ETV Bharat / city

Chittaranjan Hospital: ওষুধ না-মেলায় স্বাস্থকর্মীকে মারধর, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

author img

By

Published : Jul 27, 2022, 9:16 PM IST

পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী বা যে কোনও সরকারি কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধর বা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় । রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এবং রাজ্য সরকারের একাধিক নির্দেশিকা রয়েছে (Chittaranjan Hospital Health worker beaten for not giving medicine) ।

Chittaranjan Hospital News
Chittaranjan Hospital News

কলকাতা, 27 জুলাই: চিত্তরঞ্জন সেবা সদন ও শিশু হাসপাতালে কর্মরত এক স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে । আগামিকাল বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে (Chittaranjan Hospital Health worker beaten for not giving medicine) ।

পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী বা যে কোনও সরকারি কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধর বা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় । তা সত্ত্বেও প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায় । মার খাওয়ার পর পুলিশ-প্রশাসন তো ছাড়, হাসপাতালও পাশে না-থাকায় শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মিহির রঞ্জন মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি ।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, 2021 সালের 11 ডিসেম্বর চেতলার এক রোগী কলকাতা চিত্তরঞ্জন সেবা সদন ও শিশু সদনে চিকিৎসার জন্য আসেন । রোগীকে বেশ কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে সেগুলি হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে নিতে বলা হয় । সেই সময় সেখানকার দায়িত্বে ছিলেন মিহির রঞ্জন মণ্ডল । রোগীর পরিবারকে তিনি জানান, তাঁদের কাছে যে যে ওষুধ রয়েছে সেগুলোই দিতে পারবেন । বাকি বাইরে থেকে কিনে নিতে হবে । এরপরেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা ফার্মেসির মধ্যে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন । সাহায্যের জন্য কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক এনসি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য চাইলেও তিনি কোনও সাহায্য করেননি বলেও অভিযোগ ।

সরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে এইভাবে রোগীর পরিবারের মারধর করা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও কোনওরকম সাহায্য না-করায় ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মিহির রঞ্জন মণ্ডল । তাঁর অভিযোগ, রোগীর পরিবারের সদস্যরা শাসকদলের কর্মী-সমর্থক ৷ সে কারণেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ-প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি । বরং তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি সমঝোতা করে নিতে ।

আরও পড়ুন : মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন, রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

মামলাকারীর আইনজীবী আশিস কুমার চোধুরী জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার পরেই তাঁকে চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শো-কজ করে ৷ সরকারি হোক বা বেসরকারি, হাসপাতালে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে পুলিশ সেই ঘটনায় জড়িত রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।

কলকাতা, 27 জুলাই: চিত্তরঞ্জন সেবা সদন ও শিশু হাসপাতালে কর্মরত এক স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে । আগামিকাল বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে (Chittaranjan Hospital Health worker beaten for not giving medicine) ।

পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী বা যে কোনও সরকারি কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধর বা তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় । তা সত্ত্বেও প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায় । মার খাওয়ার পর পুলিশ-প্রশাসন তো ছাড়, হাসপাতালও পাশে না-থাকায় শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মিহির রঞ্জন মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি ।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, 2021 সালের 11 ডিসেম্বর চেতলার এক রোগী কলকাতা চিত্তরঞ্জন সেবা সদন ও শিশু সদনে চিকিৎসার জন্য আসেন । রোগীকে বেশ কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে সেগুলি হাসপাতালের ফার্মেসি থেকে নিতে বলা হয় । সেই সময় সেখানকার দায়িত্বে ছিলেন মিহির রঞ্জন মণ্ডল । রোগীর পরিবারকে তিনি জানান, তাঁদের কাছে যে যে ওষুধ রয়েছে সেগুলোই দিতে পারবেন । বাকি বাইরে থেকে কিনে নিতে হবে । এরপরেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা ফার্মেসির মধ্যে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন । সাহায্যের জন্য কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক এনসি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য চাইলেও তিনি কোনও সাহায্য করেননি বলেও অভিযোগ ।

সরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন স্বাস্থ্যকর্মীকে এইভাবে রোগীর পরিবারের মারধর করা এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেও কোনওরকম সাহায্য না-করায় ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মিহির রঞ্জন মণ্ডল । তাঁর অভিযোগ, রোগীর পরিবারের সদস্যরা শাসকদলের কর্মী-সমর্থক ৷ সে কারণেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ-প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি । বরং তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি সমঝোতা করে নিতে ।

আরও পড়ুন : মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন, রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

মামলাকারীর আইনজীবী আশিস কুমার চোধুরী জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ার পরেই তাঁকে চিত্তরঞ্জন সেবা সদন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শো-কজ করে ৷ সরকারি হোক বা বেসরকারি, হাসপাতালে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে পুলিশ সেই ঘটনায় জড়িত রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.