পাটনা, 14 জুলাই : জঙ্গিদের নজরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) ৷ সম্প্রতি এমনই তথ্য এসেছে গোয়েন্দাদের কাছে ৷ এমনকী, গত 12 জুলাই বিহার সফরের সময় তাঁর উপর হামলার ছক কষাও হয়েছিল বলে খবর পেয়েছেন গোয়েন্দারা (Terror Plot to Target Prime Minister Narendra Modi) ৷ মোদির সফরের আগের দিন, 11 জুলাই বিহারের পাটনায় জঙ্গি সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Two Suspected Terrorists Arrested from Patna) ৷ তাদের জেরা করেই এই তথ্য মিলেছে বলে ওই রাজ্যের পুলিশ সূত্রে খবর ৷
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (Special Protection Group) বা এসপিজি (SPG) ৷ সেই নিরাপত্তার বলয় অত্যন্ত আঁটোসাঁটো হয় ৷ তাই সেই নিরাপত্তার বলয় এড়িয়ে কীভাবে মোদির উপর হামলা করা হবে, তার জন্য আতহার পারভেজ ও মহম্মদ জালালউদ্দিন নামে ওই দু’জন জঙ্গি রীতিমতো প্রশিক্ষণ নিয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন ৷ তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ফুলওয়ারি শরিফে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ৷ টানা 15 দিন ধরে চলে প্রশিক্ষণ ৷ বিহার পুলিশ সেখানেও তল্লাশি চালিয়েছে ৷
গোয়েন্দাদের সূত্রে খবর, শুধু প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলার ছক নয়, এই জঙ্গিরা ভারত বিরোধী আরও চক্রান্ত করছে ৷ 2047 সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করার ছকও চলছে ৷ এই ঘটনায় আরও কয়েকজন ধরা পড়েছেন ৷ তাদের মধ্যে বিহার পুলিশের একজন অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকও রয়েছেন ৷
পাটনার এডিজি (সদর) জেএস গঙ্গোওয়ার জানিয়েছেন, পাটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে ৷ দু’জন গ্রেফতার হয়েছে ৷ তদন্ত চলছে৷ নিষিদ্ধ মৌলবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (Popular Front of India) বা পিএফআই (PFI)-এর পোস্টার, ব্যানার, নথি উদ্ধার হয়েছে ৷ বাজেয়াপ্ত হয়েছে মোবাইল ফোনও ৷ আরও কয়েকজনকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সবদিক খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হচ্ছে ৷
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পারভেজের সঙ্গে বিদেশি সংগঠনের যোগাযোগ ছিল ৷ ভারত বিরোধী কার্যকলাপের জন্য বিদেশ থেকে অর্থও জোগাড় করেছিল ৷ সেই তালিকায় পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও তুরস্ক থেকে টাকা জোগাড় করেছে তারা ৷ এই কাজে ব্যবহারের জন্য পারেভজ ও অন্যরা প্রশিক্ষণও দিয়েছে অনেককে ৷ সেখানে যারা প্রশিক্ষণ নিতে আসত, তারা মূলত কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্য অনেক রাজ্য থেকে ৷ তাই সব মিলিয়ে 26 জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে ৷
ফুুলওয়ারা শরিফের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার মণীশ কুমার বলেন, ‘‘কিভাবে তলোয়ার, ছুরি চালাতে হবে, তা স্থানীয়দের শেখাতো ৷ সাম্প্রদায়িক হিংসার উস্কানিও দিত ৷ অন্যরাজ্যের বাসিন্দারা যে তাদের কাছে পাটনায় এসেছিল, তদন্তে সেই তথ্য উঠে এসেছে ৷ পরিচয় গোপন করতে অন্য নামে বিহারের রাজধানীর হোটেলে থাকত ৷’’
আরও পড়ুন : PM Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রীর চপারের কাছে চলে এল কংগ্রেসের ওড়ানো কালো বেলুন, গ্রেফতার তিন