ETV Bharat / city

রেস্তরাঁ ওয়েটারদের হাতে ATM স্কিমার! অজান্তেই তথ্য-চুরি - কলকাতায় ATM প্রতারণা

ATM প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত কলকাতা শহরের বেশ কিছু বড় রেস্তরাঁর কর্মীরা । ATM প্রতারকদের কাছ থেকে মোটা টাকার কমিশনের বিনিময়ে তারা ক্রেতার বিশ্বাসের সুযোগ নিচ্ছে ।ক্রেতা-কতৃপক্ষের অজান্তেই গ্রাহকের ATM কার্ডের তথ্য রেস্তোরাঁ থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে । এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশ ।

ATM schemer in the hands of restaurant waiters
রেস্তোরাঁর ওয়েটারদের হাতে ATM স্কিমার যন্ত্র
author img

By

Published : Jan 18, 2020, 9:14 AM IST

কলকাতা, 18 জানুয়ারি: কলকাতা শহরের বেশ কিছু বড় রেস্তরাঁর কর্মীদের ATM প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার যোগসূত্র পেল পুলিশ । ক্রেতা-কর্তৃপক্ষের অজান্তেই রেস্তরাঁ থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে গ্রাহকের ATM কার্ডের তথ্য । রেস্তরাঁর ওয়েটারদের হাতেই ঘুরছে স্কিমার যন্ত্র । অভিযোগ, কর্মীদের অনেকেই হাত মিলিয়েছে ATM প্রতারকদের সঙ্গে ।

ATM প্রতারকদের কাছ থেকে মোটা টাকার কমিশনের বিনিময়ে তারা ক্রেতার বিশ্বাসের সুযোগ নিচ্ছে । ইতিমধ্যেই বাইপাসের ধারে একটি বিরিয়ানির রেস্তরাঁসহ একগুচ্ছ নামী রেস্তরাঁর নাম পেয়েছে পুলিশ ৷ এসব রেস্তরাঁ থেকে পাচার হচ্ছে ATM কার্ডের তথ্য ।

বিল মেটানোর জন্য অনেক জায়গাতেই কর্মীদের হাতে ATM কার্ড তুলে দেন ক্রেতারা । কেউ কেউ পিনও বলেন বিশ্বাস করে ৷ খাবার টেবিল থেকে বিল মেটানোর কাউন্টারের যাওয়ার মধ্যেই হাতের কারসাজিতে অত্যন্ত ছোট স্কিমিং ডিভাইস ATM কার্ড সোয়াইপ করছে কোনও কোনও ওয়েটার, অভিযোগ এমনই ৷ তাতে ATM কার্ডের সমস্ত তথ্য চলে যাচ্ছে ওই স্কিমিং মেশিনে । আর মাঝের কোনও সময় পিন নম্বর লিখে রাখছে কাগজে । তারপর তা তুলে দিচ্ছে গয়া গ‍্যাংয়ের হাতে ।

ওয়েটারদের হাতে ATM স্কিমার যন্ত্র ?

গয়ার মুদাসার খান এবং ইরফানউদ্দিনকে জেরা করে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তারা গত 8 মাস ধরে এই কাজ করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশকে । তবে শুধু কলকাতা নয়, তারা হাত মিলিয়েছে হায়দরাবাদ, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মত শহরের বেশ কিছু রেস্তরাঁর ওয়েটারদের সঙ্গেও । সেখান থেকে তথ্য নিয়ে কলকাতায় ফিরে তারা তুলে নিয়েছে টাকা । আবার কলকাতায় যেসব কার্ড স্কিমিং করা হয়েছে সেই টাকা তোলা হয়েছে বিহার কিংবা অন্য কোন জায়গা থেকে। কাল রাতের দার্জিলিং মেলে তারা যাচ্ছিল উত্তর-পূর্বের মেঘালয়। শিলংয়ের কোনও ATM থেকে টাকা তোলার পরিকল্পনা ছিল তাদের । পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই এই ব্যবস্থা ।

এই বিষয়ে প্রথমে পুলিশ চারটি অভিযোগ পায় । শুরু হয় তদন্ত ৷ এরপর ধৃতদের ল্যাপটপ থেকে 300 টি ATM- এর তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে 38 টি ক্লোন করা ATM কার্ড, স্কিমার, ল্যাপটপ এবং রাইটার যন্ত্র। ধৃতরা দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ ৷ গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ইউটিউব দেখেই এই পদ্ধতি রপ্ত করে তারা ৷ নামী সংস্থা থেকে অর্ডার দিয়ে বানায় dx3 স্কিমার যন্ত্র । এর দাম পড়েছে 6000 টাকা ৷

