ETV Bharat / city

Political Reaction on Arpita Claim: অর্পিতার অজান্তেই তাঁর ফ্ল্যাটে টাকা ? বিস্ফোরক মন্তব্যে শুরু রাজনৈতিক তরজা

author img

By

Published : Aug 2, 2022, 1:29 PM IST

অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Political Reaction on Arpita Claim) অজান্তেই তাঁর ফ্ল্যাটে টাকা আসতো ! এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা স্বয়ং (BJP)৷ এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷

Arpita Mukherjee should say before court, says Kunal Ghosh;  BJP CPIM comment
অর্পিতার অজান্তেই তাঁর ফ্ল্যাটে টাকা ? বিস্ফোরক মন্তব্যে শুরু রাজনৈতিক তরজা

কলকাতা, 2 অগস্ট: আজ জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় মুখ খুলেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Political Reaction on Arpita Claim)। সরাসরি সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি । টালিগঞ্জ এবং বেলঘড়িয়া দুটি ফ্ল্যাট মিলে তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল প্রায় 50 কোটি টাকা । যদিও আজ অর্পিতা দাবি করেন যে, তাঁর অজান্তেই টাকা ঢোকানো হয়েছে ফ্ল্যাটে । অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এহেন দাবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে (BJP)। বিজেপি ও সিপিএম এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে (CPIM) কাঠগড়ায় তুলছে । অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আবার এই বক্তব্যকে বাড়তি আমল দিতে চাইছে না । তাদের বক্তব্য প্রথম অবস্থায় যখন এই নিয়ে মুখ খোলেননি পার্থ বা অর্পিতা, এখন তাঁরা যে অভিযোগই করুন তার সত্যাসত্যের বিচার করবে আদালত ।

মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আদালতে কী বলছেন তা নিয়ে আমরা আগ্রহী নই । তিনি দলের কেউ নন । তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে দল ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে । ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত পথ থেকে তাঁকে অপসারণ করেছেন । এই অবস্থায় তাঁরা রোজদিন কি অমৃতবাণী দেবেন, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব নয় । আজকে যা বলছেন, তা তিনি প্রথমদিন কেন বলেননি ? এ ধরনের বক্তব্যের কোনও যৌক্তিকতা নেই । অর্পিতা বলছেন তাঁর বাড়ি, সেখানে কে টাকা ঢুকিয়েছেন, এ সব নিয়ে কী বলব ! এই নিয়ে আলাদা করে রাজনৈতিক উত্তর দেওয়ার কোনও কারণ ঘটেনি । এ ক্ষেত্রে তাঁর যা বলার আদালতের কাছেই বলা উচিত । তিনি যদি প্রকৃতই নির্দোষ হন, তাহলে আদালত তাঁর বিচার করবে ।"

অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা বারে বারেই বলেছি এর সঙ্গে একটা বৃহত্তর দুর্নীতির যোগ রয়েছে । একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা একা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নন । এর সঙ্গে যুক্ত আরও রাঘব বোয়ালরাও । অর্পিতা দেবীর কথাতেই স্পষ্ট যে অন্যেরাও তাঁর ফ্ল্যাটে আসতেন । ইতিমধ্যেই ওই ফ্ল্যাটে আরও কয়েকজন নেতার যাওয়ার তথ্য-প্রমাণ সামনে এসেছে । এই অবস্থায় তাঁর উচিত তদন্তকারী সংস্থার সামনে সব পরিষ্কার করে বলা । এতে যাঁরা দোষী, তাঁরা যেমন শাস্তি পাবেন, একই ভাবে যে বিশাল সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী তাঁদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও ন্যায় বিধান করা হবে।"

আরও পড়ুন: এ টাকা আমার নয়, আমার অবর্তমানে ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছে; দাবি অর্পিতার

এ দিন বিজেপির বক্তব্যেরও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কুণাল ঘোষ । সংবাদমাধ্যমে তাঁর প্রতিক্রিয়া, "বিজেপি নেতাদের বলি, তাঁদের এই নিয়ে মুখ না খোলাই ভালো । তাঁদের নেতাদের বিরুদ্ধেও সরাসরি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । টিভির পর্দায় তাঁদের নেতাকে সরাসরি টাকা নিতে দেখা গিয়েছে । কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না ?"

