কলকাতা, 17 নভেম্বর: তথ্য প্রমাণ মিলেছে যথেষ্টই। অভিযোগ, তারপরেও তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন BSF কমান্ডান্ট। আজ ম্যারাথন জেরায় তথ্য গোপনের চেষ্টাও করে গেছেন। আর সেই কারণে গ্রেপ্তার করা হল সতীশ কুমারকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের কিংপিনদের কাছে পৌঁছাতে চাইছে CBI।
সীমান্তে গোরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। সেই কারণে বেশ কিছুদিন ধরে গোরু পাচার নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছিল CBI । কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদ থেকে এনামূল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল CBI। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোরু পাচারকারী এবং BSF-এর যোগসূত্রের খবর পাওয়া যায়। ঘটনায় ম্যাথিউ নামে এক BSF কমান্ডান্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিল পুলিশ। জানা যায়, সর্ষের মধ্যেও লুকিয়ে ছিল ভূত। সেই সূত্রে সটলেক CT সেন্টার টু এর পাশে BSF -এর কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় CBI। সতীশ কুমার অবশ্য এখন আর পশ্চিমবঙ্গে নেই। তিনি এখন কর্নাটকে পোস্টেড। তবে তিনি একটা সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় গোরু পাচার চক্রকে মদত দিতেন বলে অভিযোগ। সটলেক CT সেন্টার টু এর পাশে, BJ 59 নম্বর বাড়িটি সতীশ কুমারের। সেখান থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয় বলে CBI সূত্রে জানা যাচ্ছে। সেই সূত্রেই পাওয়া যায় আরও বেশ কিছু নাম।
নভেম্বরের শুরুতে কলকাতায় শুল্ক দফতরের আধিকারিক সহ 4 জনকে গ্রেপ্তার করে CBI। জানা যায় এই চক্রের গোরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে BSF এবং শুল্ক বিভাগের একশ্রেণির কর্তাদের। ওই কর্তাদের মধ্যে BSF -এর ওই কর্তারা পেতেন গোরু পিছু 2000 টাকা এবং শুল্ক বিভাগের কর্তারা পেতেন 500 টাকা করে। এসবই উঠে এসেছে CBI-এর তদন্তে। গোরু পাচারকারী হিসেবে এনামূল, আনারুল এবং মুস্তাফা জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা মূলত মালদা এবং মুর্শিদাবাদ দিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচার করত। 2015 শেষ দিক থেকে 2017 সাল পর্যন্ত মালদার 36 নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট ছিলেন সতীশ কুমার। তাঁর অধীনে ছিল চার কম্পানি BSF-এর বাহিনী। এই সময়ে তিনি গোরু পাচারকারীদের মদত দিয়ে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
গোরু পাচারের ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার BSF কমান্ডান্ট সতীশ কুমার - গোরু পাচারের ঘটনা
CBI গ্রেপ্তার করল সতীশ কুমারকে। সীমান্তে গোরু পাচার চক্রে নাম জড়িয়ে আছে সতীশের ৷
কলকাতা, 17 নভেম্বর: তথ্য প্রমাণ মিলেছে যথেষ্টই। অভিযোগ, তারপরেও তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন BSF কমান্ডান্ট। আজ ম্যারাথন জেরায় তথ্য গোপনের চেষ্টাও করে গেছেন। আর সেই কারণে গ্রেপ্তার করা হল সতীশ কুমারকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের কিংপিনদের কাছে পৌঁছাতে চাইছে CBI।
সীমান্তে গোরু পাচার পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। সেই কারণে বেশ কিছুদিন ধরে গোরু পাচার নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছিল CBI । কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদ থেকে এনামূল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল CBI। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোরু পাচারকারী এবং BSF-এর যোগসূত্রের খবর পাওয়া যায়। ঘটনায় ম্যাথিউ নামে এক BSF কমান্ডান্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছিল পুলিশ। জানা যায়, সর্ষের মধ্যেও লুকিয়ে ছিল ভূত। সেই সূত্রে সটলেক CT সেন্টার টু এর পাশে BSF -এর কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় CBI। সতীশ কুমার অবশ্য এখন আর পশ্চিমবঙ্গে নেই। তিনি এখন কর্নাটকে পোস্টেড। তবে তিনি একটা সময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় গোরু পাচার চক্রকে মদত দিতেন বলে অভিযোগ। সটলেক CT সেন্টার টু এর পাশে, BJ 59 নম্বর বাড়িটি সতীশ কুমারের। সেখান থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয় বলে CBI সূত্রে জানা যাচ্ছে। সেই সূত্রেই পাওয়া যায় আরও বেশ কিছু নাম।
নভেম্বরের শুরুতে কলকাতায় শুল্ক দফতরের আধিকারিক সহ 4 জনকে গ্রেপ্তার করে CBI। জানা যায় এই চক্রের গোরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে BSF এবং শুল্ক বিভাগের একশ্রেণির কর্তাদের। ওই কর্তাদের মধ্যে BSF -এর ওই কর্তারা পেতেন গোরু পিছু 2000 টাকা এবং শুল্ক বিভাগের কর্তারা পেতেন 500 টাকা করে। এসবই উঠে এসেছে CBI-এর তদন্তে। গোরু পাচারকারী হিসেবে এনামূল, আনারুল এবং মুস্তাফা জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তারা মূলত মালদা এবং মুর্শিদাবাদ দিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচার করত। 2015 শেষ দিক থেকে 2017 সাল পর্যন্ত মালদার 36 নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট ছিলেন সতীশ কুমার। তাঁর অধীনে ছিল চার কম্পানি BSF-এর বাহিনী। এই সময়ে তিনি গোরু পাচারকারীদের মদত দিয়ে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।