ETV Bharat / city

আজ রায় কোন পথে, অপেক্ষায় খাগড়াগড়

আজ 30 আগস্ট শাস্তি ঘোষণা খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে ৷

আজ রায় কোন পথে, অপেক্ষায় খাগড়াগড়
author img

By

Published : Aug 30, 2019, 10:14 AM IST

Updated : Aug 30, 2019, 10:22 AM IST

খাগড়াগড়, 30 অগাস্ট : বর্ধমানের খাগড়াগড়ে 2014 সালের 2 অক্টোবর বিস্ফোরণ হয়েছিল । এই কাণ্ডে 19 জনকে দোষী সাব্যস্ত করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) বিশেষ আদালত । আজ 30 আগস্ট শাস্তি ঘোষণা করা হবে সেই কাণ্ডে । তবে এই বিস্ফোরণ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে আজও ভয় পান এলাকাবাসী । অনেকেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি । ক্যামেরা দেখলেই কেউ কেউ নিজের ঘরে ঢুকে পড়েন । রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায় । যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেই বাড়িতে আজও তালা লাগানো ৷ তালায় সিল দেওয়া । বাড়ির মালিক নুরুল হাসান চৌধুরির আক্ষেপ, ''অনেক আশা নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছিলাম । কবে ফেরত পাব জানি না ।''

স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ''যাদের জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য আজ খাগড়াগড় দেশের মানচিত্র চলে এসেছে সন্ত্রাসঘাঁটির তালিকায়, সেই সব দোষীর অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত ।'' তবে মহম্মদ ইব্রাহিম আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি , তাঁর চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট । সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলতে ভয় পান অনেকেই ৷ তবে তাঁরা প্রত্যেকেই চান, যে 19 জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাদের যেন কঠোর সাজা হয় ।

এলাকাবাসী বলেন, ''আমাদের এলাকায় তো কেউ যুক্ত ছিল না এখানে ৷ বাইরে থেকে জঙ্গিরা এখানে ঘাঁটি বানায় । আমরা বুঝতেই পারিনি । আর তাদেরই জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে আমাদের এলাকার বদনাম হয়েছে । দোষীদের কঠোর সাজা হওয়া উচিত ।''

2014 সালের 2 অক্টোবর দুর্গাপুজোর মহাষ্টমী ৷ বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল দুই জঙ্গির । বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গিরা সেখানে ঘাঁটি বানিয়ে থাকত, তদন্তে উঠে আসে এই তথ্য । ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের এক জঙ্গির ৷ জখম হয় আরও দু’জন ৷ পরে আরও একজনের মৃত্যু হয় ৷ বিস্ফোরণের সময় বাড়িতে ছিল দুই মহিলা ও দুই শিশু । আলিমা ও রাজ়িয়া বিবি নামে ওই দুই মহিলাকে ঘটনাস্থান থেকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ পরে ঘটনার তদন্তভার যায় NIA-র হাতে । এরপর একে একে গ্রেপ্তার করা হয় 31 জনকে ৷ তালিকায় রয়েছে জামাতের অন্যতম মাথা বোমারু মিজান তথা কওসর ৷ তাকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করে NIA ৷ সেই ঘটনায় সর্বশেষ জহিরুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাকে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ NIA আদালতে মামলা চলতে থাকে ৷ ইতিমধ্যেই মাসখানেক আগে আইনজীবীদের মাধ্যমে 19 জন অভিযুক্ত জানায়, আদালতে দোষ স্বীকার করতে চায় তারা ৷ চিঠি পাঠানো হয় NIA-কে ৷ বুধবার তাদের আদালতে পেশ করা হয় ৷ দোষ স্বীকার করে ওই 19 জন ৷

খাগড়াগড়, 30 অগাস্ট : বর্ধমানের খাগড়াগড়ে 2014 সালের 2 অক্টোবর বিস্ফোরণ হয়েছিল । এই কাণ্ডে 19 জনকে দোষী সাব্যস্ত করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (NIA) বিশেষ আদালত । আজ 30 আগস্ট শাস্তি ঘোষণা করা হবে সেই কাণ্ডে । তবে এই বিস্ফোরণ নিয়ে সরাসরি কথা বলতে আজও ভয় পান এলাকাবাসী । অনেকেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি । ক্যামেরা দেখলেই কেউ কেউ নিজের ঘরে ঢুকে পড়েন । রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায় । যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, সেই বাড়িতে আজও তালা লাগানো ৷ তালায় সিল দেওয়া । বাড়ির মালিক নুরুল হাসান চৌধুরির আক্ষেপ, ''অনেক আশা নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছিলাম । কবে ফেরত পাব জানি না ।''

স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ''যাদের জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য আজ খাগড়াগড় দেশের মানচিত্র চলে এসেছে সন্ত্রাসঘাঁটির তালিকায়, সেই সব দোষীর অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত ।'' তবে মহম্মদ ইব্রাহিম আর কোনও মন্তব্য করতে চাননি , তাঁর চোখে-মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট । সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলতে ভয় পান অনেকেই ৷ তবে তাঁরা প্রত্যেকেই চান, যে 19 জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে তাদের যেন কঠোর সাজা হয় ।

