কলকাতা, 20 সেপ্টেম্বর: গরুপাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) ধৃত এনামুল হকের তিন ভাগ্নের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে (Enamul Haque Nephews Property) বলে জানতে পেরেছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি ৷ কিন্তু, সেই সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছে না রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর সিআইডি ৷ তাই সেই বিপুল সম্পত্তির সঠিক হিসাব পেতে এবং তার উৎস খুঁজে বের করতে ফরেন্সিক অডিটের সাহায্য (CID Takes Forensic Audit Help) নিতে চলেছেন সিআইডি আধিকারিকরা ৷ ভবানী ভবন সূত্রে খবর, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই ফরেন্সিক অডিটের বিষয় নিয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷
ভবানী ভবন সূত্রে খবর, তিহার জেলে বন্দি এনামুল গরুপাচার থেকে পাওয়া টাকা তাঁর 3 ভাগ্নের সাহায্যে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে হাওয়ালার মাধ্যমে পাচার করিয়েছে ৷ তার বাইরেও এনামুলের এই তিন ভাগ্নের প্রচুর বেহিসাবি সম্পত্তি রয়েছে ৷ সিবিআই এর পাশাপাশি সিআইডি গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে সেই সম্পত্তির খোঁজ শুরু করেছে ৷ তবে, তাঁদের সেই হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ পাচ্ছে না রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা ৷ তাই এ বার ফরেন্সিকের সাহায্য নিচ্ছে সিআইডি ৷
আরও পড়ুন: গরুপাচার কাণ্ডে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির যোগ মিলল সিআইডি তদন্তে
ফরেন্সিক অডিটের মাধ্যমে এনামুলের 3 ভাগ্নের সেই সব সম্পত্তি ও তার উৎস খুঁজে বের করা হবে ৷ চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই ফরেন্সিক অডিট করা নিয়ে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই ভবানী ভবন সূত্রের খবর ৷ সিআইডি’র একটি সূত্র জানাচ্ছে, গরুপাচার কাণ্ডে শুধুমাত্র যে অনুব্রত মণ্ডল আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তেমনটা নয় ৷ এই গরুপাচারে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই এনামুল হকের তিন ভাগ্নেও ৷ চাল কল, আমদানি-রফতানি এবং ডাম্পার পরিবহণ ব্যবসার আড়ালে গরুপাচারের সঙ্গে ওতঃপ্রতভাবে জড়িত রয়েছে এনামুল হকের তিন ভাগ্নে ৷ ইতিমধ্যে, গরুপাচার কাণ্ডে এনামুলের বেশ কয়েকজন আত্মীয় সিআইডি’র স্ক্যানারে রয়েছে বলে সূত্রের খবর ৷