কলকাতা, 8 জুলাই : নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ । আগেই যুক্ত করা হয়েছিল দু'টি জামিন অযোগ্য ধারা । এবার যোগ করা হল 307 নম্বর ধারা, অর্থাৎ খুনের চেষ্টার অভিযোগ । ফলে চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্তদের জামিনের পর যে প্রশ্ন উঠেছিল, তাতে অনেকটাই প্রলেপ পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে ।
পুলিশ সূত্রে খবর, NRS -এর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে PDPP আইনের 4 নম্বর ধারা (হাসপাতাল-চিকিৎসকদের উপর হামলায় জামিন অযোগ্য ধারা) ও IPC র 333 নম্বর ধারা (সরকারি কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধর)-এই দু'টি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল আগেই । আদালতে আবেদন করে এই দু'টি ধারা যোগ করা হয় । যাতে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সাজা পর্যন্ত হতে পারে । এরপর ফের খুনের চেষ্টার ধারা 307 যোগ করার জন্য আবেদন করা হয় । আজ সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে । যদিও 1 জুলাই পাঁচ অভিযুক্তকেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত ।
গত মাসে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল । একদিকে জুনিয়র ডাক্তার, অন্যদিকে মৃতের পরিবার । মাঝে পুলিশ । খণ্ডযুদ্ধের মাঝে গুরুতর জখম হন পরিবহ মুখার্জি নামে এক জুনিয়র ডাক্তার । রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে । পরে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর । সেখানে চিকিৎসকরা জানান, প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরে তাঁর করোটির সামনের একটা অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে ।
ঘটনার জেরে আদিল হারুন আদিল, শেখ আনোয়ার, শেখ ইমতিয়াজ, শেখ বাদল, মহম্মদ শাহনওয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয় । কিন্তু 1 জুলাই ব্যক্তিগত 2000 টাকার বন্ডে পাঁচ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে শিয়ালদা আদালত । সরকারি তরফের আইনজীবী অভিযুক্তদের জেল হেপাজতের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেনি ।