কলকাতা, 29 মার্চ: নারদকাণ্ডে কিছু নথি পরীক্ষার জন্য অ্যামেরিকা এবং গুজরাতের গান্ধিনগরে পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট হাতে পেতে মাস খানেক সময় লাগবে বলে আজ কলকাতা হাইকোর্টে জানাল CBI-এর আইনজীবী। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি 12 সপ্তাহ সময় দিয়েছেন। 12 সপ্তাহ পর আবারও এই মামলার শুনানি হবে। এর মধ্যে CBI-কে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। একইসঙ্গে বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী 16 সপ্তাহ পর্যন্ত অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না।
নারদ স্টিং অপারেশন সংক্রান্ত মামলায় আজ CBI-র তরফে আইনজীবী অমাজিৎ দে বলেন, "মিউচুয়াল লিগাল এগ্রিমেন্ট চুক্তি অনুযায়ী ম্যাথুর ফোন অ্যামেরিকায় পাঠানো হয়েছিল। কারণ আসল ফুটেজ ডিলিট হয়ে গেছিল। তাই একমাত্র সংস্থাই বলতে পারে ফুটেজগুলো আসল কি নকল? সেই রিপোর্ট এখনও অ্যামেরিকা থেকে আসেনি। হয়তো মাস খানেক লাগবে। অন্যদিকে গুজরাতের গান্ধিনগরে ভয়েস টেস্টের জন্য যে সমস্ত নথি পাঠানো হয়েছিল সেই রিপোর্ট এখনও আসেনি। সেটাও মাস খানেকের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।"
নারদ স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-নেত্রীকে টাকা নিতে দেখা যায়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে CBI। নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো ফুটেজে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এবং বিধায়ক ও কলকাতা পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদকেও টাকা নিতে দেখা গেছিল। CBI-এর দায়ের করা FIR-কে অবৈধ ঘোষণা করে মামলা খারিজ করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অপরূপা এবং ইকবাল আহমেদ। সেই মামলারই শুনানি চলছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির সিঙ্গল বেঞ্চে।
এর আগে গতবছরের 14 ডিসেম্বর নারদ মামলায় অপরূপা পোদ্দার সহ অন্যদের ব্যাপারে তদন্ত চালানোর জন্য আরও দু'মাস সময় চেয়ে নিয়েছিল CBI। কারণ অ্যামেরিকার ওই সংস্থা এবং গান্ধিনগরে ল্যাবে পাঠানো নথি সংক্রান্ত রিপোর্ট হাতে পেতে আরও দু'মাস লাগবে তারা জানিয়েছিল। সেই অনুযায়ী বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি শুনানির জন্য আজকের দিনটি ঠিক করেছিলেন। এবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিল, আগামী 16 সপ্তাহ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না CBI।