কলকাতা, 23 মার্চ: কোরোনা আতঙ্ককে ঘিরে গুজব ছড়াচ্ছে রকেটের গতিতে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই গুজব ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। আতঙ্কের এই সাতকাহনের মাঝে শুরু হয়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের কালোবাজারি। গোটা দেশ জুড়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাস্ক কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । ঝোপ বুঝে কোপ মারার দলে নাম লিখিয়েছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতরাও । হোয়াটসঅ্যাপে আসছে বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই সর্বনাশ। আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যেতে পারে টাকা। আর তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক । মানুষের সেই আতঙ্ক আর আকুতির সুযোগ নিয়ে একদল সুবিধাভোগী দল করে চলেছে কালোবাজারি । অন্তত, অভিযোগ তেমনটাই । দেড়'শো টাকার মাস্ক বিক্রি হচ্ছে 800 টাকায়। বেশিরভাগ দোকানে অমিল হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার । কোথাও যদি বা মিলছে তা চার থেকে পাঁচ গুন দাম। আতঙ্কে মানুষ সেই দাম দিয়েই কিনছে বাঁচার রসদ। কোরোনা আতঙ্কের মাঝেই হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নানা ধরনের মেসেজ। কোনওটাতে দেওয়া হচ্ছে সাবধান বাণী। কোনওটিতে আবার বলা হচ্ছে, দেওয়া হবে কোরোনা রিপোর্ট। অভিযোগ, বেশ কিছু মেসেজ আবার ঘুরছে বিনা পয়সায় বা কম পয়সায় মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার কিংবা কিট দেওয়ার অফারেরও। সংশ্লিষ্ট মেসেজের সঙ্গে থাকছে নির্দিষ্ট লিঙ্ক। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই সর্বনাশ। হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেজে পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করলেই মোবাইলের দখল চলে যেতে প্রতারকদের হাতে। দেখা যাচ্ছে, ওই লিঙ্কে ক্লিক করার পরেই আবার একটি ফোন আসছে। যাতে বলা হচ্ছে, একটি 10 টাকার বিনিময় করতে ৷ আর যেহেতু মোবাইলের দখল থাকছে প্রতারকদের হাতে রয়েছে তাই যে কোনও ট্রানজ়াকশনের সময় তারা দেখে নিতে পারছে পিন নম্বর।
ইন্টারনেটে রয়েছে অনেক ফেক ওয়েবসাইট। ইন্টারনেটের বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারকরা ওই ওয়েবসাইটগুলিকে অনেক সময় সার্চ ইঞ্জিনের উপরের দিকে নিয়ে আসছে। আর তাতেই ফাঁদে পড়ছেন বহু মানুষ। খোয়াচ্ছেন টাকা। কোরোনা আতঙ্কের মাঝে অনেক সময় বিকিকিনির ওয়েবসাইটে অর্ডার দিয়ে আসছে সস্তার সব জিনিসপত্র। তাতে রয়েছে মাস্ক কিংবা হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারও। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন মেনে তৈরি হয়েছে কি না তার কোনও উল্লেখ নেই । আর এই সবকিছু থেকে বাঁচার জন্য লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের পরামর্শ দিচ্ছে, বুঝে শুনে যে কোন লিঙ্কে ক্লিক করার। এ প্রসঙ্গে গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা বলেন, “ প্রথমে দেখতে হবে সেটি কী ধরনের লিঙ্ক। তবে অপরিচিত যে কোন লিঙ্ক এড়িয়ে চলা উচিত। প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিন।"