কলকাতা, 26 অগস্ট : শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় উত্তরপত্রেই কারচুপির অভিযোগ উঠল (Recruitment Scam) ৷ যোগ্য প্রার্থীর উত্তরপত্রে কারচুপি করে, তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানির পর উত্তরপত্রের ফরেনসিক পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ একই সঙ্গে ওই পরীক্ষার্থী যে পেন দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, সেটিরও ফরেনসিক পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
ঘটনাটি মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের (Madrasah Service Commission) ৷ গত 17 জানুয়ারি 2021 মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয় । সেখানে পরীক্ষার্থী ছিলেন আব্দুল হামিদ ৷ তাঁর দাবি, তিনি উত্তরপত্রে এ ও বি অপশনে গোল দাগ দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু সি অপশনে গোল দাগ দিয়ে তাঁর উত্তরপত্রটি বাতিল করে দেওয়া হয় ৷
এই নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করেন ৷ শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Avijit Ganguly) বেঞ্চে মামলার শুনানি হয় ৷ শুনানির সময় বিচারপতি প্রশ্ন করেন, "উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীর অন্যান্য সব অপশনে গোল দাগ একই রকম । শুধু সি অপশনে অন্যরকম গোল দাগ কেন হবে ?’’ তাঁর আরও প্রশ্ন, ‘‘পরীক্ষার্থী যে কলমে গোল দাগ দেন, তা আদালতে নিয়ে আসেন । সেই কলমের কালি সঙ্গে কেন মিলিয়ে দেখবে না কোনও সংস্থা ?’’ এর পরই তাঁর মন্তব্য, ‘‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরোবে হয়তো এবার ৷’’
শুনানি শেষে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি (Central Forensic Science Laboratory) বা সিএফএসএল (CFSL)-কে দিয়ে উত্তরপত্র পরীক্ষা করতে হবে । পাশাপাশি যে পেন আবেদনকারী আদালতে যে পেন জমা করেছেন, সেই পেন দিয়ে সি উত্তর করা হয়েছে কি না এবং এ ও বি উত্তরের কালির সঙ্গে সি উত্তরের কালির মিল আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখবে সিএফএসএল ৷
তাঁর আরও নির্দেশ, ডাইরেক্টর সিএফএসএল-কে এই মামলায় সংযুক্ত করতে হবে । উত্তরপত্র ও আদালতে জমা পড়া কালো কালির পেন সিএফএসএল-কে 31 অগস্টের মধ্যে পাঠাতে হবে । আগামী 28 সেপ্টেম্বরের মধ্যে সিএফএসএল-কে এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৷ 28 সেপ্টেম্বরই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বিচারপতি জানিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন : শিক্ষক নিয়োগ বাতিল নিয়ে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ডিরেক্টরকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের