কলকাতা 18 ফেব্রুয়ারি : করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই সামলে উঠেছে রাজ্য ৷ প্রথম, দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর করোনার তৃতীয় ঢেউ স্তিমিত ৷ প্রাথমিক থেকে হাইস্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার খুলে গিয়েছে ৷ এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলের বেতনের কুড়ি শতাংশ কম দেওয়ার যে সুযোগ ছিল পড়ুয়াদের কাছে, তা আর থাকছে না ৷ অর্থাৎ 80 শতাংশ নয়, এখন থেকে পুরো বেতনই দিতে হবে (School Fees) ৷ পয়লা মার্চ থেকে নিজেদের মতো করে বেতন চাইতে পারবে স্কুলগুলি ৷ পাশাপাশি অভিভাবকদের অবিলম্বে মিটিয়ে দিতে হবে বকেয়া ফি ৷ এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল স্কুল ৷ তবে অনলাইনে চলছিল পড়াশোনা ৷ তবে হঠাৎ উদ্ভুত ওই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকই বেসরকারি স্কুলের বেতন দিতে পারছিলেন না ৷ এছাড়া স্কুলগুলি অযৌক্তিক ফি নিচ্ছে বলেও অভিযোগ ছিল অনেকের ৷ স্কুলের ফি কমানোর দাবিতে অভিভাবকরা সরব হয়েছিলেন ৷ বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত ৷ বেসরকারি স্কুলগুলি অযৌক্তিক ফি নিচ্ছে, এই অভিযোগে একাধিক মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে (calcutta high court) ৷
মানবিকতার খাতিরে 2020 সালে স্কুলগুলিকে বেতন বৃদ্ধি না-করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত ৷ এবং বকেয়া বেতন মেটাতে না-পারলে পড়ুয়াদের বহিষ্কার না-করার নির্দেশও দেওয়া হয় ৷ এর পাশাপাশি লকডাউনে কারণে স্কুলের বেতনের কুড়ি শতাংশ কম দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয় ৷ বকেয়া বেতন মেটাতে না-পারলেও অনলাইনে পড়াশুনা ও পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে যেন স্কুলগুলি বাধা সৃষ্টি না-করে সেই নির্দেশও পৌঁছেছিল স্কুলগুলির কাছে ৷ তবে এই সুবিধা শুধুমাত্র করোনা পরিস্থিতি বিচার করে নেওয়া হয়েছিল ৷ বর্তমানে সেই অচল পরিস্থিতি আর নেই ৷ করোনা আতঙ্ক দূরে সরিয়ে বছর দুয়েক পর খুলে গিয়েছে স্কুল ৷ ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো করে এখন বেতন চাইতেই পারে ৷ অর্থাৎ, এখন থেকে স্কুলগুলিকে পুরো বেতন দিতে হবে পড়ুয়াদের ৷
আরও পড়ুন : Ahmedabad Blasts Case : আমেদাবাদ বিস্ফোরণ মামলায় 38 জনকে প্রাণদণ্ড দিল আদালত
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, 1 মার্চ থেকে স্কুলগুলি নিজেদের মতো করে বেতন চাইতে পারবে ৷ এছাড়া অভিভাবকদের বকেয়া ফি-র অন্তত 50 শতাংশ অবিলম্বে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ আগামি 25 মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি ৷ তাই 25 মার্চ পর্যন্ত কোনও স্কুল বকেয়া ফি নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না ৷