কলকাতা, 28 অক্টোবর : পাচারের আগে উদ্ধার গাঁঁজা ও গোরু । দু'টি পৃথক অভিযানে গতরাতে BSF জওয়ানরা গাঁঁজা ও গোরু উদ্ধার করেন । তবে ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি ।
BSF সূত্রে খবর, কলকাতা সেক্টরের 153 নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা জানতে পারেন ডোবিলা বর্ডার আউটপোস্ট সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান হবে । সেইমতো অভিযান চালায় BSF । মূল চেকপোস্টের কিছুটা দূরে সীমান্তরক্ষী বাহিনী দেখে কয়েকজন মাথায় করে কিছু নিয়ে যাচ্ছে । দ্রুত সেখানে পৌঁছে যায় BSF। কিন্তু ততক্ষণে মাথার জিনিস নামিয়ে চম্পট দেয় চোরাচালানকারীরা। ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার হয়েছে 100 বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ । সঙ্গে ছয় কেজি গাঁজা ।
অন্যদিকে বহরমপুর সেক্টরের কাকমারিচর বর্ডার আউটপোস্টের কাছে গতরাতে নৌকায় রহস্যজনক গতিবিধি দেখতে পায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। চোরাচালানকারীদের দ্রুত চ্যালেঞ্জ করেন জওয়ানরা। অন্ধকার আর কাদামাটির সুযোগ নিয়ে চোরাচালানকারীরা পালিয়ে যায়। তবে, উদ্ধার হয়েছে আট কেজি গাঁজা। পাশাপাশি গতরাতে বিভিন্ন সীমান্ত থেকে উদ্ধার হয়েছে 19টি গোরু ।
বাংলাদেশের ফেনসিডিলের চাহিদা ব্যাপক। যুব সমাজের অনেকেই এই নেশায় আসক্ত। গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার হয়, সেভাবেই ভারত থেকে পাচার হয় ফেনসিডিল। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয় জালনোট। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ফেনসিডিলের এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে গোটা উত্তর ভারত থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারত । বাংলাদেশ এক বোতল ফেনসিডিল ভারতীয় দামের থেকে পাঁচ গুণ বেশি দামে বিক্রি হয়। সেই কারণেই এই চক্র স্মাগলাররা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই।