ETV Bharat / city

বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় রাজ্য়কে হলফনামা পেশের নির্দেশ আদালতের - bono sahayok recruitment coroption

বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে, এবার কলকাতা হাইকোর্টে উঠল এই মামলা ৷ মালদা জেলার কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলাতে রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

bono-sahayok-recruitment-coroption-case-calcutta-high-court-order-to-government-to-submit-affidavit
বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় রাজ্য়কে হলফনামা পেশের নির্দেশ আদালতের
author img

By

Published : Feb 10, 2021, 10:40 PM IST

কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি : বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ । 3 মার্চের মধ্যে এনিয়ে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে তাদের মত জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই এদিন প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত । কবে প্রকাশ করা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি? কবে হয়েছিল সাক্ষাৎকার এবং সেখান থেকে কারা চূড়ান্ত তালিকা ভুক্ত হয়েছিল? এই সমস্ত বিষয় হলফনামা দিয়ে দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে । মালদা জেলার কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলাতেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরেই, তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য জনসভা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অভিযোগ করেছিলেন, বন সহায়ক নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি করেছেন রাজীব ৷ যা নিয়ে তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী ৷ এমনকি রাজীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার ছাড়পত্রও মিলেছে ৷ তবে, এর পালটা জবাবও দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বলেছিলেন, তদন্ত অবশ্য়ই করুন ৷ তবে, তা যেন নিরপেক্ষ হয় ৷ কারণ, মন্ত্রিসভার কোন কোন সদস্য তাঁর কাছে বন সহায়ক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিলেন? তার প্রমাণ সেই চিঠি সহ তাঁর কাছে রয়েছে ৷

বন সহায়ক নিয়োগ নিয়ে এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে, এবার কলকাতা হাইকোর্টে উঠল এই মামলা ৷ মালদার ওই চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী দেবাশিস সাহা আদালতে জানিয়েছেন, ‘‘বন সহায়ক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল আবেদনপত্র নির্দিষ্ট ড্রপবক্সে ফেলতে হবে। সেখান থেকে কিছু প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। তারপর চূড়ান্ত নিয়োগ। কিন্তু কারা সাক্ষাৎকারের জন্য ডাক পেলেন ? কারা সেখান থেকে চাকরির জন্য চূড়ান্ত হলেন ? তা নিয়ে কিছুই জানা গেল না। চুক্তিভিত্তিক চাকরি হলেও, তার মধ্যে একটা স্বচ্ছতা বজায় রাখা দরকার।’’

আরও পড়ুন : বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়

এনিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কিছুই বলতে পারেননি ৷ এরপরই বিচারপতি রাজাশেখর মানতা 3 মার্চের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, এই সংক্রান্ত একটি মামলায ইতিমধ্যেই স্যাটে (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল) দায়ের হয়েছে। সেখানেও মামলাকারীরা অভিযোগ জানিয়েছে, এই পদে নিয়োগের জন্য লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে ৷ লিখিত পরীক্ষার পর সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু কোনও চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ না করেই নিয়োগ চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে ৷

কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি : বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ । 3 মার্চের মধ্যে এনিয়ে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিয়ে তাদের মত জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই এদিন প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত । কবে প্রকাশ করা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তি? কবে হয়েছিল সাক্ষাৎকার এবং সেখান থেকে কারা চূড়ান্ত তালিকা ভুক্ত হয়েছিল? এই সমস্ত বিষয় হলফনামা দিয়ে দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যকে । মালদা জেলার কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছিল। সেই মামলাতেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরেই, তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য জনসভা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অভিযোগ করেছিলেন, বন সহায়ক নিয়োগের ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি করেছেন রাজীব ৷ যা নিয়ে তদন্তের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্য়মন্ত্রী ৷ এমনকি রাজীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার ছাড়পত্রও মিলেছে ৷ তবে, এর পালটা জবাবও দিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বলেছিলেন, তদন্ত অবশ্য়ই করুন ৷ তবে, তা যেন নিরপেক্ষ হয় ৷ কারণ, মন্ত্রিসভার কোন কোন সদস্য তাঁর কাছে বন সহায়ক নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছিলেন? তার প্রমাণ সেই চিঠি সহ তাঁর কাছে রয়েছে ৷

বন সহায়ক নিয়োগ নিয়ে এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে, এবার কলকাতা হাইকোর্টে উঠল এই মামলা ৷ মালদার ওই চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী দেবাশিস সাহা আদালতে জানিয়েছেন, ‘‘বন সহায়ক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল আবেদনপত্র নির্দিষ্ট ড্রপবক্সে ফেলতে হবে। সেখান থেকে কিছু প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। তারপর চূড়ান্ত নিয়োগ। কিন্তু কারা সাক্ষাৎকারের জন্য ডাক পেলেন ? কারা সেখান থেকে চাকরির জন্য চূড়ান্ত হলেন ? তা নিয়ে কিছুই জানা গেল না। চুক্তিভিত্তিক চাকরি হলেও, তার মধ্যে একটা স্বচ্ছতা বজায় রাখা দরকার।’’

আরও পড়ুন : বন সহায়ক পদে নিয়োগে দুর্নীতির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়

এনিয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কিছুই বলতে পারেননি ৷ এরপরই বিচারপতি রাজাশেখর মানতা 3 মার্চের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে ৷ প্রসঙ্গত, এই সংক্রান্ত একটি মামলায ইতিমধ্যেই স্যাটে (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল) দায়ের হয়েছে। সেখানেও মামলাকারীরা অভিযোগ জানিয়েছে, এই পদে নিয়োগের জন্য লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে ৷ লিখিত পরীক্ষার পর সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে ৷ কিন্তু কোনও চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশ না করেই নিয়োগ চূড়ান্ত করে ফেলা হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.