কলকাতা, 1 মার্চ: গত নির্বাচনের বকেয়া টাকা না মেটালে এবারের ভোটে আর বাস ভাড়া দেওয়া সম্ভব নয় ৷ সোমবার একথা সাফ জানিয়ে দিল বাস ও মিনিবাস সংগঠনগুলি। এদিন তারা নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্মারকলিপিও দেয় ৷
বাস ও মিনিবাস সংগঠনের প্রতিনিধিদের দাবি, গতবারের নির্বাচনেও বাস ভাড়া দিয়েছিলেন তাঁরা ৷ কিন্তু সেই টাকা এখনও হাতে পাননি বাস মালিকরা ৷ এই পরিস্থিতিতে বকেয়া না মেটালে নতুন করে ফের ভোটের জন্য বাস ভাড়া দেবেন না তাঁরা ৷
বেস্ট বেঙ্গল বাস অ্য়ান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, ‘‘কলকাতায় গত নির্বাচনে যে বাস ও মিনিবাসগুলি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল সেগুলির ক্ষেত্রে 50 শতাংশ টাকা দেওয়া হয়েছে ৷ অন্যদিকে উত্তর 24 পরগনার বাস মালিকরা এখনও একটা টাকাও পাননি ৷ আবার দক্ষিণ 24 পরগনার ক্ষেত্রে 70 শতাংশ টাকা মেটানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি জেলার ক্ষেত্রে 90 শতাংশ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আমরা ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে আমাদের দাবিদাওয়া জানিয়েছি এবং ওঁকে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছি ৷ আমরা ওঁকে জানিয়েছি, বকেয়া টাকা না মেটানো হলে আমাদের পক্ষে আর বাস দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি দেখবেন এবং খুব দ্রুত মালিকপক্ষের সঙ্গে একটি বৈঠক ডাকবেন ৷’’
আরও পড়ুন: বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট শুধু বিহারে, বাংলায় মমতার পাশে আরজেডি : তেজস্বী যাদব
বাস মালিকদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের আয় কমেছে ৷ এর পর যদি বকেয়া হাতে না পেয়েই ফের ভোটের জন্য বাস দিতে হয়, তাহলে লোকসানের বোঝা আরও বাড়বে ৷ এই প্রসঙ্গে প্রদীপনারায়ণ বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতিতে টানা অনেকগুলো মাস আমাদের কোনও উপার্জন ছিল না ৷ বাস মালিকরা ভয়ঙ্কর অনটনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন ৷ তাই এই সময় আমাদের বকেয়া টাকা হাতে পেলে খুবই সুবিধা হবে ৷’’
এছাড়া বাস মালিকদের অন্য দাবিগুলি হল, ভোটে বাসের দৈনিক ভাড়া 1 হাজার 910 টাকা থেকে বাড়িয়ে 2 হাজার 500 টাকা করতে হবে ৷ মিনিবাসের দৈনিক ভাড়া 1 হাজার 580 চাকার বদলে করতে হবে 2 হাজার টাকা ৷ পাশাপাশি, বাসের চালক ও কর্মীদের রোজের পারিশ্রমিক 170 টাকার পরিবর্তে পরিবর্তে দিতে হবে 250 টাকা ৷