কলকাতা পুলিশের পরামর্শ, সম্প্রতি যারা ওয়েটারদের হাতে ATM কার্ড দিয়ে পিন নম্বর বলেছেন, তাঁরা অবিলম্বে পিন বদলান ৷ প্রতারকদের নতুন ফন্দি রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে কলকাতা পুলিশকে। কলকাতা শহরের কোন কোন রেস্তরাঁর কর্মীরা কমিশনের বিনিময়ে এই প্রতারক দলের সঙ্গে কাজ করছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷

কলকাতা, 18 জানুয়ারি: কলকাতা শহরের বেশ কিছু বড় রেস্তরাঁর কর্মীদের ATM প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার যোগসূত্র পেল পুলিশ । ক্রেতা-কর্তৃপক্ষের অজান্তেই রেস্তরাঁ থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছে গ্রাহকের ATM কার্ডের তথ্য । রেস্তরাঁর ওয়েটারদের হাতেই ঘুরছে স্কিমার যন্ত্র । অভিযোগ, কর্মীদের অনেকেই হাত মিলিয়েছে ATM প্রতারকদের সঙ্গে ।

ATM প্রতারকদের কাছ থেকে মোটা টাকার কমিশনের বিনিময়ে তারা ক্রেতার বিশ্বাসের সুযোগ নিচ্ছে । ইতিমধ্যেই বাইপাসের ধারে একটি বিরিয়ানির রেস্তরাঁসহ একগুচ্ছ নামী রেস্তরাঁর নাম পেয়েছে পুলিশ ৷ এসব রেস্তরাঁ থেকে পাচার হচ্ছে ATM কার্ডের তথ্য ।

বিল মেটানোর জন্য অনেক জায়গাতেই কর্মীদের হাতে ATM কার্ড তুলে দেন ক্রেতারা । কেউ কেউ পিনও বলেন বিশ্বাস করে ৷ খাবার টেবিল থেকে বিল মেটানোর কাউন্টারের যাওয়ার মধ্যেই হাতের কারসাজিতে অত্যন্ত ছোট স্কিমিং ডিভাইস ATM কার্ড সোয়াইপ করছে কোনও কোনও ওয়েটার, অভিযোগ এমনই ৷ তাতে ATM কার্ডের সমস্ত তথ্য চলে যাচ্ছে ওই স্কিমিং মেশিনে । আর মাঝের কোনও সময় পিন নম্বর লিখে রাখছে কাগজে । তারপর তা তুলে দিচ্ছে গয়া গ‍্যাংয়ের হাতে ।

ওয়েটারদের হাতে ATM স্কিমার যন্ত্র ?

গয়ার মুদাসার খান এবং ইরফানউদ্দিনকে জেরা করে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তারা গত 8 মাস ধরে এই কাজ করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশকে । তবে শুধু কলকাতা নয়, তারা হাত মিলিয়েছে হায়দরাবাদ, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মত শহরের বেশ কিছু রেস্তরাঁর ওয়েটারদের সঙ্গেও । সেখান থেকে তথ্য নিয়ে কলকাতায় ফিরে তারা তুলে নিয়েছে টাকা । আবার কলকাতায় যেসব কার্ড স্কিমিং করা হয়েছে সেই টাকা তোলা হয়েছে বিহার কিংবা অন্য কোন জায়গা থেকে। কাল রাতের দার্জিলিং মেলে তারা যাচ্ছিল উত্তর-পূর্বের মেঘালয়। শিলংয়ের কোনও ATM থেকে টাকা তোলার পরিকল্পনা ছিল তাদের । পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই এই ব্যবস্থা ।

এই বিষয়ে প্রথমে পুলিশ চারটি অভিযোগ পায় । শুরু হয় তদন্ত ৷ এরপর ধৃতদের ল্যাপটপ থেকে 300 টি ATM- এর তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে 38 টি ক্লোন করা ATM কার্ড, স্কিমার, ল্যাপটপ এবং রাইটার যন্ত্র। ধৃতরা দশম শ্রেণি উত্তীর্ণ ৷ গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ইউটিউব দেখেই এই পদ্ধতি রপ্ত করে তারা ৷ নামী সংস্থা থেকে অর্ডার দিয়ে বানায় dx3 স্কিমার যন্ত্র । এর দাম পড়েছে 6000 টাকা ৷

কলকাতা পুলিশের পরামর্শ, সম্প্রতি যারা ওয়েটারদের হাতে ATM কার্ড দিয়ে পিন নম্বর বলেছেন, তাঁরা অবিলম্বে পিন বদলান ৷ প্রতারকদের নতুন ফন্দি রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে কলকাতা পুলিশকে। কলকাতা শহরের কোন কোন রেস্তরাঁর কর্মীরা কমিশনের বিনিময়ে এই প্রতারক দলের সঙ্গে কাজ করছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷

