV Bharat / city

Durga Puja 2022: ছদ্মনামে লেখা প্রতিবেদনে নেতা-মন্ত্রীদের পুজোর বাজেটের সমালোচনা মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিকের

author img

By

Published : Oct 2, 2022, 12:21 PM IST

নেতা-মন্ত্রীদের বড় বাজেটের দুর্গাপুজোগুলি (Durga Puja 2022) সব কিছুকে কুক্ষিগত করছে ৷ এমনই অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kartik Banerjee Criticises TMC Leaders Big Budget Durga Puja) ৷ তাঁর পুজো বলে পরিচিত কালীঘাট মিলন সংঘের পুজো বার্ষিকিতে এ নিয়ে ছদ্মনামে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন তিনি ৷

cm-mamata-banerjees-brother-kartik-banerjee-criticises-tmc-leaders-big-budget-durga-puja
cm-mamata-banerjees-brother-kartik-banerjee-criticises-tmc-leaders-big-budget-durga-puja

কলকাতা, 2 অক্টোবর: রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের পুজোয় ছাপিয়ে যাচ্ছে মানুষের ভিড় ৷ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঠাকুর দেখছে বাংলা ৷ তবে, প্রায় সমস্ত বড়ো বাজেটের পুজোর সঙ্গেই রাজ্যের কোনও না কোনও হেভিওয়েট নেতা বা মন্ত্রী যুক্ত বলে খবর ৷ সেই দুর্গাপুজোরগুলির (Durga Puja 2022) ভিড়ে ফিকে হয়ে যাচ্ছে বাকি পুজোগুলি ৷ আর এনিয়েই এবার সোচ্চার হলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Kartik Banerjee Criticises TMC Leaders Big Budget Durga Puja) ৷ তিনি নিজে কালীঘাট মিলন সংঘের পুজোর সাধারণ সম্পাদক ৷

কালীঘাট মিলন সংঘ এবছর ‘বিবেক ভাষা’ নামে একটি পুজো বার্ষিকি প্রকাশ করেছেন ৷ সেখানে ‘সর্বজনীন দুর্গোৎসবের ভবিষ্যৎ’ নামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে ৷ সেই প্রতিবেদনের একটি অংশে লেখা রয়েছে, ‘‘কিছু নেতা বা কিছু শক্তিশালী মানুষ পুরোটাই নিজেদের মধ্যে কুক্ষিগত করে রাখছে ৷ সবাইকে বলব, আপনা সজাগ হন, নয়তো সর্বক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী ভূমিকা নেবে এরা ৷’’ প্রতিবেদনের এই অংশটি নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷

শুধু সমালোচনাই নয় ৷ জানা গিয়েছে, ‘সর্বজনীন দুর্গোৎসবের ভবিষ্যৎ’ নামের ওই প্রতিবেদনটির লেখক বিবেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর কেউ নন, স্বয়ং কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রায় 45 হাজার পুজো হয় ৷ একটা সময় সেই সব পুজোগুলি উৎসবের চেহারা নিত ৷ কিন্তু, এখন ব্যয়ভার বহন করার ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ায়, পাড়ার পুজোগুলি ছোট হয়ে যাচ্ছে ৷ নেতা-মন্ত্রীদের 15-16টি পুজোযর মধ্যেই সবাই আটকে আছে ৷ কর্পোরেট সংস্থার সমস্ত টাকা কয়েকজন নিজেদের পুজোগুলিতে তুলে নিচ্ছেন ৷’’

আরও পড়ুন: সপ্তমীর সকালে কলাবউ স্নান গঙ্গার ঘাটে ঘাটে

যদিও, পুরো বিষয়টিকে পুজো রাজনীতি হিসেবেই দেখছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ এর সঙ্গে অন্য কোনও বিতর্ক বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বেপ সম্পর্ক নেই বলে তাঁর দাবি ৷ তিনি বলেন, ‘‘এটাকে পুজো রাজনীতির মধ্যেই রাখতে হবে ৷ কর্পোরেট সংস্থাগুলি কয়েকটি পুজোকেই টাকা দেয় ৷ এটা একটা সমস্যা ঠিকই ৷ সামঞ্জস্য রাখা উচিত ৷ সিপিএম এর আমলেও একই জিনিস ছিল ৷’’

