ETV Bharat / city

CAA ও NRC ইশু কতটা প্রাসঙ্গিক রাজ্য রাজনীতিতে ? পৃথক মত বঙ্গ BJP-তে - CAA

লোকসভা নির্বাচনের ইশুগুলি রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে কতটা প্রাসঙ্গিক? 2021-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ইশুভিত্তিক কোনও পরিবর্তন কি দরকার ? কী ভাবছে বঙ্গ BJP ?

West Bengal BJP
ছবি
author img

By

Published : Feb 13, 2020, 8:40 PM IST

কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি : ঝাড়খণ্ডের পর দিল্লি । একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী মোদি-শাহের ব্রিগেড । ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাই হোক বা আম আদমি পার্টি, আঞ্চলিক দলগুলির সামনে বার বারই মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে মোদির ক্যারিশমাকে । 2021 সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন । লড়াই আরও এক আঞ্চলিক দলের সঙ্গে । গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মাটিতে নিজেদের জমি অনেকটাই শক্ত করেছে বঙ্গ BJP । কিন্তু ঝাড়খণ্ড আর দিল্লিতে হারের পর BJP শিবির এখন অনেকটাই ব্যাকফুটে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ । দিল্লিতে হারের পর চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য BJP-র নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের কপালেও ।

সূত্রের খবর, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আগ্রাসী মনোভাব বজায় রাখা উচিত হবে কি না তা নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত বঙ্গ BJP শিবির । চলছে বিকল্প ইশুর খোঁজ ।

2019-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে 42টি আসনের মধ্যে 18টিতে জয়লাভ করেছে বঙ্গ BJP শিবির । লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনেই জয়ী হয়েছিল BJP । লোকসভা নির্বাচনে যা ফল হয়েছিল, মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে তা উলটে গেছে। BJP নেতৃত্বের একাংশ বলছেন, "পশ্চিমবঙ্গে 18টি আসন পাওয়া গেছে ঠিকই । কিন্তু, এই সাফল্যের জন্য বিধানসভা নির্বাচনেও অনায়সেই জেতা যাবে মনে করার কোনও কারণ নেই । বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আমাদের স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করতে হবে । লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে যেসব ইশু গুরুত্ব পেয়েছিল, রাজ্য বিধানসভাতেও সেইসব ইশু গুরুত্ব পাবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই । আমাদের নির্বাচনী প্রচার শুধুমাত্র CAA, NRC-তে আবদ্ধ থাকলেই চলবে না । রাজ্য পরিচালনার জন্য অন্যান্য ইশুর দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে ।"

গতবছরের শেষের দিক থেকে রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক ইশু বলতে NRC আর CAA । অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে হটাতে CAA আর NRC-কে হাতিয়ার করে প্রচার করছে BJP শিবির । আর ঠিক তার বিপরীত মেরুতে থেকে CAA আর NRC-র বিরোধিতা করছে রাজ্যের শাসক শিবির ।

তবে বঙ্গ BJP সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত BJP নেতাদের একাংশ কিন্তু মনে করছেন, এখনই ইশুগত কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই । আগ্রাসী রাজনীতিতে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বেশ ভালোই ফল করেছে BJP । তাই এখনই তড়িঘড়ি কোনও পরিবর্তনের দরকার নেই বলে মনে করছেন তাঁরা । তৃণমূলের মতো একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে আগ্রাসী রাজনীতিই একমাত্র পথ বলে মনে করছেন তাঁরা ।

দিলীপ ঘনিষ্ঠ এক BJP নেতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, "আমরা যদি এখন ইশুগত কোনও পরিবর্তন আনি, তবে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি বলে বার্তা যাবে রাজনৈতিক মহলে । আমাদের দলীয় কর্মীরা তাতে ভুল বুঝবে । অবশ্যই আমাদের অন্য ইশুকেও সামনে আনতে হবে । কিন্তু তার মানে CAA ও NRC ইশু থেকে পিছিয়ে আসতে হবে, এমনটাও নয় ।"

কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি : ঝাড়খণ্ডের পর দিল্লি । একের পর এক বিধানসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী মোদি-শাহের ব্রিগেড । ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাই হোক বা আম আদমি পার্টি, আঞ্চলিক দলগুলির সামনে বার বারই মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে মোদির ক্যারিশমাকে । 2021 সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন । লড়াই আরও এক আঞ্চলিক দলের সঙ্গে । গত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের মাটিতে নিজেদের জমি অনেকটাই শক্ত করেছে বঙ্গ BJP । কিন্তু ঝাড়খণ্ড আর দিল্লিতে হারের পর BJP শিবির এখন অনেকটাই ব্যাকফুটে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ । দিল্লিতে হারের পর চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্য BJP-র নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের কপালেও ।

সূত্রের খবর, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আর জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আগ্রাসী মনোভাব বজায় রাখা উচিত হবে কি না তা নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত বঙ্গ BJP শিবির । চলছে বিকল্প ইশুর খোঁজ ।

2019-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে 42টি আসনের মধ্যে 18টিতে জয়লাভ করেছে বঙ্গ BJP শিবির । লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির সাতটি আসনেই জয়ী হয়েছিল BJP । লোকসভা নির্বাচনে যা ফল হয়েছিল, মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে তা উলটে গেছে। BJP নেতৃত্বের একাংশ বলছেন, "পশ্চিমবঙ্গে 18টি আসন পাওয়া গেছে ঠিকই । কিন্তু, এই সাফল্যের জন্য বিধানসভা নির্বাচনেও অনায়সেই জেতা যাবে মনে করার কোনও কারণ নেই । বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আমাদের স্ট্রাটেজি পরিবর্তন করতে হবে । লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে যেসব ইশু গুরুত্ব পেয়েছিল, রাজ্য বিধানসভাতেও সেইসব ইশু গুরুত্ব পাবে এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই । আমাদের নির্বাচনী প্রচার শুধুমাত্র CAA, NRC-তে আবদ্ধ থাকলেই চলবে না । রাজ্য পরিচালনার জন্য অন্যান্য ইশুর দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে ।"

গতবছরের শেষের দিক থেকে রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক ইশু বলতে NRC আর CAA । অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে হটাতে CAA আর NRC-কে হাতিয়ার করে প্রচার করছে BJP শিবির । আর ঠিক তার বিপরীত মেরুতে থেকে CAA আর NRC-র বিরোধিতা করছে রাজ্যের শাসক শিবির ।

তবে বঙ্গ BJP সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত BJP নেতাদের একাংশ কিন্তু মনে করছেন, এখনই ইশুগত কোনও পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই । আগ্রাসী রাজনীতিতে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বেশ ভালোই ফল করেছে BJP । তাই এখনই তড়িঘড়ি কোনও পরিবর্তনের দরকার নেই বলে মনে করছেন তাঁরা । তৃণমূলের মতো একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে আগ্রাসী রাজনীতিই একমাত্র পথ বলে মনে করছেন তাঁরা ।

দিলীপ ঘনিষ্ঠ এক BJP নেতা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, "আমরা যদি এখন ইশুগত কোনও পরিবর্তন আনি, তবে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি বলে বার্তা যাবে রাজনৈতিক মহলে । আমাদের দলীয় কর্মীরা তাতে ভুল বুঝবে । অবশ্যই আমাদের অন্য ইশুকেও সামনে আনতে হবে । কিন্তু তার মানে CAA ও NRC ইশু থেকে পিছিয়ে আসতে হবে, এমনটাও নয় ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.