ETV Bharat / city

BJP Meeting : পর্যালোচনা বৈঠকে বঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা মানল রাজ্য নেতৃত্ব

শনিবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক হয় (Bengal BJP Organisational Meeting) ৷ সেখানে দলের সংগঠনের অবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করে গেরুয়া শিবির ৷

bjp-leaders-admit-that-organisation-is-weak-in-bengal
BJP Meeting : পর্যালোচনা বৈঠকে বঙ্গে বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা মানল রাজ্য নেতৃত্ব
author img

By

Published : Mar 5, 2022, 7:38 PM IST

কলকাতা, 5 মার্চ : কলকাতা-সহ চার পৌরনিগম ও 108টি পৌরসভার ভোটে বিজেপির যে ভরাডুবি হয়েছে, তার জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতাই দায়ী (BJPs poor Performance in Bengal Civic Polls 2022) ৷ শনিবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে এই তত্ত্বই উঠে এসেছে (Bengal BJP Organisational Meeting) ৷ যেহেতু গোটা বিষয়টি গেরুয়া শিবিরের অন্দরে আলোচনা হয়েছে, তাই এই নিয়ে কেউই মুখ খুলতে নারাজ ৷ তবে বিজেপির একটি সূত্র থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷

ওই সূত্রের দাবি, এদিন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী বৈঠকে জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে সাংগঠনিকভাবে বহু জায়গায় বিজেপি এখনও দুর্বল (BJP leaders admit that Organisation is weak in Bengal) । উত্তরবঙ্গ ছাড়া বাকি অংশে দলের সংগঠনিক পরিস্থিতি খারাপ । সেই কারণেই পৌর নির্বাচনে ব্যর্থ হতে হয়েছে ৷ তবে সাংগঠনিক এই দুর্বলতা দূর করে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তাও দেওয়া হয়েছে ৷ দলের অভিজ্ঞ নেতাদের এই বিষয়ে বাড়তি দায়িত্বও নিতে বলা হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি ৷

বিজেপির ওই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মার্চেও দলের নিচুস্তরে সাংগঠনিক রদবদল করা হবে ৷ জেলা কমিটি আগেই গঠন করা হয়েছে ৷ এবার মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র, মোর্চা কমিটি গঠন করতে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ 31 মার্চের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী ৷

তাঁর নির্দেশ, যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁদের মাপকাঠিও নির্ধারণ রাজ্য নেতৃত্ব করেছে বলে ওই সূত্রের দাবি ৷ 45 বছরের কমবয়সীদের দায়িত্ব দিতে হবে ৷ যেহেতু একেবারে স্থানীয় এলাকায় লড়াই করতে হবে, তাই লড়াকু মনোভাবের নেতাদেরই মণ্ডল সভাপতি করতে হবে ৷ আর দেখে নিতে হবে যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা কতটা রয়েছে ৷

বিজেপির সাম্প্রতিক সাংগঠনিক রদবদলের পর বিভিন্ন নেতা বিদ্রোহ করেছেন ৷ কখনও তা রাজ্যস্তরে হয়েছে, আবার কখনও জেলাস্তরে বিদ্রোহ হয়েছে ৷ ওই সূত্রের দাবি, অমিতাভ বৈঠকে জানিয়েছেন, পদ না থাকলে, কার্যকর্তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন । এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় স্থানীয়স্তরে দলের মধ্যে আলোচনা করতে হবে ৷ এছাড়া রাজ্যস্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেও সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷

ওই সূত্রের দাবি, একই সঙ্গে অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘টিম নিয়ে কাজ করার প্রবণতা এখন কম । আমাদের নজর এখন টিমে জোর দেওয়াই । দল কাঠামো মেনে চলেছে বলেই এগিয়েছে ।’’ তাই দ্রুত সংগঠনের কাঠামো ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ পাশাপাশি বলেছেন, ‘‘কোথাও কোথাও দেখি একজনই সব দায়িত্ব নিচ্ছেন, এটা কেন হবে ? আর কোথাও কেউ নেই ? এগুলো বদলাতে হবে । সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে । ১৯-এ আমরা এগিয়েছি, কারণ আমাদের সংগঠন জয়ের একটা বাতাবরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল, তাই আমরা জিতেছি । জয়ের স্বাদ পেয়েছি । আর এখন নেই বলেই এই মুহূর্তটা চ্যালেঞ্জিং ।’’

অন্যদিকে পৌর নির্বাচনে হেরে যাওয়া ওয়ার্ডগুলিতে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর নির্দেশ, কনভেনার বাড়াতে হবে প্রয়োজনে । ব্লক কমিটি, অঞ্চল কমিটিতে ভাগ হবে । একটা একটা অঞ্চল কমিটির মধ্যে 'অঞ্চল সমিতি' গড়তে হবে । এলাকায় যাতে প্রভাব বেশি, তাঁদেরই অঞ্চলের দায়িত্ব দিতে হবে ৷

