কলকাতা, 26 জুলাই : রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা টিকাকরণের কী পরিস্থিতি, তা জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট । এই সংক্রান্ত একাধিক জনস্বার্থ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জানতে চেয়েছেন, টিকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার কী পদ্ধতি অবলম্বন করেছে ? বা কী নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, তাও জানাতে হবে আদালতকে ।
আরও পড়ুন : NHRC Report : জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হাইকোর্টে সওয়াল অভিষেক মনু সিংভির
পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মোট কত মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন, কী কী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, কত সংখ্যক মানুষ কোন কোন ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাও কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল আদালত । একইসঙ্গে জনসংখ্যার অনুপাত অনুসারে ঠিকঠাক ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে কি না, তাও জানানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের ডিভিশন বেঞ্চ ।
আদালত তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, কোন ব্যক্তি কী ভ্যাকসিন পাচ্ছেন, তার হিসেব রাখা অত্যন্ত জরুরি । কারণ, টিকা নেওয়ার পরেও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন । ফলে কার্যকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার পর্যালোচনার জন্য টিকা গ্রহণকারীদের সমস্ত তথ্য নথিবদ্ধ হওয়া দরকার । একইসঙ্গে দেশের মোট কত মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন , কী কী ভ্যাকসিন নিয়েছেন, কত সংখ্যক মানুষ কোন কোন ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাও কেন্দ্রের কাছে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ।
আরও পড়ুন : ডিভিশন বেঞ্চের অনুমতি ছাড়া উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ নয়, হাইকোর্টে ধাক্কা সরকারের
করোনার ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া, পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা ,অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় ওষুধের কালোবাজারি বন্ধ করার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও সিপিআইএম নেতা ফুয়াদ হালিম । এরপর একই দাবিতে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে ৷
সেই সমস্ত মামলা আজ একসঙ্গে শুনানি হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে । এর আগেও সর্বজনীন টিকাকরণের ব্যাপারে কেন্দ্রের মতামত জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট ।
আরও পড়ুন : Calcutta High Court : না জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হল মামলা, ক্ষুব্ধ বিচারপতি