কলকাতা, 30 অগস্ট : ত্রিপুরা এখন ‘‘ভ্যালি অফ ফিয়ার্স’’-এ (আতঙ্কের উপত্যকা) পরিণত হয়েছে ৷ এর জন্য দায়ী কেবলমাত্র বিজেপি ৷ তবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যদি একবার ত্রিপুরায় গিয়ে দাঁড়ান, সেখানে সুনামি নামবে ৷ তৃণমূলের পক্ষে উপচে পড়বে জন সমর্থন ৷ দলে নবাগত তন্ময় ঘোষকে (Tanmay Ghosh) পাশে বসিয়ে সোমবার এমনটাই দাবি করেন রাজ্য়ের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) ৷ প্রসঙ্গত, এদিনই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ ৷ তাঁর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন ব্রাত্য ৷
আরও পড়ুন : Tanmay Ghosh: গেরুয়া শিবিরে বড় ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে তেইশে ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটকেই পাখির চোখ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ দফায় দফায় সে রাজ্যে যাচ্ছেন তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা ৷ এমনকী, ত্রিপুরায় বেশ কয়েকবার হামলার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের ৷ হামলার শিকার হতে হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কেও (Abhishek Banerjee) ৷ লাঠির ঘা মারা হয়েছে তাঁর গাড়িতেও ৷ ব্রাত্যর অভিযোগ, হতাশা থেকেই এসব করছে বিজেপি ৷ একুশের ভোটে বাংলা দখল করতে চেয়েছিল তারা ৷ সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে বাংলার মানুষই ৷ আর তাতেই ক্ষেপে গিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি ৷
ব্রাত্যর বক্তব্য, আসলে বিজেপি বুঝে গিয়েছে, ত্রিপুরায় তাদের পায়ের তলার মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে ৷ তাই বারবার হামলা, আক্রমণের মতো ঘটনা ঘটছে ৷ কিন্তু এতে লাভ কিছুই হবে না ৷ বরং, তৃণমূলের পক্ষেই মানুষের সমর্থন বাড়বে ৷ ত্রিপুরায় বিজেপির নেতা, মন্ত্রী, বিধায়করাও সেটা বুঝে গিয়েছেন ৷ আর তাই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তাঁরা ৷ ব্রাত্যর দাবি, এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় যদি একবার ত্রিপুরায় যান, তাহলে তৃণমূলের পক্ষে মানুষের সমর্থনের সুনামি শুরু হয়ে যাবে ৷
আরও পড়ুন : TMC Tripura : ত্রিপুরায় নজর কাড়ছে তৃণমূল, ঘাসফুল নিয়ে আগ্রহী বিজেপি নেতারাও !
ব্রাত্য়র অভিযোগ, বিজেপি একেবারেই বিরোধিতা পছন্দ করে না ৷ সেই কারণেই বিরোধীদের ত্রিপুরায় কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হয় না ৷ তৃণমূল সেখানে গেলে আক্রান্ত হয় ৷ এই ধরনের ঘটনার প্রেক্ষিতেই ত্রিপুরাকে ‘‘ভ্যালি অফ ফিয়ার্স’’ বলে উল্লেখ করেন ব্রাত্য ৷