ETV Bharat / city

অগ্নিদগ্ধ ASI ও তাঁর স্ত্রীর মৃত্যু

অগ্নিদগ্ধ হয়ে আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের ASI ও তাঁর স্ত্রী-র ।

ASI and wife died
আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু অগ্নিদগ্ধ দম্পতির
author img

By

Published : Dec 10, 2019, 11:48 PM IST

Updated : Dec 11, 2019, 2:05 AM IST

মধ্যমগ্রাম, 10 ডিসেম্বর : আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের ASI মধুসূদন দত্ত ও তাঁর স্ত্রী শান্তি দত্তের । মঙ্গলবার ভোররাতে মৃত্যু হয় শান্তি দত্তের । সন্ধ্যায় মারা যান মধুসূদনবাবু । হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুনে শরীরের বেশির ভাগ অংশই ঝলসে যায় তাঁদের । মাল্টি-অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয়েছে শান্তিদেবীর ।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে সোমবার রাতেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের ASI-র স্ত্রী শান্তি দত্ত (42) । স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন 58 বছর বয়সি মধুসূদনবাবুও । আজ কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁদের ।

আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু অগ্নিদগ্ধ দম্পতির

মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 19 নম্বর ওয়ার্ডে দেশবন্ধু রোডে ASI মধুসূদন দত্তের বাড়ি ৷ মুচিপাড়া থানায় তাঁর পোস্টিং ৷ গতরাতে স্ত্রী শান্তি দত্তের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন ৷ ছেলে কাজের সূত্রে বাইরে ছিলেন ৷ সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়িতে আগুন লাগে বলে জানান স্থানীয়রা ৷ বাড়ির প্রধান দরজায় তালা থাকায় বাইরে বের হতে পারেননি মধুসূদন ও তাঁর স্ত্রী ৷ ঘরের মধ্যেই ছোটাছুটি করতে থাকেন দু'জনে ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তাঁরা ৷ দমকল কর্মীরাই তালা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করেন । অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই দম্পতিকে ভরতি করা হয় কলকাতা আর জি কর হাসপাতালে ।

আগুন লাগার কারণ প্রথমে জানা না গেলেও পরে অবশ্য উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । জানা গেছে, মধুসূদনবাবুর প্রথম স্ত্রী স্ট্রোকে মারা যান । শান্তিদেবী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী । এক ছেলে রয়েছে তাঁদের । সোমবার রাতেও দম্পতির মধ্যে একপ্রস্ত অশান্তি হয় । অভিযোগ, এরপরই কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন শান্তিদেবী । তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন মধুসূদনবাবুও । যদিও ছেলে ও বউমার মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না বলে দাবি করেছেন ওই পুলিশ অফিসারের বৃদ্ধা মা । তিনি বলেন, "বউমাকে খুব ভালোবাসত ছেলে । সোমবার নাইট ডিউটি ছিল মধুসূদনের । ডিউটি যাওয়ার জন্য তৈরিও হয় সে । তারপরই এই ঘটনা । কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছি না ।" অন্যদিকে, মা-বাবার মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল কি না, জিজ্ঞাসা করতে বিষয়টি এড়িয়ে যান দম্পতির ছেলে ।

মধ্যমগ্রাম, 10 ডিসেম্বর : আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের ASI মধুসূদন দত্ত ও তাঁর স্ত্রী শান্তি দত্তের । মঙ্গলবার ভোররাতে মৃত্যু হয় শান্তি দত্তের । সন্ধ্যায় মারা যান মধুসূদনবাবু । হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুনে শরীরের বেশির ভাগ অংশই ঝলসে যায় তাঁদের । মাল্টি-অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয়েছে শান্তিদেবীর ।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে সোমবার রাতেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের ASI-র স্ত্রী শান্তি দত্ত (42) । স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন 58 বছর বয়সি মধুসূদনবাবুও । আজ কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁদের ।

আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু অগ্নিদগ্ধ দম্পতির

মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 19 নম্বর ওয়ার্ডে দেশবন্ধু রোডে ASI মধুসূদন দত্তের বাড়ি ৷ মুচিপাড়া থানায় তাঁর পোস্টিং ৷ গতরাতে স্ত্রী শান্তি দত্তের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন ৷ ছেলে কাজের সূত্রে বাইরে ছিলেন ৷ সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়িতে আগুন লাগে বলে জানান স্থানীয়রা ৷ বাড়ির প্রধান দরজায় তালা থাকায় বাইরে বের হতে পারেননি মধুসূদন ও তাঁর স্ত্রী ৷ ঘরের মধ্যেই ছোটাছুটি করতে থাকেন দু'জনে ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তাঁরা ৷ দমকল কর্মীরাই তালা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করেন । অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই দম্পতিকে ভরতি করা হয় কলকাতা আর জি কর হাসপাতালে ।

