কলকাতা, 10 জুন: সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং বিভিন্ন দফতরের হাতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাজ্য বিধানসভায় বিল আনা হবে (Bill to make CM chancellor)। এই বিলের মূল উদ্দেশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আচার্যের পদে বসানোর ক্ষেত্রে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া । রাজ্য বিধানসভা সূত্রে খবর, বিধানসভায় সোমবার যে বিল আসতে চলেছে তাতে সংঘাত নয়, বরং সসম্মানে রাজ্যপালকে এই পথ থেকে প্রস্থানের জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে । বিলে স্পষ্ট ভাবে এ কথা বলে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যপালকে একাধিক সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে হয় । এ ক্ষেত্রে দায়িত্ব এমন কাউকে দেওয়া উচিত যাঁকে মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হয় (chancellor of universities)।
উল্লেখ্য, পুঞ্চি কমিশন তার রিপোর্টে সুপারিশ করেছে যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাগুলি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভাবে পালন করার জন্য, রাজ্যপালের উপর এমন পদ ও দায়িত্বের বোঝা চাপানো উচিত নয়, যা সংবিধানের অধীনে কল্পনা করা হয়নি এবং যার ফলে জনসমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে । রাজ্যপালকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য বানানোর জন্য ঐতিহাসিক ভাবে কিছু প্রাসঙ্গিকতা থাকতে পারে, তবে পরিস্থিতির পরিবর্তনে যার আর প্রয়োজনীয়তা নেই ।
পুঞ্চি কমিশনও বলেছে, রাজ্যপালের ভূমিকা কেবলমাত্র সাংবিধানিক বিধান পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত । তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় গঠন আইন সংশোধন করা আবশ্যক এবং এটি অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়েছে, যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হবেন উক্ত আইনের ভিত্তিতে ।
আরও পড়ুন: CM as Chancellor: এবার কৃষি-স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও মুখ্যমন্ত্রী
নবান্নের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীই (CM would be The Chancellor of Agriculture-Health-Science Universities) ৷ শুধুমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে পরিদর্শক হবেন শিক্ষামন্ত্রী ৷ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ৷ জানানো হয়েছিল যে শিগগিরই এই বিল রাজ্য বিধানসভায় আনা হবে (Assembly news)৷