ETV Bharat / city

BJP Protest Programme: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়াতে বিশেষ রণকৌশল বিজেপির

আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) কথা মাথায় রেখে জেলাস্তরে দুর্নীতির (Corruption) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করবে বিজেপি (BJP) ৷ ভাইফোঁটা, কালীপুজোর পরই শুরু হবে আন্দোলন ৷

BJP will start Protest Programme at District Level after current Festive Season
BJP Protest Programme: উৎসবের পালা মিটলেই জেলায় জেলায় দুর্নীতির প্রতিবাদে নামবে বিজেপি
author img

By

Published : Oct 7, 2022, 1:27 PM IST

কলকাতা, 7 অক্টোবর: ভাইফোঁটা, কালীপুজোর পরই দুর্নীতি ইস্যুতে (Corruption) রাজ্যের সরকার ও শাসকদলের বিরুদ্ধে সার্বিক আন্দোলনে নামবে গেরুয়া শিবির ৷ বিজেপি (BJP)-এর সূত্র মারফত অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে ৷ তাদের লক্ষ্য, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) ৷ আর তাই জেলাস্তরে শুরু হবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি (Protest Programme) ৷

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াই নিয়ে ইতিমধ্যেই রণকৌশল তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ এবার তা প্রয়োগ করার পালা ৷ সেই মতোই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য এবং জেলাস্তরের নেতানেত্রীদের ৷ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হবে গ্রামাঞ্চলে ৷ তাই রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গড়ে তোলা আন্দোলন শুধুমাত্র কলকাতাকেন্দ্রিক হলে তাতে কোনও লাভ হবে না বলে মনে করছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ সেই কারণেই আন্দোলনের প্রবাহ কলকাতা ছাপিয়ে প্রত্যেকটি জেলার একেবারে তৃণমূলস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: তিন বছরেই হাল ছাড়ল পদ্মশিবির, উমার আরাধনায় আর নেই বিজেপি

উল্লেখ্য, গত 13 সেপ্টেম্বর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই নবান্ন অভিযান (Nabanna AbhiJan) করেছিল বিজেপি ৷ এবার সেই কর্মসূচিই পালন করা হবে বিভিন্ন জেলায় ৷ এক্ষেত্রে প্রতিবাদ মিছিলের গন্তব্য হবে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় অথবা জেলাশাসকের দফতর ৷ শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, নবান্ন অভিযান নিয়ে অনেক বিতর্ক হলেও এই কর্মসূচি মানুষের নজর কেড়েছে ৷ এবার তাই একই ধাঁচে বাংলাজুড়ে পথে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি ৷

শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে আরও নির্দেশ এসেছে, জেলাস্তরের এই অভিযানগুলির নেতৃত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলার সমস্ত বিধায়ক এবং অন্তত একজন দলীয় সাংসদ ৷ বিজেপি রাজ্য কমিটির এক সদস্য এই প্রসঙ্গে জানান, "প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছিল, দুর্গাপুজোর পরই জেলাস্তরের এই কর্মসূচি আরম্ভ করা হবে ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে তা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ ঠিক হয়, উৎসবের মরশুম পার করেই দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে নামা হবে ৷ কারণ, দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজো ও ভাইফোঁটার সঙ্গেও বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে এই সময় আন্দোলন শুরু করলে মানুষ তা ভালোভাবে নাও নিতে পারে ৷"

রাজ্য বিজেপি-এর মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) এই প্রসঙ্গে বলেন, "বর্তমান সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে দুর্নীতির শিখর আকাশ ছুঁয়েছে ৷ এদিকে, রোজই টাকার পাহাড় উদ্ধার হচ্ছে ৷ এসব দেখে বাংলার মানুষ বিধ্বস্ত ৷ আমাদের বার্তা হল, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয় ৷ এই বার্তা নিয়েই আমরা মানুষের দরজায় পৌঁছে যাব ৷"

অন্যদিকে, বিজেপি-এর কর্মসূচিকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ দলের প্রথম সারির নেতা তথা বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy) এই প্রসঙ্গে বলেন, "এই রাজ্যে বিজেপি-এর সাংগঠনিক শক্তি যেমন নেই, তেমনই কোনও জননেতাও নেই ৷ তাদের সমস্ত কর্মসূচিই একের পর এক ফ্লপ হচ্ছে ৷"