তাছাড়া বিধানসভা সমিতি, ব্লক সমিতি, ওয়ার্ড সমিতি, অঞ্চল সমিতি 31 মার্চের মধ্যে তৈরির করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । প্রতিটি সমিতির নির্দিষ্ট কার্যযোজনা তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন ৷ জগন্নাথ সরকার, রথীন্দ্রনাথ বসু, জোত্যির্ময় মাহাতোদের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।

এছাড়া তিনি বলেন, ‘‘মে মাসের 15 তারিখের পর রাজ্যে প্রশিক্ষণ শিবির হবে । লকেট চট্টোপাধ্যায় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ছিলেন, তিনিও দায়িত্ব নেবেন । তফশিলি সম্প্রদায়ের প্রচুর সমর্থন আমরা পেয়েছি । তফশিলি মোর্চার জন্য আম্বেদকর জয়ন্তীতে বড় প্রোগ্রাম নিন । রাম নবমীতেও আমরা প্রোগ্রাম নেব ।’’

এদিকে সাংগঠনিক পর্যালোচনা শুরুর আগে ভাষণ দেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন বন্ধ । এসএসসির একাধিক প্যানেল বাতিল হয়ে যাচ্ছে । সিবিআই তদন্ত করতে বলছে আদালত । জনগণের রায়ের সময় সেই পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে নাকি তৃণমূলের গটআপ আছে, সিপিএমের বন্ধুরা বলে ৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে 10টার মধ্যে 8টা তৃণমূলে দিলে 2টো সিপিএমকে দিচ্ছে । ফিসফ্রাই তত্ত্ব আবার ফিরে এসেছে ।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের নতুন ডাক, কাস্তে হাতুড়ি বেঁচে থাক ।’’

তাঁর দাবি, ‘‘অলিখিত জরুরি অবস্থা চলছে ৷ বিজেপি করা যাবে না ৷ সিপিএম করা যেতে পারে । এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে ৷ গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই আমাদের ৷ কারণ আমরা প্রধান বিরোধী দল । দল সবার, দল ব্যক্তির নয়, আজ এখানে আছি কাল ওখানে বসব ৷ দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে নিয়ে, সেটা ঠিক হতে পারে, ভুলও হতে পারে । সবাই মিলে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাব ।’’

আরও পড়ুন : Suvendu Skips BJP Meeting : রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে শুভেন্দুর অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা

কলকাতা, 5 মার্চ : কলকাতা-সহ চার পৌরনিগম ও 108টি পৌরসভার ভোটে বিজেপির যে ভরাডুবি হয়েছে, তার জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতাই দায়ী (BJPs poor Performance in Bengal Civic Polls 2022) ৷ শনিবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে এই তত্ত্বই উঠে এসেছে (Bengal BJP Organisational Meeting) ৷ যেহেতু গোটা বিষয়টি গেরুয়া শিবিরের অন্দরে আলোচনা হয়েছে, তাই এই নিয়ে কেউই মুখ খুলতে নারাজ ৷ তবে বিজেপির একটি সূত্র থেকে এমনই তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷

ওই সূত্রের দাবি, এদিন বঙ্গ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী বৈঠকে জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে সাংগঠনিকভাবে বহু জায়গায় বিজেপি এখনও দুর্বল (BJP leaders admit that Organisation is weak in Bengal) । উত্তরবঙ্গ ছাড়া বাকি অংশে দলের সংগঠনিক পরিস্থিতি খারাপ । সেই কারণেই পৌর নির্বাচনে ব্যর্থ হতে হয়েছে ৷ তবে সাংগঠনিক এই দুর্বলতা দূর করে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তাও দেওয়া হয়েছে ৷ দলের অভিজ্ঞ নেতাদের এই বিষয়ে বাড়তি দায়িত্বও নিতে বলা হয়েছে বলে ওই সূত্রের দাবি ৷

বিজেপির ওই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, চলতি মার্চেও দলের নিচুস্তরে সাংগঠনিক রদবদল করা হবে ৷ জেলা কমিটি আগেই গঠন করা হয়েছে ৷ এবার মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র, মোর্চা কমিটি গঠন করতে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ 31 মার্চের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন অমিতাভ চক্রবর্তী ৷

তাঁর নির্দেশ, যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাঁদের মাপকাঠিও নির্ধারণ রাজ্য নেতৃত্ব করেছে বলে ওই সূত্রের দাবি ৷ 45 বছরের কমবয়সীদের দায়িত্ব দিতে হবে ৷ যেহেতু একেবারে স্থানীয় এলাকায় লড়াই করতে হবে, তাই লড়াকু মনোভাবের নেতাদেরই মণ্ডল সভাপতি করতে হবে ৷ আর দেখে নিতে হবে যাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে, তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা কতটা রয়েছে ৷

