কলকাতা, 18 অগাস্ট : প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে দুই বন্দীর হাতাহাতি ৷ দক্ষিণ কলকাতার একসময়ের ত্রাস শ্রীধর দাসের মুখে ব্লেড চালাল শম্ভু ঘোষ নামে অপর এক বন্দী ৷ ঘটনার জেরে জখম হয় শ্রীধর ৷
আজ সন্ধে নাগাদ সংশোধনাগারে বন্দীদের ঢোকানোর সময়ে শ্রীধর দাস ও শম্ভু ঘোষের মধ্যে হাতাহাতি হয় ৷ তখনই শম্ভু ঘোষ পকেট থেকে ব্লেড বের করে শ্রীধরের উপর হমলা করে ৷ সংশোধনাগারে কর্তব্যরত আধিকারিকরা শম্ভুকে ঘটনাস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় ৷ শ্রীধরের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে ৷ এই ঘটনার জেরে আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ৷ তবে সংশোধনাগারের মধ্যে কীভাবে শম্ভু ব্লেড পেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
আরও পড়ুন : জেল থেকে ইতিহাস! SET পাশ করলেন অর্ণব দাম
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ঢিলছোঁড়া দূরে রাসবিহারীর ‘আদি দক্ষিণ কলকাতা বারোয়ারি সমিতি’র পুজোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক গোলমাল হয় ৷ শ্রীধরকে সামনে রেখে ওই পুজোর দায়িত্ব ছিনিয়ে নিতে তৎপর হয় BJP ৷ এবার ওই বারোয়ারি সমিতির খুঁটিপুজোয় দেখা যায় BJP নেতা অজয় অগ্নিহোত্রীকে ৷ তাঁকে পুজোর সভাপতিও করা হয়েছিল ৷ এরইমধ্যে ঘৃতাহুতি দেয় পুজো কমিটির সঙ্গে BJP নেতা সায়ন্তন বসুর বৈঠক ৷ সায়ন্তন পুজা কমিটির অফিস থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরেই গোলমাল শুরু হয় ৷ একাধিক বাড়ি ভাঙচুর হয় ৷ অভিযোগ, সেই সময় শ্রীধর অস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দেয় ৷ এমন কী, মহিলাদের শ্লীলতাহানিও করে ৷ অস্ত্রআইন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ কিছুদিন আগে পর্যন্ত শ্রীধর তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল । ইদানিং সে BJP-র দিকে পা বাড়ায় ।
অন্যদিকে, নিউ আলিপুরে রীতিমতো নাটকীয় কায়দায় ব্যবসায়ী অপহরণের অন্যতম পান্ডা শম্ভু দত্তও রয়েছে জেলে । গত 26 জুন অপহরণ করা হয় অরিন্দম ধরকে । রীতিমতো জলপাই উর্দি পরে অপহরণের চেষ্টা চলে । কিন্তু উপস্থিত বুদ্ধির জোরে সে যাত্রায় বেঁচে যান অরিন্দম । তদন্তে জানা যায়, অরিন্দমের মামার বন্ধু তপন সাহার মাথা থেকে বেরিয়েছে এই অপহরণের ছক । এর জন্য তিনি ভাড়া করেন সাহাপুর এলাকার উঠতি ডন রাজা দত্তকে । রাজার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শম্ভু । তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।