মধ্যমগ্রাম, 10 ডিসেম্বর : আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের ASI মধুসূদন দত্ত ও তাঁর স্ত্রী শান্তি দত্তের । মঙ্গলবার ভোররাতে মৃত্যু হয় শান্তি দত্তের । সন্ধ্যায় মারা যান মধুসূদনবাবু । হাসপাতাল সূত্রে খবর, আগুনে শরীরের বেশির ভাগ অংশই ঝলসে যায় তাঁদের । মাল্টি-অর্গান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু হয়েছে শান্তিদেবীর ।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে সোমবার রাতেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের ASI-র স্ত্রী শান্তি দত্ত (42) । স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন 58 বছর বয়সি মধুসূদনবাবুও । আজ কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হল তাঁদের ।
মধ্যমগ্রাম পৌরসভার 19 নম্বর ওয়ার্ডে দেশবন্ধু রোডে ASI মধুসূদন দত্তের বাড়ি ৷ মুচিপাড়া থানায় তাঁর পোস্টিং ৷ গতরাতে স্ত্রী শান্তি দত্তের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন ৷ ছেলে কাজের সূত্রে বাইরে ছিলেন ৷ সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়িতে আগুন লাগে বলে জানান স্থানীয়রা ৷ বাড়ির প্রধান দরজায় তালা থাকায় বাইরে বের হতে পারেননি মধুসূদন ও তাঁর স্ত্রী ৷ ঘরের মধ্যেই ছোটাছুটি করতে থাকেন দু'জনে ৷ ঘটনায় গুরুতর আহত হন তাঁরা ৷ দমকল কর্মীরাই তালা ভেঙে তাঁদের উদ্ধার করেন । অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওই দম্পতিকে ভরতি করা হয় কলকাতা আর জি কর হাসপাতালে ।
আগুন লাগার কারণ প্রথমে জানা না গেলেও পরে অবশ্য উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । জানা গেছে, মধুসূদনবাবুর প্রথম স্ত্রী স্ট্রোকে মারা যান । শান্তিদেবী তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী । এক ছেলে রয়েছে তাঁদের । সোমবার রাতেও দম্পতির মধ্যে একপ্রস্ত অশান্তি হয় । অভিযোগ, এরপরই কেরোসিন তেল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন শান্তিদেবী । তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন মধুসূদনবাবুও । যদিও ছেলে ও বউমার মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না বলে দাবি করেছেন ওই পুলিশ অফিসারের বৃদ্ধা মা । তিনি বলেন, "বউমাকে খুব ভালোবাসত ছেলে । সোমবার নাইট ডিউটি ছিল মধুসূদনের । ডিউটি যাওয়ার জন্য তৈরিও হয় সে । তারপরই এই ঘটনা । কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝে উঠতে পারছি না ।" অন্যদিকে, মা-বাবার মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল কি না, জিজ্ঞাসা করতে বিষয়টি এড়িয়ে যান দম্পতির ছেলে ।