কলকাতা, 17 এপ্রিল : বিধাননগর ৷ পঞ্চম দফায় যে কেন্দ্রগুলির দিকে সকলের নজর ছিল, তার মধ্যে অন্যতম হল এই বিধাননগর ৷ যেখানে সম্মুখ-সমরে নেমেছিলেন রাজ্যের দুই হেভিওয়েট নেতা ৷ বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর সঙ্গে এবার লড়াই বিজেপির সব্যসাচী দত্তের ৷ যিনি বছর দুয়েক আগেও তৃণমূল কংগ্রেসেরই নেতা ছিলেন ৷ ফলে ভোটের দিন দুই পক্ষের মধ্যে টক্করের মাত্রা একেবারে চরমে পৌঁছাবে বলে মনে করা হচ্ছিল ৷ সেখানে শান্তিপূর্ণই ভোট হতে দেখা গেল ৷
যদিও বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি যে হয়নি, তা নয়৷ শান্তিনগর, দত্তাবাদ এই সব এলাকাগুলি তো সকাল থেকে মাঝেমধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ৷ কিন্তু বাকি অংশতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হয়েছে ভোট ৷
স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে যে এটা কীসের ইঙ্গিত ? বিধাননগরের ভোটে কে এগিয়ে রইল ?
রাজনৈতিক বিশ্লেষক শান্তনু সান্যাল জানাচ্ছেন যে বিধাননগরের ভোট বরাবরই শান্তিপূর্ণ হয় ৷ সে লোকসভা হোক বা বিধাননসভা ৷ আর এই এলাকায় যেহেতু অবসরপ্রাপ্তরা বেশি থাকেন৷ সারা বছরই একে অপরের রেখে সদ্ভাব রেখে চলেন বলে গোলমালও এখানে অপেক্ষাকৃত কম হয় ৷ তবে এর সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন যে শান্তিতে ভোট হলে একটা বড় পরিবর্তন হওয়ার ইঙ্গিত থাকে ৷
এখন প্রশ্ন হল, বিধাননগরের শান্তিপূর্ণ ভোট কীসের ইঙ্গিত ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন যে বিধাননগর এলাকাটিতে বরাবরই দাপট রয়েছে বিজেপির ৷ অন্যদিকে লেকটাউন, দক্ষিণদাঁড়ি বা এদিকের নয়াবাদ, দত্তাবাদের দিকে তৃণমূলের দাপট রয়েছে ৷ সেই দিক থেকে লেকটাউন-দক্ষিণদাঁড়ির দিকে কোনও গোলমালই হয়নি ৷
যদিও গোলমাল না হলেও বিধাননগরের ভোটদানের হার কিন্তু রাজ্য়ের অনান্য অংশের সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় ৷ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিধাননগরে ভোট পড়েছে 61.10 শতাংশ ৷ অথচ প্রথম দফা থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটদানের বেশ ভালো ছিল ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে 80 শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৷ সেখানে বিধাননগরে বেশ কম ভোট পড়েছে বলা চলে ৷
স্বাভাবিক ভাবেই তাই প্রশ্ন উঠছে যে বিধাননগরের রায় কোন দিকে গেল ? বরাবরই শক্তঘাঁটি মূল বিধাননগরে আধিপত্য বজায় রেখে কি বাকি জায়গাগুলিতে বিস্তার লাভ করতে পারবে বিজেপি ? নাকি নীরব ভোটে লাভ হবে তৃণমূলের ?
আরও পড়ুন : ভোট-পঞ্চমীতে ভাল নম্বর নিয়েই পাস করল কমিশন
উত্তর আপাতত ইভিএমবন্দী ৷ যে ইভিএমগুলি খোলা হবে আগামী 2 মে ৷ সেদিনই বোঝা যে বিধাননগরের রায় কোন দিকে গেল ৷