কলকাতা, 23 অগস্ট: রাজ্যে গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) তদন্তে নেমে বীরভূমের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে সিবিআই ৷ জোগাড় করেছে পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ ৷ তার থেকেই এ বার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য এল সিবিআই-এর হাতে (CBI)।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ আব্দুল লতিফ গরু বোঝাই লরি এবং ছোট গাড়ি বীরভূমের ইলামবাজার থেকে লোহাপুর পর্যন্ত পাস করানোর দায়িত্বে ছিল । আর সেই গরু ভর্তি গাড়ি সবার আগে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সন্তুষ্ট রাখতে হত বীরভূম জেলার বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে । মাস গেলে থানায় মুখ বন্ধ খাম (Money in sealed envelope) পৌঁছে দিতে হত আব্দুল লতিফকে ।
ইতিমধ্যেই আব্দুল লতিফের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে সিবিআই-এর গোয়েন্দারা একাধিক তথ্য এবং নথিপত্র হাতে পেয়েছেন । সেখান থেকেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, মাস গেলে বীরভূম জেলার একাধিক পুলিশ আধিকারিককে টাকা দিয়ে খুশি রাখতে হত এবং তাঁরা টাকা পেয়ে রাতের অন্ধকারে গরু ভর্তি লরি ও ছোট গাড়িগুলিকে পাস করিয়ে দিতেন ।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর আর্থিক লেনদেনের খোঁজে বোলপুরে একটি ব্যাংকে সিবিআই
জানা গিয়েছে, গরু ভর্তি বড় লরি পাস করানোর জন্য পুলিশকে দিতে হত 20 হাজার টাকা এবং ছোট গাড়ি পাস করানোর জন্য দিতে হত 5 হাজার টাকা । ইতিমধ্যেই গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই এর স্ক্যানারে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক । জানা গিয়েছে, গরু পাচারের টাকা থেকে এই পুলিশ কর্মীরাও বিভিন্ন সময়ে লাভবান হয়েছেন । ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে যে, 2014 সাল থেকে 2021 সাল পর্যন্ত বীরভূম জেলায় একটিও গরু বোঝাই লরি বা ছোট গাড়ি কেন আটক করা হয়নি অথবা এই পাচার কাণ্ডে কেন কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বীরভূম জেলা পুলিশ (Birbhum Police)?