আগুন লাগার কারণ প্রথমে জানা না গেলেও পরে অবশ্য উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । জানা গেছে, মধুসূদনবাবুর প্রথম স্ত্রী স্ট্রোকে মারা যান । শান্তিদেবী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী । এক ছেলে রয়েছে তাঁদের । সোমবার রাতেও দম্পতির মধ্যে একপ্রস্ত অশান্তি হয় । অভিযোগ, এরপরই কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন শান্তিদেবী । তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন মধুসূদনবাবুও । যদিও ছেলে ও বউমার মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না বলে দাবি করেছেন ওই পুলিশ অফিসারের বৃদ্ধা মা । তিনি বলেন, "বউমাকে খুব ভালোবাসত ছেলে । সোমবার নাইট ডিউটি ছিল মধুসূদনের । ডিউটি যাওয়ার জন্য তৈরিও হয় সে । তারপরই এই ঘটনা । কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছি না ।" অন্যদিকে, মা-বাবার মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল কি না, জিজ্ঞাসা করতে বিষয়টি এড়িয়ে যান দম্পতির ছেলে ।

Intro:অবশেষে আরজিকর হাসপাতালে মৃত্যু হল আগুনে গুরুতর জখম কলকাতা পুলিশের এএসআই মধুসূদন দত্তের স্ত্রী শান্তি দত্তের। মঙ্গলবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তার।স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হওয়া মধুসূদন বাবুও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এই হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুনে শরীরের বেশির ভাগ অংশই ঝলসে যায় ওই পুলিশ কর্তার স্ত্রীর। মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়েই মৃত্যু হয়েছে শান্তি দেবীর।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসতঃ- অগ্নিদগ্ধ হয়ে সোমবার রাতেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের এএসআই- এর স্ত্রী শান্তি দত্ত(৪২)।শেষে মঙ্গলবার ভোররাতে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালেই মৃত্যু হল তার।এই হাসপাতালে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এএসআই মধুসূদন দত্ত(৫৮)-ও। হাসপাতাল সূত্রে খবর,আগুনে শরীরের বেশির ভাগ অংশই ঝলসে যায় ওই পুলিশ কর্তার স্ত্রীর।তাকে বাঁচাতে গিয়েই অগ্নিদগ্ধ হন মধুসূদন বাবু।এদিকে,এই ঘটনায় মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 19 নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু রোডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।সান্ত্বনা জানাতে সকাল থেকেই প্রতিবেশীদের ভিড় এখানে।দেশবন্ধু রোডেই বাড়ি মুচিপাড়া থানায় কর্মরত এএসআই মধুসূদন দত্তের।সোমবার রাতে আগুন লেগে বাড়ির ভিতরে অগ্নিদগ্ধ হন তিনি ও তার স্ত্রী।বাড়ির মূল গেটে তালা লাগানো থাকায় বাইরে বেরোতে পারেননি তারা।ফলে আগুনে গুরুতর জখম হন দুজনেই। দমকল কর্মীরাই তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই দম্পতিকে ভর্তি করা হয় কলকাতা আরজিকর হাসপাতালে।সেখানেই মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয় এএসআই- এর স্ত্রীর।আগুন লাগার কারন প্রথমে জানা গেলেও পরে এ নিয়ে অবশ্য উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।জানা গেছে,মধুসূদন বাবুর প্রথম স্ত্রী স্ট্রোকে মারা যান।শান্তি দেবী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।তাদের একটি ছেলে রয়েছে।এএসআই মধুসূদন দত্ত সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত। সোমবার রাতেও দম্পতির মধ্যে একপ্রস্থ অশান্তি হয়।অভিযোগ,এরপরই কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন শান্তি দেবী।তাকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন মধুসূদন বাবুও।যদিও ছেলে ও বৌমার মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না বলে দাবি করেছেন ওই পুলিশ কর্তার বৃদ্ধ মা সুশোময় দত্ত। তিনি বলেন," বৌমাকে খুব ভালোবাসত ছেলে। সোমবার নাইট ডিউটি ছিল মধুসূদনের।ডিউটি যাওয়ার জন্য রেডিও হচ্ছিল।তারপরই এই ঘটনা। কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছিনা"।অন্যদিকে,মা ও বাবার সঙ্গে কোনও অশান্তি ছিল কিনা,জিজ্ঞাসা করতেই সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে যান দম্পতির ছেলে।Conclusion:মা ও বাবার মধ্যে কোনো অশান্তি ছিল কিনা, থাকলে কি বিষয় ছিল, জিজ্ঞাসা করতেই সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে যান দম্পতির ছেলে।
Last Updated : Dec 11, 2019, 2:05 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.