ETV Bharat / city

SSC Recruitment Scam: 30 জুনের মধ্যে অঙ্কিতার পদে ববিতাকে নিয়োগের নির্দেশ, দিতে হবে অঙ্কিতার বেতনের ফেরতের টাকাও

author img

By

Published : Jun 24, 2022, 3:47 PM IST

Updated : Jun 24, 2022, 5:25 PM IST

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় ফের দৃষ্টান্তমূলক রায়দান কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ৷ অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) পদ এবং ফেরত দেওয়া বেতন পাবেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar) ৷

Calcutta High Court directs to recruit Babita Sarkar on Ankita Adhikari post
SSC Recruitment Scam: অঙ্কিতার পদে ববিতাকে নিয়োগের নির্দেশ, পাবেন অঙ্কিতার ফেরত দেওয়া বেতনের টাকাও

কলকাতা, 24 জুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় আবারও দৃষ্টান্তমূলক রায়দান করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ দেন, অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) পদ ববিতা সরকারকে (Babita Sarkar) দিতে হবে ৷ সেইসঙ্গে, অঙ্কিতার ফেরত দেওয়া বেতনের টাকাও দেওয়া হবে ববিতাকেই ৷

উল্লেখ্য, এই ববিতার প্রচেষ্টাতেই এসএসস নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ৷ মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি পাইয়ে দিতে তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন ববিতা ৷ যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে চাকরি যায় অঙ্কিতার ৷ এমনকী, এত দিন তিনি যে বেতন পেয়েছেন, তা তাঁকে ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত ৷ ইতিমধ্যেই বেতনের প্রথম কিস্তির টাকা ফেরত দিয়েছেন অঙ্কিতা ৷ এবার সেই টাকা পাবেন ববিতা ৷

আরও পড়ুন: Ankita Returns First Instalment of Money : আদালতের নির্দেশে মেনে প্রায় 8 লক্ষ টাকা প্রথম কিস্তিতে ফেরত দিলেন পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা

প্রসঙ্গত, এসএসসি-র প্রাথমিক তালিকা অনুসারে ববিতার নাম ছিল 20 নম্বরে ৷ স্কুলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে ৷ কিন্তু, পরে সেই তালিকা সংশোধন করা হয় ৷ তাতে ববিতার নাম চলে যায় 21 নম্বরে ৷ ববিতা জানতে পারেন, অঙ্কিতা অধিকারী নামে একজনকে তালিকায় ঢোকানো হয়েছে বলেই তাঁর ব়্যাঙ্ক এক ধাপ নীচে নেমে গিয়েছে ৷ এরপরই আইনি পথে লড়াই শুরু করেন ববিতা ৷ সেই মামলায় ইতিমধ্যেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে ৷ তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই ৷

আদালতের নির্দেশে খুশি অঙ্কিতা ৷

মামলা চলাকালীন জানা যায়, বেআইনিভাবেই কোচবিহারের ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল অঙ্কিতাকে ৷ ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি ৷ সেই ফাঁকা পদেই এবার ববিতাকে নিয়োগ করা হবে ৷ এই প্রক্রিয়া আগামী 30 জুনের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি, জেলা ডিআই-কেও বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী সাতদিনের মধ্যে ববিতা যাতে কাজে যোগ দিতে পারেন, তা তাঁকেই নিশ্চিত করতে হবে ৷ সেইসঙ্গে, আগামী 10 দিনের মধ্যে ববিতার হাতে অঙ্কিতার ফেরত দেওয়া 8 (আট) লক্ষ টাকাও তুলে দিতে হবে ৷

প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চান, ববিতা সরকারকে ইতিমধ্যে চাকরি দেওয়া হয়েছে, নাকি হয়নি ? জবাবে কমিশনের আইনজীবী জানান, অনেককেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলেও এখনও নতুন করে কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি ৷ সেই কারণে ববিতা সরকারকেও চাকরি দেওয়া যায়নি ৷ এরপরই সংশ্লিষ্ট নির্দেশটি দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ৷ তিনি বলেন, অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি ৷ তাই আইনত, তিনি এই চাকরি থেকে প্রাপ্ত অর্থও পেতে পারেন না ৷

এদিনের এই নির্দেশের পর অঙ্কিতা অধিকারীর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের মার্কশিটে পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বর যোগ করা হয়নি ৷ ওই নম্বর যোগ করা হলে তাঁর ব়্যাঙ্ক কয়েক ধাপ বাড়ত ৷ সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্রর কাছে জানতে চান, অঙ্কিতা অধিকারীর কোনও পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয়েছিল কিনা ! জবাবে সুতনু জানান, তেমন কোনও টেস্ট অঙ্কিতার ক্ষেত্রে করানো হয়নি ৷ এরপর বিচারপতি অঙ্কিতাকে 100 টাকা জরিমানা করেন ৷ বলেন, আগামী 15 দিনের মধ্যেই জরিমানার টাকা আদালতে জমা দিতে হবে তাঁকে ৷ আদালতের বক্তব্য, যাঁর পার্সোনালিটি টেস্ট করাই হয়নি, তাঁর পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বর যোগের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অঙ্কিতার আইনজীবী আদতে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন ৷ সেই কারণেই এই জরিমানা ৷

