কলকাতা, 21 এপ্রিল : হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা৷ রাহুল সিনহা ও মুকুল রায়, অনায়াসেই এই দু’জনের নামের আগে ওই শব্দ তিনটি বসানো যায়৷ বৃহস্পতিবার বিজেপির হয়ে রাজ্য রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই দুই কুশীলব ভোটের লড়াইয়ে নামছেন৷ এর আগেও তাঁরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন৷ কিন্তু কোনওবারই তাঁরা জয় পাননি৷ তাই এবারও তাঁরা প্রথমবার জয়ের লক্ষ্যে ভোটারদের দিকে তাকিয়ে৷
মুকুল রায় এবার নদীয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন৷ প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়৷ তিনি শেষবার ভোটের লড়াইয়ে নেমেছিলেন 20 বছর আগে৷ 2001 সালে উত্তর 24 পরগনার জগদ্দল কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন৷ তখন তিনি ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক৷ সেবার অবশ্য জিততে পারেননি৷
এর পরের 20 বছরে মুকুল রায়ের রাজনৈতিক ওজন বেড়েছে কয়েকগুন৷ তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি হয়েছেন৷ একটা সময় পর্যন্ত তিনিই ছিলেন তৃণমূলের নম্বর-টু৷ এমনকী, তাঁকে বঙ্গ রাজনীতির চাণক্যও বলা হয়৷ কারণ, নির্বাচনী রাজনীতির রণকৌশল তৈরিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার৷ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পরও তাঁর ভূমিকার বদল ঘটেনি৷ বিজেপির অন্দরের কেউ কেউ বলেন মুকুল রায়ই 2019 সালে বিজেপির ভালো ফলের অন্যতম অনুঘটক ছিলেন৷
কিন্তু এবার আর অন্যদের জেতানোর কৌশল তৈরি করেই কাজ শেষ হয়নি মুকুল রায়ের৷ প্রথমবার ভোটের ময়দানে নিজের জেতার বিষয়েও ভাবতে হচ্ছে৷
অন্যদিকে একই কথা বলা যায় রাহুল সিনহা সম্পর্কেও৷ তিনিও একাধিকবার ভোটে লড়েছেন৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখতে পারেননি একবারও৷ অথচ বিজেপিতে তিনি সংগঠনে বড় বড় পদ সামলেছেন৷ এমনকী, টানা 6 বছর রাজ্য সভাপতি পদেও থেকেছেন৷ এমন একজন হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতাও উত্তর 24 পরগনার হাবরা কেন্দ্র থেকে প্রথমবার জয়ের লক্ষ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন৷ তাঁর প্রতিপক্ষ তৃণমূলের হেভিওয়েট জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷
আরও পড়ুন : তৃণমূল-বিজেপির কড়া টক্করের মাঝে ভোট-ষষ্ঠীতে প্রাসঙ্গিক হওয়ার লড়াই বাম-কংগ্রেসের
যদিও বিজেপির একটি সূত্র বলছে যে দলের দুই হেভিওয়েট নেতা এবারই প্রথমবার নির্বাচনী জয় পাবেন৷ কারণ, তাঁদের দু’জন নিরাপদ আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে৷ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে কৃষ্ণনগর উত্তর ও হাবরা, দু’টি আসনেই এগিয়ে ছিল বিজেপি৷ তাই এবার সেই লিড ধরে রেখেই জয়ের দরজা খোলাই চ্যালেঞ্জ মুকুল-রাহুলের কাছে৷