কলকাতা, 13 জুন: পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য রাজ্য বিধানসভায় আনা বিধায়কদের সাসপেনশন প্রস্তাব গৃহীতই হল না (BJP MLAs suspension order)। সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিধায়কদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য দুটি প্রস্তাব জমা পড়ে । আলাদা আলাদা ভাবে প্রস্তাব দুটি এনেছিলেন । এ ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ জানিয়ে দেন, এই প্রস্তাব খারিজ করা না হলেও পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে তা গ্রহণ করা যাচ্ছে না । তিনি বলেন, বিজেপির আনা জোড়া প্রস্তাবে একাধিক ভুল রয়েছে । তাই তা গ্রহণ করা যাবে না । এ ক্ষেত্রে প্রস্তাব সংশোধন করে তা জমা দিলে বিষয়টি নিয়ে বিধানসভার কার্যবিবরণী সভা (বিএ কমিটির বৈঠক)-য় তা আলোচনা করা হবে (West Bengal Assembly)।
অধ্যক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তাঁর অভিযোগ, প্রস্তাবে কোনও ভুল নেই । মূলত বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ থেকে আটকাতেই এই ভুলের কথা বলা হচ্ছে । কিন্তু ঠিক কী ভুল হয়েছিল ? বিধানসভা সূত্রের খবর, মূলত একটি সাদা পাতায় বা বিরোধী দলনেতার প্যাডে গোটা বিষয়টি দুই থেকে তিন প্যারার মধ্যে আবেদন করতে হয় । কিন্তু বিজেপির তরফ থেকে আদালতের চিঠিও সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল । যেহেতু বিধানসভা মনে করছে এ ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশের কথা শুধু আবেদনের চিঠিতে উল্লেখ করলে হত । আলাদা করে আইনজীবীর চিঠি জুড়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না । বিশেষ করে কলকাতা হাইকোর্ট যেখানে কোনও নির্দিষ্ট রায় না দিয়ে, সবটাই অধ্যক্ষের উপরে ছেড়েছেন, তাই এটি অপ্রয়োজনীয় ।
যদিও এ দিন অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তিনি নাকি সকালেই খবর পেয়ে গিয়েছিলেন, সাত বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন গৃহীত হবে না । কারণ, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন ।
যদিও বিরোধী দলনেতার এই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে শাসক পক্ষ । এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা । পরিষদীয় মন্ত্রী বা পরিষদীয় দল অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের উপর হস্তক্ষেপ করে না । অতএব বিরোধীদের এই দাবি ভিত্তিহীন (Appeal of withdrawing BJP MLAs suspension order)।