কলকাতা, 11 মে : ক্যানসার আক্রান্ত সহ-শিক্ষিকা ছুটি নেওয়ার জন্য বেতন কেটেছিলেন প্রধান শিক্ষিক । সুবিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা ৷ সেই মামলাতেই শিক্ষিকার কেটে নেওয়ার বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত ৷ পাশাপাশি ওই প্রধান শিক্ষককে ভর্ৎসনাও করলেন বিচারপতি ৷ স্পষ্ট জানালেন, ওই ব্যক্তি প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যই নন (Calcutta High Court over Salary Deduction of Cancer Patient Teacher) ৷
আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া মহাত্মা গান্ধি বিদ্যাপিঠের ভূগোলের শিক্ষিকা সুনীতা সাউ । ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য ভেলোরে গিয়েছিলেন । তার জন্য 12 দিনের বেতন কেটে নিয়েছে স্কুল । শিক্ষিকার অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁর বাড়িতে লোক পাঠিয়ে খবর নেয় তিনি সত্যিই অসুস্থ কিনা ৷ তারপরও তাঁর বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে ।
বাধ্য হয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শিক্ষিকা । গতকাল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় প্রধান শিক্ষককে আদালতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন । এদিন শিক্ষিকা আদালতে আসেন ৷ বিচারপতি দীর্ঘক্ষণ প্রধান শিক্ষক ও তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন । প্রধান শিক্ষক অজয়কুমার যাদবের অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা নানা অজুহাতে কখনও দেরিতে আবার কখনও স্কুলে আসেনই না ৷ আবার কখনও আগে স্কুল থেকে চলে যান । সেই কারণেই তাঁর বেতন কাটা হয়েছিল । তবে সবপক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি প্রধান শিক্ষককে ভর্ৎসনা করেন এবং অসুস্থ শিক্ষিকার কেটে নেওয়া বােতন ফেরত দেওয়ার কথা বলেন ৷ নির্দেশ দেন, আগামী 17 জুনের মধ্যে যে 12 দিনের বেতন কেটেছিল স্কুল তা যেন ফেরত দেয় শিক্ষিকাকে ৷
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই শিক্ষককে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করেন ৷ প্রধান শিক্ষক অজয়কুমার যাদব সম্পর্কে বিচারপতি সংশ্লিষ্ট স্কুলকে বলেন, "ওই শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে থাকার যোগ্য নন ৷ ওঁকে সরিয়ে দেওয়া উচিত ৷ বললেন, "আপনি প্রধান শিক্ষক থাকার যোগ্যই নন ।"