কলকাতা, 19 অগস্ট: খড়িবাড়ি থেকে আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার আব্দুর রাকিবের কাজ ছিল যুব সম্প্রদায়কে নিজেদের দলে টানা (Arrested Qaeda Militant Abdur Rakib) ৷ আব্দুর রাকিবকে জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা ৷ আল কায়দার ভাবধারায় অল্পবয়সী যুবকদের পরিচালতি করাই মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে গোয়েন্দাদের জানিয়েছে আব্দুর রাকিব ৷ প্রসঙ্গত, গত 17 অগস্ট রাতে উত্তর 24 পরগনার শাসনের খড়িবাড়ি থেকে আব্দুর রাকিব এবং কাজি এহসানকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(arrested two suspected terrorists having links with Al Qaeda) ৷
রাবিককে জেরায় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে, বিভিন্ন জায়গায় আস্তানা তৈরি করে সেখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে জেহাদি ভাবধারার প্রচার করা ৷ মূলত আল কায়দার আদর্শে জেহাদি বীজপবন করাই তার কাজ ছিল ৷ এর জন্য একটি এলাকায় আস্তানা তৈরি করে, পুরো এলাকাকে পর্যবেক্ষণ করা ৷ তার পর উগ্র মনোভাবাপন্ন যুবকদের একত্রিত করে, তাঁদের মধ্যে জেহাদি ও সন্ত্রাসবাদী ভাবধারায় প্রভাবিত করা ৷ রীতিমতো তাঁদের মগজ ধোলাই করা হতো সেখানে ৷
জেরায় আব্দুর রাকিব জানিয়েছে, সীমান্ত পার করিয়ে বেশ কিছু বাংলাদেশি যুবকে রাজ্যে ঢুকিয়েছে সে ৷ তারাও আল কায়দার ভাবধারায় প্রভাবিত ৷ মূলত বেকার যুবক-যুবতীদেরই টার্গেট করত আব্দুর রাকিব ৷ যাদের সীমান্ত পার করিয়ে বাংলায় ঢোকানো হয়েছে, ইতিমধ্যে তাদের খোঁজ শুরু করেছে রাজ্য পুলিশের টাস্ক ফোর্স ৷ এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং ভবানী ভবনের গোয়েন্দাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: জঙ্গি সন্দেহে ধৃতদের 14 দিনের হেফাজতে পেল এসটিএফ
ইতিমধ্যে ধৃত আব্দুর রাকিবকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দারা পেয়েছেন ৷ জানা গিয়েছে, রাকিবের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোন থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে ৷ বাংলা ও বাইরের রাজ্যে কোথায় কোথায় আলকায়দার এই সংগঠন গজিয়ে উঠেছে, তা জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ এর গোয়েন্দারা ৷