ETV Bharat / city

Durga Puja 2022: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সীসামুক্ত রং ব্যবহারে অনীহা কুমারটুলির

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বার্তা সত্ত্বেও ভেষজ রং (Herbal Colour) ব্যবহারে অনীহা কলকাতার (Kolkata) কুমারটুলির (Kumartuli) মৃৎশিল্পীদের ৷ কেন এই পরিস্থিতি ? দুর্গাপুজোর আগে (Durga Puja 2022) ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন কুমারটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বাবু পাল ৷

artists of Kolkata Kumartuli unable to use Herbal Colour before Durga Puja 2022
Durga Puja 2022: মূল্যবৃদ্ধির বাজারে সীসামুক্ত রং ব্যবহারে অনীহা কুমারটুলির
author img

By

Published : Sep 14, 2022, 9:05 PM IST

কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কলকাতার (Kolkata) কুমারটুলির (Kumartuli) মৃৎশিল্পীরা সীসামুক্ত রং বা পরিবেশবান্ধব ভেষজ রং (Herbal Colour) ব্যবহার করতে চাইছেন না ! অভিযোগ, কুমারটুলির প্রায় 90 শতাংশ স্টুডিয়োতেই সীসাযুক্ত রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ একথা শিল্পীরাও অস্বীকার করছেন না ৷ কিন্তু, কেন এমনটা করছেন তাঁরা ? তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কুমারটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বাবু পাল ৷

কুমারটুলিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি ৷ দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) আগে এখন সেখানে ব্যস্ততা তুঙ্গে ৷ অধিকাংশ প্রতিমাতেই মাটির প্রলেপ পড়ার কাজ প্রায় শেষ ৷ চলছে মূর্তি রং করার পালা ৷ প্রায় সবক'টি স্টুডিয়োতেই ঘুরে দেখা গেল রাসায়নিক রং ব্যবহার করছেন শিল্পীরা ৷ অথচ, পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee), সকলেরই আবেদন, পরিবেশ বাঁচাতে ভেষজ রং ব্যবহার করুন মৃৎশিল্পীরা ৷

আরও পড়ুন: শিল্পী কৌশিক ঘোষের ফাইবারের কালী এবার শোভা পাবে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে

প্রথা মাফিক, পুজোর পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাটির প্রতিমা বিভিন্ন জলাশয় ও নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় ৷ ফলে প্রতিমার মাটির শরীর, রং সবই জলে মিশে যায় ৷ আর এখানেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা ৷ রাসায়নিক মিশ্রিত এইসব রং জলে গুলে যাওয়ায় দূষণ বাড়ে পুকুর, খাল, বিল, নদীতে ৷ সেই কারণেই প্রতিমা তৈরি করতে ভেষজ রং ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ এক্ষেত্রে উল্লেখ্য হল, 2018 সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড বা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের নিয়ে গঠিত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যস্থতায় একটি বেসরকারি রং প্রস্তুতকারী সংস্থা এখানকার শিল্পীদের ভেষজ রং সরবরাহ করেছিল ৷ কিন্তু, পরবর্তীকালে শিল্পীরা নিজেদের টাকা খরচ করে এই ধরনের পরিবেশবান্ধব রং কিনতে রাজি হচ্ছেন না ৷

সীসামুক্ত রং ব্যবহারে অনীহা কুমারটুলির

কুমারটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বাবু পাল এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা যে রং ব্যবহার করি, সেগুলির দাম 150 টাকা ৷ কিন্তু, সীসাবিহীন রঙের দাম 250 টাকা ৷ এদিকে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে মূর্তি তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে ৷ আমাদের পক্ষে তাই বাড়তি দাম দিয়ে সীসাবিহীন রং ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ সাধারণত, একটি প্রতিমা রং করতে 400 থেকে 500 টাকা খরচ হয় ৷ কিন্তু, সীসামুক্ত রং ব্যবহার করলে খরচ বেড়ে দেড় থেকে দু'হাজারে পৌঁছে যায় ৷ সেক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব রঙের খরচ পুজোর উদ্যোক্তা বা পুজো কমিটিগুলিকেই বহন করতে হবে ৷ আমাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয় ৷"

কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও কলকাতার (Kolkata) কুমারটুলির (Kumartuli) মৃৎশিল্পীরা সীসামুক্ত রং বা পরিবেশবান্ধব ভেষজ রং (Herbal Colour) ব্যবহার করতে চাইছেন না ! অভিযোগ, কুমারটুলির প্রায় 90 শতাংশ স্টুডিয়োতেই সীসাযুক্ত রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ একথা শিল্পীরাও অস্বীকার করছেন না ৷ কিন্তু, কেন এমনটা করছেন তাঁরা ? তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন কুমারটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বাবু পাল ৷

কুমারটুলিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি ৷ দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) আগে এখন সেখানে ব্যস্ততা তুঙ্গে ৷ অধিকাংশ প্রতিমাতেই মাটির প্রলেপ পড়ার কাজ প্রায় শেষ ৷ চলছে মূর্তি রং করার পালা ৷ প্রায় সবক'টি স্টুডিয়োতেই ঘুরে দেখা গেল রাসায়নিক রং ব্যবহার করছেন শিল্পীরা ৷ অথচ, পরিবেশবিদ থেকে শুরু করে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee), সকলেরই আবেদন, পরিবেশ বাঁচাতে ভেষজ রং ব্যবহার করুন মৃৎশিল্পীরা ৷

আরও পড়ুন: শিল্পী কৌশিক ঘোষের ফাইবারের কালী এবার শোভা পাবে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে

প্রথা মাফিক, পুজোর পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাটির প্রতিমা বিভিন্ন জলাশয় ও নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় ৷ ফলে প্রতিমার মাটির শরীর, রং সবই জলে মিশে যায় ৷ আর এখানেই তৈরি হয়েছে আশঙ্কা ৷ রাসায়নিক মিশ্রিত এইসব রং জলে গুলে যাওয়ায় দূষণ বাড়ে পুকুর, খাল, বিল, নদীতে ৷ সেই কারণেই প্রতিমা তৈরি করতে ভেষজ রং ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ এক্ষেত্রে উল্লেখ্য হল, 2018 সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড বা রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ও কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের নিয়ে গঠিত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যস্থতায় একটি বেসরকারি রং প্রস্তুতকারী সংস্থা এখানকার শিল্পীদের ভেষজ রং সরবরাহ করেছিল ৷ কিন্তু, পরবর্তীকালে শিল্পীরা নিজেদের টাকা খরচ করে এই ধরনের পরিবেশবান্ধব রং কিনতে রাজি হচ্ছেন না ৷

সীসামুক্ত রং ব্যবহারে অনীহা কুমারটুলির

কুমারটুলি মৃৎশিল্প সংস্কৃতি সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বাবু পাল এই প্রসঙ্গে বলেন, "আমরা যে রং ব্যবহার করি, সেগুলির দাম 150 টাকা ৷ কিন্তু, সীসাবিহীন রঙের দাম 250 টাকা ৷ এদিকে, মুদ্রাস্ফীতির কারণে মূর্তি তৈরির কাঁচামালের দাম বেড়েছে ৷ আমাদের পক্ষে তাই বাড়তি দাম দিয়ে সীসাবিহীন রং ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না ৷ সাধারণত, একটি প্রতিমা রং করতে 400 থেকে 500 টাকা খরচ হয় ৷ কিন্তু, সীসামুক্ত রং ব্যবহার করলে খরচ বেড়ে দেড় থেকে দু'হাজারে পৌঁছে যায় ৷ সেক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব রঙের খরচ পুজোর উদ্যোক্তা বা পুজো কমিটিগুলিকেই বহন করতে হবে ৷ আমাদের পক্ষে এটা সম্ভব নয় ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.