এলাকাবাসী বলেন, ''আমাদের এলাকায় তো কেউ যুক্ত ছিল না এখানে ৷ বাইরে থেকে জঙ্গিরা এখানে ঘাঁটি বানায় । আমরা বুঝতেই পারিনি । আর তাদেরই জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে আমাদের এলাকার বদনাম হয়েছে । দোষীদের কঠোর সাজা হওয়া উচিত ।''

2014 সালের 2 অক্টোবর দুর্গাপুজোর মহাষ্টমী ৷ বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল দুই জঙ্গির । বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গিরা সেখানে ঘাঁটি বানিয়ে থাকত, তদন্তে উঠে আসে এই তথ্য । ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের এক জঙ্গির ৷ জখম হয় আরও দু’জন ৷ পরে আরও একজনের মৃত্যু হয় ৷ বিস্ফোরণের সময় বাড়িতে ছিল দুই মহিলা ও দুই শিশু । আলিমা ও রাজ়িয়া বিবি নামে ওই দুই মহিলাকে ঘটনাস্থান থেকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ ৷ পরে ঘটনার তদন্তভার যায় NIA-র হাতে । এরপর একে একে গ্রেপ্তার করা হয় 31 জনকে ৷ তালিকায় রয়েছে জামাতের অন্যতম মাথা বোমারু মিজান তথা কওসর ৷ তাকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করে NIA ৷ সেই ঘটনায় সর্বশেষ জহিরুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাকে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় । ধৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ NIA আদালতে মামলা চলতে থাকে ৷ ইতিমধ্যেই মাসখানেক আগে আইনজীবীদের মাধ্যমে 19 জন অভিযুক্ত জানায়, আদালতে দোষ স্বীকার করতে চায় তারা ৷ চিঠি পাঠানো হয় NIA-কে ৷ বুধবার তাদের আদালতে পেশ করা হয় ৷ দোষ স্বীকার করে ওই 19 জন ৷

Intro:জঙ্গিদের কঠোর সাজা চাইছেন খাগড়াগড়বাসী

পুলক যশ, বর্ধমান

খাগড়াগড় কাণ্ডে 19 জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে কলকাতার এনআইএ সংস্থার বিশেষ আদালত। আজ 30 আগস্ট শাস্তি ঘোষণা করা হবে। প্রথমে তবে সেই খাগড়াগড় আজও রয়ে গেছে থমথমে। প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দারা দোষীদের কঠোর শাস্তি চাইলেও সরাসরি সেই কথা বলতে পারছেন না। আজও তারা সেই আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। সেই আগের মতই ক্যামেরা দেখলেই যে যার নিজের ঘরে ঢুকে পড়েন। রাস্তাঘাট শুনশান হয়ে যায়। যে বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছিল সেই বাড়িতে আজও ঝুলছে শীল করা তালা। বাড়ির মালিক নুরুল হাসান চৌধুরির আক্ষেপ অনেক আশা নিয়ে বাড়ি তৈরি করেছিলাম। কবে ফেরত পাব জানিনা।
স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইব্রাহিম বলেন যাদের জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য আজ খাগড়াগড় দেশের মানচিত্র চলে এসেছে সেইসব দোষীদের অবশ্যই শাস্তি হওয়া উচিত। এরপর তিনি কিছু বলতে চাইছিলেন। কিন্তু ততক্ষনে আশেপাশের মানুষজন ভিড় করে ফেলেছে। কেউ কেউ কানে কানে তাকে ভয় দেখিয়ে বলে মিডিয়ার সামনে মুখ খুললেই কিন্তু এনআইএ জেরা করতে শুরু করবে। পরক্ষণেই মহম্মদ ইব্রাহিম চুপ করে যান। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা আড়ালে-আবডালে বলছেন খাগড়াগড় কাণ্ডে 19 জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবার তাদের যেন কঠোর সাজা হয়। তাদের মতে আমাদের এলাকায় তো কেউ যুক্ত ছিল না বাইরে থেকে জঙ্গিরা এখানে ঘাঁটি গেড়েছিল। আমরা বুঝতেই পারিনি। আর তাদেরই জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে আমাদের এলাকার বদনাম হয়েছে। তাই তাদের কঠোর সাজা হওয়া উচিত।
2014 সালের ২ অক্টোবর দুর্গাপুজোর মহাস্টমীর দিন দুপুরে বর্ধমান শহরের খাগড়াগড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল দুই জঙ্গির। বাংলাদেশের জামাত-উল-মুজাহিদীন জঙ্গিরা সেখানে ঘাঁটি গেড়েছিল। বাড়ির মালিক নুরুল হাসান চৌধুরি আক্ষেপ করে বলেন অনেক আশা নিয়ে একটা বাড়ি তৈরি করেছিলাম সেই বাড়ি কবে ফিরে পাবো জানা নেই। তবে দোষীদের কঠোর সাজা চাইছেন খাগড়াগড়বাসী।Body:জঙ্গিদের Conclusion:কঠোর সাজা চাইছেন খাগড়াগড়বাসী
Last Updated : Aug 30, 2019, 10:22 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.