কলকাতা, 25 অক্টোবর : আর জি কর হাসপাতালে (R G Kar Medical College and Hospital) কয়েক মাস ধরে চলা অচলাবস্থা কাটাতে আগামী 29 অক্টোবর বেলা 11 টার সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবকে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে ৷ স্থির হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের তরফে ছ’জনের একটি প্রতিনিধিদল স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবিদাওয়া জানাবে ৷ পাশাপাশি, অনশনকারীদের প্রতি আদালতের আবেদন ছিল, তাঁরা যেন অবিলম্বে অনশন তুলে নেন ৷ কিন্তু বিক্ষোভকারীরা সেই অনুরোধ রাখেননি ৷ তাঁদের সাফ কথা, আগে তাঁদের দাবি পূরণ হোক, তারপর অনশন তোলা হবে ৷ তবে অনশন আন্দোলন অব্যাহত থাকলেও চিকিৎসা পরিষেবা ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজে আন্দোলনকারীরা কোনওভাবেই বাধা দেবেন না ৷
আরও পড়ুন : Doctors' Strike : আরজি কর মেডিক্যালে লাগাতার কর্মবিরতির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘হাসপাতালের ভিতর কোনও আন্দোলন যাতে না করা হয়, আদালত সেই নির্দেশ দিক ৷ কারণ, চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত করে হাসপাতালে ভিতরে মিছিল করা হচ্ছে ৷ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে ৷ মাইক বাজিয়ে ভাষণ দেওয়া হচ্ছে ৷ অবিলম্বে এগুলি বন্ধ করার নির্দেশ দিক আদালত ৷’’ অন্যদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা রুজু হয়েছে ৷ সেই মামলার আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত আদালতকে জানান, ‘‘পরিষেবা বন্ধ করে দীর্ঘদিন ধরে এইভাবে আন্দোলন করা যায় না ৷ সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরত যেতে বাধ্য হচ্ছেন ৷’’
আরও পড়ুন : Calcutta High Court : শপথ নিলেন কলকাতা হাইকোর্টের নয়া প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব
এর জবাব পড়ুয়াদের তরফে বলা হয়, তাঁরা ক্যাম্পাসের ভিতর তাঁদের শ্রেণিকক্ষের পাশেই অনশন করছেন ৷ বিচারপতি দেবাংশু বসাক ছাত্রছাত্রীদের কাছে জানতে চান, তাঁদের কী কী অভাব, অভিযোগ রয়েছে ? সমস্যা সমাধানে তাঁরা কার সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন ? এরপর পড়ুয়াদের পক্ষ থেকেই জানানো হয়, তাঁরা রাজ্যে স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত দাবিদাওয়া জানাতে চান ৷ আদালত সেই মতোই ব্যবস্থা করে দেয় ৷ প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাসে তিন পড়ুয়া অনশন করছেন ৷ এঁরা হলেন রাজর্ষি সরকার, দেবলিনা বসু এবং মৈনাক রায় ৷ আদালত তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অনশন প্রত্যাহারের আবেদন করলেও অনশনকারীরা তা মানেননি ৷