কলকাতা, 25 ডিসেম্বর : রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ৷ আর জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর বঙ্গ-বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বিদায় নিলেন পাঁচজন বিধায়ক (5 BJP MLA Left Whatsapp Group) ৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁরা সকলেই মতুয়া অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে জিতেছেন ৷
প্রসঙ্গত, আজই সকালে বিজেপির নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয় ৷ পশ্চিমবঙ্গের 42 টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত নেতাদের নাম জানানো হয় ৷ আর তার পরই এই বিদ্রোহ শুরু হয় ৷
বিজেপি সূত্রে খবর, পদাধিকার বলে দলের রাজ্য সভাপতিই বেছে নিতে পারেন জেলা সভাপতিদের ৷ সেই নিয়ম মেনে এবার জেলা কমিটি তৈরি করেছেন সুকান্ত মজুমদার ৷ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুমোদনে এদিন তা ঘোষণা করা হয় ৷ ঘোষণার পর দেখা যায় কমিটিতে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে ৷ যেমন - বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ছিলেন মনস্পতি দেব । তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৷ বদলে ওই পদে এসেছেন রামপদ দাস ।
তার পরই ওই এলাকার বিজেপি বিধায়করা একে একে দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বিদায় নিতে শুরু করেন ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন - গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ।
এঁরা সকলেই মতুয়া অধ্যুষিত এলাকার বিধায়ক ৷ তার উপর সুব্রত ঠাকুরের ভাই শান্তনু ঠাকুর বনগাঁর সাংসদ ৷ তিনি কেন্দ্রে মোদি সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রী ৷ ফলে এই ঘটনা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে ।
বঙ্গ-রাজনীতির ভোট পরিসংখ্যান নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বলছেন যে এই ঘটনার যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে ৷ কারণ, বাংলার মতুয়া ভোটের বড় অংশই এখন বিজেপির দখলে ৷ 2019-এর লোকসভা নির্বাচন, 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে ৷
যাঁদের সমর্থন রয়েছে বিজেপির উপর, তাঁদের কোনও প্রতিনিধি কেন বঙ্গ-বিজেপির রাজ্য ও জেলা কমিটিতে কেন নেই সেই প্রশ্ন উঠছে ৷ বিজেপি সূত্রের খবর, সেই ক্ষোভ থেকেই ওই পাঁচজন বিধায়ক দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে বিদায় নেন ৷ তাছাড়া শান্তনু ঠাকুরের কয়েকজন অনুগামীও গ্রুপ ত্যাগ করেছেন ৷
তবে এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউই কোনও মন্তব্য করিতে চাননি । কিন্তু এই বিদ্রোহের জেরে পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেই দিকেই আপাতত তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল ৷