বিজেপির সাম্প্রতিক সাংগঠনিক রদবদলের পর বিভিন্ন নেতা বিদ্রোহ করেছেন ৷ কখনও তা রাজ্যস্তরে হয়েছে, আবার কখনও জেলাস্তরে বিদ্রোহ হয়েছে ৷ ওই সূত্রের দাবি, অমিতাভ বৈঠকে জানিয়েছেন, পদ না থাকলে, কার্যকর্তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন । এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় স্থানীয়স্তরে দলের মধ্যে আলোচনা করতে হবে ৷ এছাড়া রাজ্যস্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেও সমস্যার সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ৷

ওই সূত্রের দাবি, একই সঙ্গে অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘টিম নিয়ে কাজ করার প্রবণতা এখন কম । আমাদের নজর এখন টিমে জোর দেওয়াই । দল কাঠামো মেনে চলেছে বলেই এগিয়েছে ।’’ তাই দ্রুত সংগঠনের কাঠামো ঠিক করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ পাশাপাশি বলেছেন, ‘‘কোথাও কোথাও দেখি একজনই সব দায়িত্ব নিচ্ছেন, এটা কেন হবে ? আর কোথাও কেউ নেই ? এগুলো বদলাতে হবে । সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে । ১৯-এ আমরা এগিয়েছি, কারণ আমাদের সংগঠন জয়ের একটা বাতাবরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল, তাই আমরা জিতেছি । জয়ের স্বাদ পেয়েছি । আর এখন নেই বলেই এই মুহূর্তটা চ্যালেঞ্জিং ।’’

অন্যদিকে পৌর নির্বাচনে হেরে যাওয়া ওয়ার্ডগুলিতে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ তাঁর নির্দেশ, কনভেনার বাড়াতে হবে প্রয়োজনে । ব্লক কমিটি, অঞ্চল কমিটিতে ভাগ হবে । একটা একটা অঞ্চল কমিটির মধ্যে 'অঞ্চল সমিতি' গড়তে হবে । এলাকায় যাতে প্রভাব বেশি, তাঁদেরই অঞ্চলের দায়িত্ব দিতে হবে ৷

তাছাড়া বিধানসভা সমিতি, ব্লক সমিতি, ওয়ার্ড সমিতি, অঞ্চল সমিতি 31 মার্চের মধ্যে তৈরির করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । প্রতিটি সমিতির নির্দিষ্ট কার্যযোজনা তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন ৷ জগন্নাথ সরকার, রথীন্দ্রনাথ বসু, জোত্যির্ময় মাহাতোদের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।

এছাড়া তিনি বলেন, ‘‘মে মাসের 15 তারিখের পর রাজ্যে প্রশিক্ষণ শিবির হবে । লকেট চট্টোপাধ্যায় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ছিলেন, তিনিও দায়িত্ব নেবেন । তফশিলি সম্প্রদায়ের প্রচুর সমর্থন আমরা পেয়েছি । তফশিলি মোর্চার জন্য আম্বেদকর জয়ন্তীতে বড় প্রোগ্রাম নিন । রাম নবমীতেও আমরা প্রোগ্রাম নেব ।’’

এদিকে সাংগঠনিক পর্যালোচনা শুরুর আগে ভাষণ দেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷ তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন বন্ধ । এসএসসির একাধিক প্যানেল বাতিল হয়ে যাচ্ছে । সিবিআই তদন্ত করতে বলছে আদালত । জনগণের রায়ের সময় সেই পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে নাকি তৃণমূলের গটআপ আছে, সিপিএমের বন্ধুরা বলে ৷ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে 10টার মধ্যে 8টা তৃণমূলে দিলে 2টো সিপিএমকে দিচ্ছে । ফিসফ্রাই তত্ত্ব আবার ফিরে এসেছে ।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূলের নতুন ডাক, কাস্তে হাতুড়ি বেঁচে থাক ।’’

তাঁর দাবি, ‘‘অলিখিত জরুরি অবস্থা চলছে ৷ বিজেপি করা যাবে না ৷ সিপিএম করা যেতে পারে । এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে ৷ গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই আমাদের ৷ কারণ আমরা প্রধান বিরোধী দল । দল সবার, দল ব্যক্তির নয়, আজ এখানে আছি কাল ওখানে বসব ৷ দলের সিদ্ধান্ত সবাইকে নিয়ে, সেটা ঠিক হতে পারে, ভুলও হতে পারে । সবাই মিলে পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাব ।’’

আরও পড়ুন : Suvendu Skips BJP Meeting : রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে শুভেন্দুর অনুপস্থিতি ঘিরে জল্পনা

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.