কলকাতা, 7 অক্টোবর: ভাইফোঁটা, কালীপুজোর পরই দুর্নীতি ইস্যুতে (Corruption) রাজ্যের সরকার ও শাসকদলের বিরুদ্ধে সার্বিক আন্দোলনে নামবে গেরুয়া শিবির ৷ বিজেপি (BJP)-এর সূত্র মারফত অন্তত এমনটাই জানা যাচ্ছে ৷ তাদের লক্ষ্য, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) ৷ আর তাই জেলাস্তরে শুরু হবে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি (Protest Programme) ৷

আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের লড়াই নিয়ে ইতিমধ্যেই রণকৌশল তৈরি করে ফেলেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ এবার তা প্রয়োগ করার পালা ৷ সেই মতোই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য এবং জেলাস্তরের নেতানেত্রীদের ৷ ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট হবে গ্রামাঞ্চলে ৷ তাই রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গড়ে তোলা আন্দোলন শুধুমাত্র কলকাতাকেন্দ্রিক হলে তাতে কোনও লাভ হবে না বলে মনে করছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ সেই কারণেই আন্দোলনের প্রবাহ কলকাতা ছাপিয়ে প্রত্যেকটি জেলার একেবারে তৃণমূলস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: তিন বছরেই হাল ছাড়ল পদ্মশিবির, উমার আরাধনায় আর নেই বিজেপি

উল্লেখ্য, গত 13 সেপ্টেম্বর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই নবান্ন অভিযান (Nabanna AbhiJan) করেছিল বিজেপি ৷ এবার সেই কর্মসূচিই পালন করা হবে বিভিন্ন জেলায় ৷ এক্ষেত্রে প্রতিবাদ মিছিলের গন্তব্য হবে সংশ্লিষ্ট জেলার প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয় অথবা জেলাশাসকের দফতর ৷ শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, নবান্ন অভিযান নিয়ে অনেক বিতর্ক হলেও এই কর্মসূচি মানুষের নজর কেড়েছে ৷ এবার তাই একই ধাঁচে বাংলাজুড়ে পথে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি ৷

শীর্ষ নেতৃত্বের তরফ থেকে আরও নির্দেশ এসেছে, জেলাস্তরের এই অভিযানগুলির নেতৃত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলার সমস্ত বিধায়ক এবং অন্তত একজন দলীয় সাংসদ ৷ বিজেপি রাজ্য কমিটির এক সদস্য এই প্রসঙ্গে জানান, "প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছিল, দুর্গাপুজোর পরই জেলাস্তরের এই কর্মসূচি আরম্ভ করা হবে ৷ কিন্তু, পরবর্তীতে তা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ ঠিক হয়, উৎসবের মরশুম পার করেই দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে নামা হবে ৷ কারণ, দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজো ও ভাইফোঁটার সঙ্গেও বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে এই সময় আন্দোলন শুরু করলে মানুষ তা ভালোভাবে নাও নিতে পারে ৷"

রাজ্য বিজেপি-এর মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) এই প্রসঙ্গে বলেন, "বর্তমান সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে দুর্নীতির শিখর আকাশ ছুঁয়েছে ৷ এদিকে, রোজই টাকার পাহাড় উদ্ধার হচ্ছে ৷ এসব দেখে বাংলার মানুষ বিধ্বস্ত ৷ আমাদের বার্তা হল, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও আপস নয় ৷ এই বার্তা নিয়েই আমরা মানুষের দরজায় পৌঁছে যাব ৷"

অন্যদিকে, বিজেপি-এর কর্মসূচিকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ৷ দলের প্রথম সারির নেতা তথা বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy) এই প্রসঙ্গে বলেন, "এই রাজ্যে বিজেপি-এর সাংগঠনিক শক্তি যেমন নেই, তেমনই কোনও জননেতাও নেই ৷ তাদের সমস্ত কর্মসূচিই একের পর এক ফ্লপ হচ্ছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.