কলকাতা, 25 অগস্ট: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ইউনিয়ন রুমের (WBBSE Union Room) তালা ভাঙার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) ৷ বৃহস্পতিবার বিধাননগর পূর্ব থানাকে (Bidhannagar East Police Station) এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha) ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ভবনে পাঁচতলায় রয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন রুমটি ৷ দীর্ঘদিন ধরেই সেটি তালাবন্ধ ৷ যাঁরা ভোটে জিতে প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁদের ওই ঘরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ ঘটনায় অভিযুক্তরা সকলেই রাজ্য়ের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং শিক্ষামন্ত্রী বাত্য বসু ও তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ বলে জানিয়েছেন সব্যসাচী ৷ তাঁর বক্তব্য, অভিযুক্তরা নিজেরাই এই দাবি করেছেন ৷ এমনকী, তাঁদের কেউ কেউ নিজেদের তৃণমূল নেতা বলেও পরিচয় দেন ৷
আরও পড়ুন: মানিক ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে কি জারি হবে লুক আউট নোটিস, আইনি পরামর্শ নিতে হাইকোর্টে ইডি
এই নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্য়ায় ৷ সমস্যা সমাধানে আদালতের দ্বারস্থ হন সংগঠনের নির্বাচিত সদস্যরা ৷ তারই ভিত্তিতে এ দিন বিচারপতি মান্থা পুলিশকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে ওই ইউনিয়ন রুমের তালা ভেঙে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সেখানে ঢোকার ব্যবস্থা করে দিতে হবে ৷
আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্য়ায় এই প্রসঙ্গে বলেন, "কর্মচারী সমিতির একটি কার্যালয় রয়েছে ৷ কিন্তু, সেখান থেকে সংগঠনের প্রকৃত সদস্য অর্থাৎ নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরই বের করে দেওয়া হয়েছে ৷ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওই কার্যালয় দখল করে দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ অভিযুক্ত নিজেদের তৃণমূল নেতা বলে দাবি করেন ৷ তাঁরা নাকি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর স্নেহধন্য ৷ পুলিশ তার রিপোর্টে জানিয়েছে, ওই কার্যালয়ের তালা সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা আধিকারিকের কাছেই রয়েছে ৷ অথচ, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সেখানে ঢুকতে পারছেন না ৷ বিচারপতি মান্থা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, তারা যেন অবিলম্বে ওই কার্যালয় খোলার ব্যবস্থা করে ৷ বিধাননগর পূর্ব থানাকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷"