কলকাতা, 15 জানুয়ারি : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আবারও সংঘাত জোরালো হল রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের । আজ আবারও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের টুইটের নিশানায় প্রশাসন ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টুইটে ট্যাগও করেন তিনি ।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট করেন যে, শিক্ষার ক্ষেত্রে এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই । চলছে শাসকদলের আইন । সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তীকে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ বছরের মেয়াদ বাড়ানোর প্রসঙ্গে এই টুইটটি করেন রাজ্যপাল (bengal governor criticises mamata government on calcutta university vc extension) ।
রাজ্যপাল এর আগে একটি টুইটে বলেছিলেন, রাজ্যের 24টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আচার্যর অনুমতি নেওয়া হয়নি । এইবার তাঁর সঙ্গে যোগ হল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম । তাঁর অভিযোগ, 25টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই রাজ্যপালের অনুমোদন নেওয়া হয়নি । তাই রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়াই যে নিয়োগগুলি হয়েছে, তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধনকড় ।
তবে এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন যে সবরকম নিয়ম মেনেই নিয়োগ করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে । এই বিষয় ব্রাত্যবাবু আগে বলেছিলেন, "ওঁর কথা অনুযায়ী একথা ঠিক যে সমস্ত উপাচার্যকে রাজ্য সরকার নিয়োগ করছে দ্বিতীয়বারের জন্য । নিয়ম কী ? নিয়ম হল দ্বিতীয়বারের জন্য অনুমোদন রাজ্য সরকার করতে পারে ।’’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘এই বিজ্ঞপ্তি যখন আমরা জারি করছি, একইসঙ্গে আমরা জানাচ্ছি, যতক্ষণ না নতুন কোনও উপাচার্য আসছেন এই উপাচার্য অস্থায়ী পদে কখনও তিন বছর, কখনও চার বছর থাকবেন । কারও ক্ষেত্রে দু’ বছর আবার কারও ক্ষেত্রে ৬ মাস এইভাবে নোটিফিকেশনটা করছি । অর্থাত্ এই প্রতিটি নিয়োগ অস্থায়ী এবং যতক্ষণ না স্থায়ী উপাচার্য আসছেন সেই সময়ের জন্যই ।”