কলকাতা, 26 এপ্রিল : বঙ্গ-ভোটের শেষ পর্যায় উপস্থিত ৷ আর একেবারে শেষের পর্যায়ে এসে ভোট শুরু হল মহানগর কলকাতায় ৷ আজ, সোমবার সপ্তম দফায় কলকাতার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটাররা নিজেদের রায় ইভিএম-বন্দী করলেন ৷ এই চার কেন্দ্রের ভোট কি কোনও ভাবে কোনও রাজনৈতিক ইঙ্গিতবহন করল ? ভোটে এই প্রশ্ন ঘিরেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷
তার কারণ, গত ছয় দফায়, এমনকী সপ্তম দফাতেও অনান্য জায়গায় যে হারে ভোট পড়েছে, কলকাতা কিন্তু তার থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ৷ ফলে কেন কলকাতার মানুষ কম ভোট দিলেন, উঠছে সেই প্রশ্নও ৷ তাহলে কি সুবিধা হল তৃণমূল কংগ্রেসের ? নাকি ভোট কম পড়ার কারণ করোনা পরিস্থিতি, যাতে আদতে লাভবান হবে বিজেপি ?
এই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার আগে জেনে নিতে হবে যে ঠিক কত ভোট শতাংশের হিসেব নিকেশ ৷ নির্বাচন কমিশনের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সপ্তম দফায় গোটা রাজ্যে 75.06 শতাংশের কাছে কাছে ভোট পড়েছে ৷ আর কলকাতায় ভোট পড়েছে প্রায় 60 শতাংশ ৷
এবার কলকাতার কেন্দ্রগুলি ধরে হিসেব করা হয়, তাহলে দেখা যাবে বালিগঞ্জে 59.59, ভবানীপুরে 60.01, কলকাতা বন্দরে 64.09 এবং রাসবিহারীতে 55.93 শতাংশ ভোট পড়েছে ৷ যদিও এটা সর্বশেষ হিসেব নয় ৷ তা আসতে আরও অনেকটা সময় লাগবে ৷
কিন্তু এই পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে কলকাতার ভোট সাধারণ এমনই হয় ৷ এর থেকে হয়তো দু’এক শতাংশ বেশি হতে পারে ৷ করোনা পরিস্থিতির জেরে হয়তো কিছুটা ঘাটতি হয়েছে ৷ তবে এতে রাজনৈতিক ভাবে কারা লাভবান হবে, তা বলা এখনই কঠিন ৷
তবে এবারের নির্বাচনের যুযুধান দুই পক্ষ, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি মনে করছে যে কলকাতায় ভোট ‘স্বাভাবিক’ হলেও তাদের পক্ষেই মানুষ রায় দিয়েছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা বালিগঞ্জের বিজেপি প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, করোনার কারণে অনেকে হয়তো ভোট দিতে ভয় পাচ্ছেন ৷ তবে এবার ভোট সামান্য কম হয়েছে ৷ একে স্বাভাবিক ভোট হিসেবেই ধরা যায় ৷ তৃণমূলই ভালো ফল করবে ৷
অন্যদিকে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়ার দাবি, মহানগরগুলিতে তো সবসময়ই কম ভোট হয় ৷ কলকাতাতেও তাই হয়েছে ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই চারটে আসনে বিজেপি ভালো ফল করবে ৷
আরও পড়ুন : সরকারে এলে কলকাতাতেই হবে ইকোনমিক হাব, আশ্বাস নাড্ডার
কিন্তু শেষপর্যন্ত কলকাতার এই চার আসনের 60 শতাংশ মানুষের রায় কোন দিকে গেল, এর থেকে কারা লাভবান হল, তা জানতে অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 2 মে পর্যন্ত ৷