কলকাতা, 8 সেপ্টেম্বর : প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত আসনে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ৷ বুধবার এই বিষয়ে বোর্ডের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ আদালতের সামনে প্রধান যে অভিযোগটি তুলে ধরা হয়েছে, তা হল, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে নিয়োগের সময় প্রাথমিকেই কর্মরত পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য কিছু আসন সংরক্ষিত করে রাখা হয় ৷ কিন্তু, সেখানে বেআইনিভাবে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত পার্শ্বশিক্ষকদের চাকরি দেওয়া হয়েছে ৷ বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিগোচর হতেই এ নিয়ে রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে এই রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে ৷
মামলাকারীর আইনজীবী সৌমিক প্রামাণিকের বক্তব্য, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া চলছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে 16 হাজারেরও বেশি পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় ৷ চলতি বছরের 15 ফেব্রুয়ারি সেই তালিকা প্রকাশ্যে আসে ৷ সেখানে কর্মরত পার্শ্বশিক্ষকদের জন্য 10 শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল ৷ নিয়ম মাফিক, এই সংরক্ষণ কেবলমাত্র প্রাথমিকে কর্মরত পার্শ্বশিক্ষকদের জন্যই প্রযোজ্য ৷ সেই 10 শতাংশ আসনের জন্য 274 জনের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয় ৷ তার মধ্যে একাধিক এমন ব্যক্তির নাম পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পার্শ্বশিক্ষক হিসাবে কর্মরত ছিলেন ৷ যা একেবারেই বেআইনি ৷ গোটা বিষয়টি আদালতের নজরে এনে রুজু হয়েছে মামলা ৷
আরও পড়ুন : School Service Commission: স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর কোনও ভরসা নেই, ক্ষোভে মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি
এর আগে মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর নির্দেশে জানিয়েছিলেন, যদি দেখা যায় এমন কোনও অনিয়ম হয়েছে, তাহলে সেই পার্শ্বশিক্ষকদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে ৷ আদালতের এই হুঁশিয়ারির পরই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ এমন পাঁচজন পার্শ্বশিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে ৷ সেই পাঁচজন বুধবার গোটা ঘটনা জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানান, কারও বেতন বন্ধ করার নির্দেশ আদালত দেয়নি ৷ তাছাড়া, এই মামলা এখনও বিচারাধীন ৷ আগে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ তাদের রিপোর্ট আদালতে পেশ করুক, তারপরই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে ৷