কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর : পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী মামলার সবে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI) ৷ কিন্তু এর মধ্যেই রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) বিস্তর গাফিলতি নজরে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ৷ তাদের দাবি, রাজ্য পুলিশের দায়ের করা মামলার সঙ্গে বিস্তার ফারাক রয়েছে ওই একই ঘটনায় সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলার । প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআইয়ের অভিযোগ, খুন ও বিশেষ করে ধর্ষণের ঘটনাকে গুরুত্ব দেয়নি রাজ্য পুলিশ ৷ তাই তদন্তকারী সংস্থার আতস কাচের তলায় রয়েছেন রাজ্য পুলিশের বেশ কয়েকজন আধিকারিক ।
এর মধ্যেই সিবিআই আধিকারিকের বিভিন্ন এফআইআর দাখিল করতে শুরু করেছে । এখনও পর্যন্ত 31টি এরকম এফআইআর দাখিল করেছে সিবিআই ৷ তার মধ্যে ধর্ষণের মামলা রয়েছে 6টি । 15টি খুনের মামলা এবং বাকি দশটি হল শ্লীলতাহানি, খুনের হুমকি, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ বা এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করার মতো অপরাধ ।
ছয় সপ্তাহের মধ্যে আদালতে সিবিআইকে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে । সিবিআই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট সিবিআইয়ের দাখিল করা প্রায় 84টি এফআইআরের উল্লেখ থাকবে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিবিআই আধিকারিক বলেন, "কিন্তু এখন মনে হচ্ছে উল্লিখিত এফআইআরের সংখ্যা একশো ছাড়িয়ে যাবে স্ট্যাটাস রিপোর্টে ৷"
স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে, সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় কোমর বেঁধে তদন্তে নেমেছেন । শুধু ঘটনাস্থল পরিদর্শনই নয়, তার থেকেও বেশি সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা জোর দিচ্ছেন কেস ডায়েরির উপর । ফলে এবার সিবিআই সূত্রে খবর, সংস্থার বাঘা বাঘা সাতজন আধিকারিককে কলকাতায় আনা হচ্ছে । এই সাত দুঁদে গোয়েন্দা কেস ডায়েরি বা এফআইআর লিখতে সিদ্ধহস্ত ।
আরও পড়ুন : Post Poll Violence: নিহত বিজেপি কর্মীর ডিএনএ রিপোর্ট হাইকোর্টের কাছে চাইল সিবিআই
সিবিআই গোয়েন্দারা মূলত চারটি জোনে নিজেদের ভাগ করে নিয়েছেন । একটি ক্যাম্প করা হয়েছে দুর্গাপুরে । সেখান থেকে মূলত বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ কয়েকটি পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির ভোট পরবর্তী মামলার তদন্ত করা হচ্ছে । অপর ক্যাম্প হচ্ছে উত্তরবঙ্গের জন্য । কোচবিহারে সেই ক্যাম্পের প্রস্তুতি চলছে ৷ এই জেলা থেকে সব থেকে বেশি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এসেছে । কলকাতা থেকে এত দূরে গিয়ে আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা সময় সাপেক্ষ । তাই এই ব্যবস্থা ৷ ফলে বোঝাই যাচ্ছে, সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা যে একেবারে আঁটঘাট বেঁধে আইন মোতাবেক তদন্তে নেমেছেন ৷
আরও পড়ুন : Calcutta High Court : লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকার জোগান, বঞ্চিত কর্মচারীরা, ডিএ মামলায় কটাক্ষ আইনজীবীর