ETV Bharat / city

NRS-এ জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ - Murder

NRS মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করল পুলিশ ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 8, 2019, 7:24 PM IST

কলকাতা, 8 জুলাই : নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ । আগেই যুক্ত করা হয়েছিল দু'টি জামিন অযোগ্য ধারা । এবার যোগ করা হল 307 নম্বর ধারা, অর্থাৎ খুনের চেষ্টার অভিযোগ । ফলে চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্তদের জামিনের পর যে প্রশ্ন উঠেছিল, তাতে অনেকটাই প্রলেপ পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, NRS -এর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে PDPP আইনের 4 নম্বর ধারা (হাসপাতাল-চিকিৎসকদের উপর হামলায় জামিন অযোগ্য ধারা) ও IPC র 333 নম্বর ধারা (সরকারি কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধর)-এই দু'টি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল আগেই । আদালতে আবেদন করে এই দু'টি ধারা যোগ করা হয় । যাতে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সাজা পর্যন্ত হতে পারে । এরপর ফের খুনের চেষ্টার ধারা 307 যোগ করার জন্য আবেদন করা হয় । আজ সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে । যদিও 1 জুলাই পাঁচ অভিযুক্তকেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত ।

গত মাসে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল । একদিকে জুনিয়র ডাক্তার, অন্যদিকে মৃতের পরিবার । মাঝে পুলিশ । খণ্ডযুদ্ধের মাঝে গুরুতর জখম হন পরিবহ মুখার্জি নামে এক জুনিয়র ডাক্তার । রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে । পরে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর । সেখানে চিকিৎসকরা জানান, প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরে তাঁর করোটির সামনের একটা অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে ।

ঘটনার জেরে আদিল হারুন আদিল, শেখ আনোয়ার, শেখ ইমতিয়াজ, শেখ বাদল, মহম্মদ শাহনওয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয় । কিন্তু 1 জুলাই ব্যক্তিগত 2000 টাকার বন্ডে পাঁচ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে শিয়ালদা আদালত । সরকারি তরফের আইনজীবী অভিযুক্তদের জেল হেপাজতের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেনি ।

কলকাতা, 8 জুলাই : নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ । আগেই যুক্ত করা হয়েছিল দু'টি জামিন অযোগ্য ধারা । এবার যোগ করা হল 307 নম্বর ধারা, অর্থাৎ খুনের চেষ্টার অভিযোগ । ফলে চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্তদের জামিনের পর যে প্রশ্ন উঠেছিল, তাতে অনেকটাই প্রলেপ পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে ।

পুলিশ সূত্রে খবর, NRS -এর ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে PDPP আইনের 4 নম্বর ধারা (হাসপাতাল-চিকিৎসকদের উপর হামলায় জামিন অযোগ্য ধারা) ও IPC র 333 নম্বর ধারা (সরকারি কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধর)-এই দু'টি ধারা যুক্ত করা হয়েছিল আগেই । আদালতে আবেদন করে এই দু'টি ধারা যোগ করা হয় । যাতে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সাজা পর্যন্ত হতে পারে । এরপর ফের খুনের চেষ্টার ধারা 307 যোগ করার জন্য আবেদন করা হয় । আজ সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে । যদিও 1 জুলাই পাঁচ অভিযুক্তকেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত ।

গত মাসে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল । একদিকে জুনিয়র ডাক্তার, অন্যদিকে মৃতের পরিবার । মাঝে পুলিশ । খণ্ডযুদ্ধের মাঝে গুরুতর জখম হন পরিবহ মুখার্জি নামে এক জুনিয়র ডাক্তার । রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে । পরে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর । সেখানে চিকিৎসকরা জানান, প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরে তাঁর করোটির সামনের একটা অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে ।

ঘটনার জেরে আদিল হারুন আদিল, শেখ আনোয়ার, শেখ ইমতিয়াজ, শেখ বাদল, মহম্মদ শাহনওয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয় । কিন্তু 1 জুলাই ব্যক্তিগত 2000 টাকার বন্ডে পাঁচ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে শিয়ালদা আদালত । সরকারি তরফের আইনজীবী অভিযুক্তদের জেল হেপাজতের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেনি ।

Intro:কলকাতা, ৮ জুলাই: নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা পুলিশ। আগেই যুক্ত করা হয় দুটি নতুন জামিন অযোগ্য ধারা। এবার যোগ করা হল খুনের চেষ্টার অভিযোগ। ফলে চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্তদের জামিনের পর যে প্রশ্ন উঠেছিল, তাতে অনেকটাই প্রলেপ পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।
Body:পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে PDPP অ্যাক্টের ৪ নম্বর ধারা (হাসপাতাল-চিকিৎসকদের উপর হামলায় জামিন অযোগ্য ধারা) ও IPC র ৩৩৩ ধারা (সরকারি কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় মারধর)-এই দুইটি ধারা যুক্ত করা হয় আগেই। আদালতে আবেদন করে ওই দুই ধারা যোগ করা হয়। এই দুই ধারায় দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের যাবজ্জীবন সাজা পর্যন্ত হতে পারে। পরে ফের খুনের চেষ্টার ধারা ৩০৭ যোগ করার জন্য আবেদন করা হয়। সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও ১ জুলাই পাঁচ অভিযুক্তকেই অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে আদালত।Conclusion:গতমাসে চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। একদিকে জুনিয়র ডাক্তার, অন্যদিকে মৃতের পরিবার। মাঝে পুলিশ। সেই খন্ডযুদ্ধের মাঝে গুরুতর জখম হন পরিবহ মুখার্জি। রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে। পরে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরে করোটির সামনের একটা অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে। ঘটনার জেরে আদিল হারুন আদিল, শেখ আনোয়ার, শেখ ইমতিয়াজ, শেখ বাদল, মহম্মদ শাহনওয়াজকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু ১ জুলাই ব্যক্তিগত ২০০০ টাকার বন্ডে ৫ অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে শিয়ালদহ আদালত। সরকারি তরফের আইনজীবী অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেনি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.