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কোনও নেতা বা মন্ত্রীর পুজো কত বড় বা কোন পুজোয় কত লোকের ভিড় হয় এ নিয়ে গত বছরও একটা তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছিল ৷ আর তার শুরুটা হয়েছিল, প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো থেকে ৷ যেখানে বড় বাজেটের থিমপুজোগুলিকে কটাক্ষ করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁর পুজোয় ভিড় টানতে থিম বা বড় শিল্পীর দরকার পড়ে না ৷ একডালিয়া এভারগ্রিনের নামটাই যথেষ্ঠ ৷

কলকাতা, 2 অক্টোবর: রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের পুজোয় ছাপিয়ে যাচ্ছে মানুষের ভিড় ৷ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঠাকুর দেখছে বাংলা ৷ তবে, প্রায় সমস্ত বড়ো বাজেটের পুজোর সঙ্গেই রাজ্যের কোনও না কোনও হেভিওয়েট নেতা বা মন্ত্রী যুক্ত বলে খবর ৷ সেই দুর্গাপুজোরগুলির (Durga Puja 2022) ভিড়ে ফিকে হয়ে যাচ্ছে বাকি পুজোগুলি ৷ আর এনিয়েই এবার সোচ্চার হলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Kartik Banerjee Criticises TMC Leaders Big Budget Durga Puja) ৷ তিনি নিজে কালীঘাট মিলন সংঘের পুজোর সাধারণ সম্পাদক ৷

কালীঘাট মিলন সংঘ এবছর ‘বিবেক ভাষা’ নামে একটি পুজো বার্ষিকি প্রকাশ করেছেন ৷ সেখানে ‘সর্বজনীন দুর্গোৎসবের ভবিষ্যৎ’ নামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে ৷ সেই প্রতিবেদনের একটি অংশে লেখা রয়েছে, ‘‘কিছু নেতা বা কিছু শক্তিশালী মানুষ পুরোটাই নিজেদের মধ্যে কুক্ষিগত করে রাখছে ৷ সবাইকে বলব, আপনা সজাগ হন, নয়তো সর্বক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী ভূমিকা নেবে এরা ৷’’ প্রতিবেদনের এই অংশটি নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷

শুধু সমালোচনাই নয় ৷ জানা গিয়েছে, ‘সর্বজনীন দুর্গোৎসবের ভবিষ্যৎ’ নামের ওই প্রতিবেদনটির লেখক বিবেক বন্দ্যোপাধ্যায় আর কেউ নন, স্বয়ং কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রায় 45 হাজার পুজো হয় ৷ একটা সময় সেই সব পুজোগুলি উৎসবের চেহারা নিত ৷ কিন্তু, এখন ব্যয়ভার বহন করার ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়ায়, পাড়ার পুজোগুলি ছোট হয়ে যাচ্ছে ৷ নেতা-মন্ত্রীদের 15-16টি পুজোযর মধ্যেই সবাই আটকে আছে ৷ কর্পোরেট সংস্থার সমস্ত টাকা কয়েকজন নিজেদের পুজোগুলিতে তুলে নিচ্ছেন ৷’’

আরও পড়ুন: সপ্তমীর সকালে কলাবউ স্নান গঙ্গার ঘাটে ঘাটে

যদিও, পুরো বিষয়টিকে পুজো রাজনীতি হিসেবেই দেখছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ এর সঙ্গে অন্য কোনও বিতর্ক বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্বেপ সম্পর্ক নেই বলে তাঁর দাবি ৷ তিনি বলেন, ‘‘এটাকে পুজো রাজনীতির মধ্যেই রাখতে হবে ৷ কর্পোরেট সংস্থাগুলি কয়েকটি পুজোকেই টাকা দেয় ৷ এটা একটা সমস্যা ঠিকই ৷ সামঞ্জস্য রাখা উচিত ৷ সিপিএম এর আমলেও একই জিনিস ছিল ৷’’

এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কোনও নেতা বা মন্ত্রীর পুজো কত বড় বা কোন পুজোয় কত লোকের ভিড় হয় এ নিয়ে গত বছরও একটা তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছিল ৷ আর তার শুরুটা হয়েছিল, প্রয়াত পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজো থেকে ৷ যেখানে বড় বাজেটের থিমপুজোগুলিকে কটাক্ষ করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁর পুজোয় ভিড় টানতে থিম বা বড় শিল্পীর দরকার পড়ে না ৷ একডালিয়া এভারগ্রিনের নামটাই যথেষ্ঠ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.