এ দিকে, এ প্রসঙ্গে এ দিন সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও । তিনি বলেন, "এই টাকাটা আসলে লুঠের । অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলছেন টাকাটা আমার না । পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন আমার না । সকলেই বুঝতে পারছেন আসলে এটা লুঠের টাকা । এই লুঠের পরিধি এতটাই বিস্তৃত । বাড়িটা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের । কিন্তু তিনি জানেন না কারা টাকাটা রেখে যাচ্ছে । যেখানে টাকা রাখা হত, সেখানে তাঁর প্রবেশ নিষেধ ছিল । অতএব অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বা তাঁদের মতো আরও অনেকেই আছেন যাঁদের পার্কিং লটের মতো ব্যবহার করা হত । তদন্ত হচ্ছে, সবদিক তদন্ত করে দেখা উচিত কেন্দ্রীয় সংস্থার ।"

কলকাতা, 2 অগস্ট: আজ জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় মুখ খুলেছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Political Reaction on Arpita Claim)। সরাসরি সংবাদমাধ্যমের কাছে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি । টালিগঞ্জ এবং বেলঘড়িয়া দুটি ফ্ল্যাট মিলে তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছিল প্রায় 50 কোটি টাকা । যদিও আজ অর্পিতা দাবি করেন যে, তাঁর অজান্তেই টাকা ঢোকানো হয়েছে ফ্ল্যাটে । অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এহেন দাবিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে (BJP)। বিজেপি ও সিপিএম এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে (CPIM) কাঠগড়ায় তুলছে । অন্যদিকে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস আবার এই বক্তব্যকে বাড়তি আমল দিতে চাইছে না । তাদের বক্তব্য প্রথম অবস্থায় যখন এই নিয়ে মুখ খোলেননি পার্থ বা অর্পিতা, এখন তাঁরা যে অভিযোগই করুন তার সত্যাসত্যের বিচার করবে আদালত ।

মঙ্গলবার এ প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "অর্পিতা মুখোপাধ্যায় আদালতে কী বলছেন তা নিয়ে আমরা আগ্রহী নই । তিনি দলের কেউ নন । তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে দল ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে । ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন । অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সমস্ত পথ থেকে তাঁকে অপসারণ করেছেন । এই অবস্থায় তাঁরা রোজদিন কি অমৃতবাণী দেবেন, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া সম্ভব নয় । আজকে যা বলছেন, তা তিনি প্রথমদিন কেন বলেননি ? এ ধরনের বক্তব্যের কোনও যৌক্তিকতা নেই । অর্পিতা বলছেন তাঁর বাড়ি, সেখানে কে টাকা ঢুকিয়েছেন, এ সব নিয়ে কী বলব ! এই নিয়ে আলাদা করে রাজনৈতিক উত্তর দেওয়ার কোনও কারণ ঘটেনি । এ ক্ষেত্রে তাঁর যা বলার আদালতের কাছেই বলা উচিত । তিনি যদি প্রকৃতই নির্দোষ হন, তাহলে আদালত তাঁর বিচার করবে ।"

অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা বারে বারেই বলেছি এর সঙ্গে একটা বৃহত্তর দুর্নীতির যোগ রয়েছে । একা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা একা অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নন । এর সঙ্গে যুক্ত আরও রাঘব বোয়ালরাও । অর্পিতা দেবীর কথাতেই স্পষ্ট যে অন্যেরাও তাঁর ফ্ল্যাটে আসতেন । ইতিমধ্যেই ওই ফ্ল্যাটে আরও কয়েকজন নেতার যাওয়ার তথ্য-প্রমাণ সামনে এসেছে । এই অবস্থায় তাঁর উচিত তদন্তকারী সংস্থার সামনে সব পরিষ্কার করে বলা । এতে যাঁরা দোষী, তাঁরা যেমন শাস্তি পাবেন, একই ভাবে যে বিশাল সংখ্যক চাকরিপ্রার্থী তাঁদের যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও ন্যায় বিধান করা হবে।"

আরও পড়ুন: এ টাকা আমার নয়, আমার অবর্তমানে ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছে; দাবি অর্পিতার

এ দিন বিজেপির বক্তব্যেরও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কুণাল ঘোষ । সংবাদমাধ্যমে তাঁর প্রতিক্রিয়া, "বিজেপি নেতাদের বলি, তাঁদের এই নিয়ে মুখ না খোলাই ভালো । তাঁদের নেতাদের বিরুদ্ধেও সরাসরি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে । টিভির পর্দায় তাঁদের নেতাকে সরাসরি টাকা নিতে দেখা গিয়েছে । কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না ?"

এ দিকে, এ প্রসঙ্গে এ দিন সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও । তিনি বলেন, "এই টাকাটা আসলে লুঠের । অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলছেন টাকাটা আমার না । পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন আমার না । সকলেই বুঝতে পারছেন আসলে এটা লুঠের টাকা । এই লুঠের পরিধি এতটাই বিস্তৃত । বাড়িটা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের । কিন্তু তিনি জানেন না কারা টাকাটা রেখে যাচ্ছে । যেখানে টাকা রাখা হত, সেখানে তাঁর প্রবেশ নিষেধ ছিল । অতএব অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বা তাঁদের মতো আরও অনেকেই আছেন যাঁদের পার্কিং লটের মতো ব্যবহার করা হত । তদন্ত হচ্ছে, সবদিক তদন্ত করে দেখা উচিত কেন্দ্রীয় সংস্থার ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.