Intro:কলকাতা, 17 জানুয়ারি: কলকাতা শহরের বেশ কিছু বড় রেস্তোরাঁ। ক্রেতা-কতৃপক্ষের অজান্তেই সেখানে চুরি হয়ে যাচ্ছে গ্রাহকের এটিএম কার্ডের তথ্য। রেস্তোরাঁর ওয়েটারদের হাতেই যে ঘুরছে স্কিমার যন্ত্র। এইসব ওয়েটাররা হাত মিলিয়েছে এটিএম প্রতারকদের সঙ্গে। কমিশনের বিনিময়ে তারা ক্রেতার বিশ্বাসের সুযোগ নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বাইপাসের ধারে নামি বিরিয়ানি জয়েন্ট সহ একগুচ্ছ নামী রেস্তোরাঁর নাম পেয়েছে পুলিশ। যেখান থেকে পাচার হচ্ছে এটিএম কার্ডের তথ্য।



Body:রেস্টুরেন্টে বিল মেটানোর জন্য অনেক জায়গাতেই ওয়েটারদের হাতে এটিএম কার্ড তুলে দেন ক্রেতারা। সঙ্গে বলে দেন পিন। খাবার টেবিল থেকে বিল মেটানোর কাউন্টারের যাওয়ার মধ্যেই হাতের কাজসাজিতে অত্যন্ত ছোট dx3 স্কিমিং ডিভাইস এটিএম কার্ড সোয়াইপ করে দিচ্ছে ওয়েটাররা। তাতে এটিএম কার্ডের সমস্ত তথ্য চলে যাচ্ছে ওই স্কিমিং মেশিনে। আর মাঝের কোনো সময় পিন নম্বর লিখে রাখছে কাগজে। তারপর তা তুলে দিচ্ছে গয়া গ‍্যাংয়ের হাতে। গয়ার মুদাসার খান এবং ইরফানউদ্দিনকে জেরা করে এমনই বিস্ফোরক তথ্য পেয়েছে কলকাতা পুলিশ। তারা গত 8 মাস ধরে এই কাজ করছিল বলে জানিয়েছে পুলিশকে। তবে শুধু কলকাতা নয়, তারা হাত মিলিয়েছে হায়দরাবাদ, মুম্বই, বেঙ্গালুরুর মত শহরের বেশ কিছু রেস্তোরাঁর ওয়েটারদের সঙ্গে। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে কলকাতায় ফিরে তারা তুলে নিয়েছে টাকা। আবার কলকাতায় যেসব কার্ড স্কিমিং করা হয়েছে সেই টাকা তোলা হয়েছে বিহার কিংবা অন্য কোন জায়গা থেকে। কাল রাতের দার্জিলিং মেলে তারা যাচ্ছিল উত্তর-পূর্বের মেঘালয়। শিলংয়ের কোনো এটিএম থেকে টাকা তোলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পুলিশের চোখে ধুলো দিতেই এই ব্যবস্থা।


Conclusion:কলকাতা পুলিশ চারটি অভিযোগ পায়। তারপরেই তদন্তে নামে আন্টি ব্যাংকফ্রড শাখা। আর তাতেই এসেছে সাফল্য। ধৃতদের ল্যাপটপ থেকে 300 টি এটিএম এর তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে 38 টি ক্লোন করা এটিএম কার্ড, স্কিমার, ল্যাপটপ এবং রাইটার যন্ত্র। তাদের দুজনের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি নয়। দুজনেই ক্লাস টেন পাশ। কিন্তু তারপরেও তারা এই বিদ্যা শিখলো কোথা থেকে? গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, ইউটিউবে দেখেই তারা এই পদ্ধতি রপ্ত করে ফেলেছে। আর alibaba.com থেকে অর্ডার দিয়ে বানিয়েছে dx3 স্কিমার যন্ত্র। যার দাম পড়েছে 6000 টাকা। কলকাতা পুলিশের পরামর্শ, সম্প্রতি যারা ওয়েটারদের হাতে এটিএম কার্ড দিয়ে পিন নম্বর বলে দিয়েছিলেন তারা অবিলম্বে চেঞ্জ করে নিন এটিএম এর পিন। কিন্তু প্রতারকদের নতুন ফন্দি রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে কলকাতা পুলিশকে। কলকাতা শহরের কোন কোন রেস্তোরাঁর ওয়েটার কমিশনের বিনিময়ে এই প্রতারক দলের সঙ্গে কাজ করছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের ধরপাকড় করা হবে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.