কলকাতা, 24 জুন: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় আবারও দৃষ্টান্তমূলক রায়দান করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ শুক্রবার এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ দেন, অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) পদ ববিতা সরকারকে (Babita Sarkar) দিতে হবে ৷ সেইসঙ্গে, অঙ্কিতার ফেরত দেওয়া বেতনের টাকাও দেওয়া হবে ববিতাকেই ৷

উল্লেখ্য, এই ববিতার প্রচেষ্টাতেই এসএসস নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ৷ মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি পাইয়ে দিতে তাঁর সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন ববিতা ৷ যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে চাকরি যায় অঙ্কিতার ৷ এমনকী, এত দিন তিনি যে বেতন পেয়েছেন, তা তাঁকে ফেরত দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত ৷ ইতিমধ্যেই বেতনের প্রথম কিস্তির টাকা ফেরত দিয়েছেন অঙ্কিতা ৷ এবার সেই টাকা পাবেন ববিতা ৷

আরও পড়ুন: Ankita Returns First Instalment of Money : আদালতের নির্দেশে মেনে প্রায় 8 লক্ষ টাকা প্রথম কিস্তিতে ফেরত দিলেন পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা

প্রসঙ্গত, এসএসসি-র প্রাথমিক তালিকা অনুসারে ববিতার নাম ছিল 20 নম্বরে ৷ স্কুলে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন ওয়েটিং লিস্টে ৷ কিন্তু, পরে সেই তালিকা সংশোধন করা হয় ৷ তাতে ববিতার নাম চলে যায় 21 নম্বরে ৷ ববিতা জানতে পারেন, অঙ্কিতা অধিকারী নামে একজনকে তালিকায় ঢোকানো হয়েছে বলেই তাঁর ব়্যাঙ্ক এক ধাপ নীচে নেমে গিয়েছে ৷ এরপরই আইনি পথে লড়াই শুরু করেন ববিতা ৷ সেই মামলায় ইতিমধ্যেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে ৷ তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই ৷

আদালতের নির্দেশে খুশি অঙ্কিতা ৷

মামলা চলাকালীন জানা যায়, বেআইনিভাবেই কোচবিহারের ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল অঙ্কিতাকে ৷ ইতিমধ্যেই ওই স্কুলের চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি ৷ সেই ফাঁকা পদেই এবার ববিতাকে নিয়োগ করা হবে ৷ এই প্রক্রিয়া আগামী 30 জুনের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷ পাশাপাশি, জেলা ডিআই-কেও বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী সাতদিনের মধ্যে ববিতা যাতে কাজে যোগ দিতে পারেন, তা তাঁকেই নিশ্চিত করতে হবে ৷ সেইসঙ্গে, আগামী 10 দিনের মধ্যে ববিতার হাতে অঙ্কিতার ফেরত দেওয়া 8 (আট) লক্ষ টাকাও তুলে দিতে হবে ৷

প্রসঙ্গত, এদিন আদালতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে জানতে চান, ববিতা সরকারকে ইতিমধ্যে চাকরি দেওয়া হয়েছে, নাকি হয়নি ? জবাবে কমিশনের আইনজীবী জানান, অনেককেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলেও এখনও নতুন করে কাউকে চাকরি দেওয়া হয়নি ৷ সেই কারণে ববিতা সরকারকেও চাকরি দেওয়া যায়নি ৷ এরপরই সংশ্লিষ্ট নির্দেশটি দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় ৷ তিনি বলেন, অঙ্কিতা অধিকারীর নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি ৷ তাই আইনত, তিনি এই চাকরি থেকে প্রাপ্ত অর্থও পেতে পারেন না ৷

এদিনের এই নির্দেশের পর অঙ্কিতা অধিকারীর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য দাবি করেন, তাঁর মক্কেলের মার্কশিটে পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বর যোগ করা হয়নি ৷ ওই নম্বর যোগ করা হলে তাঁর ব়্যাঙ্ক কয়েক ধাপ বাড়ত ৷ সঙ্গে সঙ্গে বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্রর কাছে জানতে চান, অঙ্কিতা অধিকারীর কোনও পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয়েছিল কিনা ! জবাবে সুতনু জানান, তেমন কোনও টেস্ট অঙ্কিতার ক্ষেত্রে করানো হয়নি ৷ এরপর বিচারপতি অঙ্কিতাকে 100 টাকা জরিমানা করেন ৷ বলেন, আগামী 15 দিনের মধ্যেই জরিমানার টাকা আদালতে জমা দিতে হবে তাঁকে ৷ আদালতের বক্তব্য, যাঁর পার্সোনালিটি টেস্ট করাই হয়নি, তাঁর পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বর যোগের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে অঙ্কিতার আইনজীবী আদতে আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন ৷ সেই কারণেই এই জরিমানা ৷

Last Updated : Jun 24, 2022, 5:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.