কলকাতা, 19 জুলাই: 21 জুলাই'র সমাবেশে যোগ দিতে 48 ঘন্টা আগেই ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় এলেন 'শহিদ' বন্দন দাসের মা ধাত্রী দেবী । 1993 সালে এরকমই এক 21 জুলাই যুব কংগ্রেসের ডাকে মহাকরণ অভিযান হয়েছিল । সেই অভিযানে উত্তর কলকাতার হাতিবাগান এলাকা থেকে অতীন ঘোষের নেতৃত্বে যুব কংগ্রেস কর্মীরা যোগ দিয়েছিলেন ৷ তাঁদের মধ্যে একজন হলেন বন্দন দাস । বয়স ছিল 22 বছর ।
সেদিন তরতাজা বন্দন মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল পুলিশের গুলিতে । সহকর্মীরা প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন । মহাকরণ অভিযানে শহিদদের পরবর্তী সময় পাশে থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শহিদ পরিবারদের আর্থিক সহায়তা করেছেন তিনি । পরে তৃণমূল কংগ্রেস গঠিত হয় । প্রতি বছর এই দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন প্রয়াত বন্দন দাসের ছোট ভাই অনুপ রবিদাসকে রেলে চাকরি করে দেন । প্রতিবছরের মতো এবছরও 21 জুলাইয়ের সমাবেশে দার্জিলিং থেকে দক্ষিণ 24 পরগনার তৃণমূল কর্মীরা সকলেই এসে মিশবে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় । আর হাজার হাজার কর্মীদের মতো সেই সমাবেশ মঞ্চে হাজির থাকেন শহিদ পরিবাররা । তাই এবারেও 21-র সমাবেশে হাজির থাকতে কলকাতায় ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছন বন্দন দাসের মা ধাত্রী দেবী ।
তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, কথা বলার অবস্থায় নেই । তবে ছেলের মর্মান্তিক স্মৃতি আজও তাঁর কাছে বেদনাদায়ক । ছেলের সেই স্মৃতিকে আকড়ে ধরতেই প্রতি বছর এই বয়সেও এত পথ পেড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকে কলকাতায় আসেন তিনি (Martyr Bandhan mother comes to Kolkata from Jharkhand to attend 21st rally) ।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের শহিদ দিবসে 21 ঘণ্টা শহরে যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ
21 জুলাই'র ঘটনা চাক্ষুস করেছিলেন এবং বন্ধুর মৃত্যু চোখের সামনে দেখেছিলেন উত্তম রাম ৷ তাঁর ঘরে বসেই সেই বেদনার কথা জানালেন তিনি । উত্তম বলেন, "সেদিন ওঁর প্রাণ বাঁচাতে ছুটোছুটি করার সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ভুলব না । আর মাত্র 48 ঘন্টা বাকি ৷ তারপরে স্বপরিবারে 21-র সমাবেশে হাজির থাকবে প্রয়াত বন্দনের পরিবার ।"